ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অপ্রদর্শিত অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে লক-ইনের প্রস্তাব দিয়েছিল ডিবিএ

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুন ২০২০
  • 62

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শেয়ারবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগে ৩ বছরের লক-ইন এর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা। তবে শেয়ারবাজারে এই অর্থ বিনিয়োগে ৩ বছরের লক-ইন এর জন্য অর্থমন্ত্রীকে প্রস্তাব দিয়েছিল ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।

বাজেটকে কেন্দ্র করে ৬টি দাবি জানিয়ে গত ২৮ এপ্রিল অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দেয় ডিবিএ। এতে তারল্য প্রবাহ বৃদ্ধির জন্য শেয়ারবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছিল। এই বিনিয়োগের সুযোগের জন্য ডিবিএর সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন সাক্ষরিত ওই চিঠিতে ৩টি শর্তের কথা বলা হয়েছিল। এরমধ্যে ছিল-

 উক্ত অর্থ ১:১ ভিত্তিতে বন্ড মার্কেট ও সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ করা হবে।
 বন্ডে বিনিয়োগকৃত অর্থ ৩ বছরের জন্য ব্লক থাকবে।
 উক্ত বন্ড এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে লেনদেনযোগ্য হবে।

এরপরে গত ১১ জুন জাতীয় সংসদে শেয়ারবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ ১০ শতাংশ কর প্রদান সাপেক্ষে বিনিয়োগের সুযোগের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী। ওই প্রস্তাবে তিনি শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ৩ বছর লক-ইন এর শর্ত দেন। তবে জমি, বিল্ডিং, ফ্ল্যাট ও এপার্টমেন্টের প্রতি বর্গমিটারের উপর নির্দিষ্ট হারে এবং নগদ অর্থ, ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, সঞ্চয়পত্রসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে এই শর্ত দেননি।

এ বিষয়ে ডিবিএর সচিব মো. দিদারুল গণি বিজনেস আওয়ারকে বলেন, শেয়ারবাজারে তারল্য বৃদ্ধির জন্য আমরা বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুপারিশ করেছিলাম। আর বন্ড মার্কেটকে শক্তিশালী করার জন্য ওই অর্থের অর্ধেক বন্ডে বিনিয়োগের শর্ত দিয়েছিলাম। একইসঙ্গে শুধুমাত্র বন্ডে বিনিয়োগে ৩ বছরের জন্য ব্লক চেয়েছিলাম। কিন্তু বাজেটে শেয়ারবাজারের পাশাপাশি অন্যান্য ক্ষেত্রেও অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দিয়েছে। তবে ওইসব ক্ষেত্রে লক-ইন এর শর্ত না থাকায়, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে এই শর্ত প্রত্যাহার চেয়েছি।

প্রস্তাবিত বাজেটে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগে ৩ বছর লক-ইন এর শর্ত দেওয়ার পরেই সবাই নড়েচড়ে বসে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে শুরু করে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জসহ এ বাজারের সবাই লক-ইনের প্রস্তাব প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছেন। এমনকি ডিবিএ এই দাবি জানিয়েছে।

গত ১৮ জুন ডিবিএ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অপ্রদর্শিত অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাজেটে প্রস্তাবিত ৩ (তিন) বছরের লক-ইন প্রত্যাহার চেয়েছে। একইসঙ্গে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কর হার ১০% এর পরিবর্তে ৫% করার সুপারিশ দাবি করেছে। এর ফলে বাজারে অপ্রদর্শিত অর্থের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। তারল্য প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়ে বাজার সক্রিয় ও শক্তিশালী হবে বলে মনে করছে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।

বিজনেস আওয়ার/২৩ জুন, ২০২০/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

অপ্রদর্শিত অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে লক-ইনের প্রস্তাব দিয়েছিল ডিবিএ

পোস্ট হয়েছে : ১১:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুন ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শেয়ারবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগে ৩ বছরের লক-ইন এর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা। তবে শেয়ারবাজারে এই অর্থ বিনিয়োগে ৩ বছরের লক-ইন এর জন্য অর্থমন্ত্রীকে প্রস্তাব দিয়েছিল ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।

বাজেটকে কেন্দ্র করে ৬টি দাবি জানিয়ে গত ২৮ এপ্রিল অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দেয় ডিবিএ। এতে তারল্য প্রবাহ বৃদ্ধির জন্য শেয়ারবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছিল। এই বিনিয়োগের সুযোগের জন্য ডিবিএর সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন সাক্ষরিত ওই চিঠিতে ৩টি শর্তের কথা বলা হয়েছিল। এরমধ্যে ছিল-

 উক্ত অর্থ ১:১ ভিত্তিতে বন্ড মার্কেট ও সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ করা হবে।
 বন্ডে বিনিয়োগকৃত অর্থ ৩ বছরের জন্য ব্লক থাকবে।
 উক্ত বন্ড এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে লেনদেনযোগ্য হবে।

এরপরে গত ১১ জুন জাতীয় সংসদে শেয়ারবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ ১০ শতাংশ কর প্রদান সাপেক্ষে বিনিয়োগের সুযোগের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী। ওই প্রস্তাবে তিনি শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ৩ বছর লক-ইন এর শর্ত দেন। তবে জমি, বিল্ডিং, ফ্ল্যাট ও এপার্টমেন্টের প্রতি বর্গমিটারের উপর নির্দিষ্ট হারে এবং নগদ অর্থ, ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, সঞ্চয়পত্রসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে এই শর্ত দেননি।

এ বিষয়ে ডিবিএর সচিব মো. দিদারুল গণি বিজনেস আওয়ারকে বলেন, শেয়ারবাজারে তারল্য বৃদ্ধির জন্য আমরা বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুপারিশ করেছিলাম। আর বন্ড মার্কেটকে শক্তিশালী করার জন্য ওই অর্থের অর্ধেক বন্ডে বিনিয়োগের শর্ত দিয়েছিলাম। একইসঙ্গে শুধুমাত্র বন্ডে বিনিয়োগে ৩ বছরের জন্য ব্লক চেয়েছিলাম। কিন্তু বাজেটে শেয়ারবাজারের পাশাপাশি অন্যান্য ক্ষেত্রেও অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দিয়েছে। তবে ওইসব ক্ষেত্রে লক-ইন এর শর্ত না থাকায়, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে এই শর্ত প্রত্যাহার চেয়েছি।

প্রস্তাবিত বাজেটে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগে ৩ বছর লক-ইন এর শর্ত দেওয়ার পরেই সবাই নড়েচড়ে বসে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে শুরু করে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জসহ এ বাজারের সবাই লক-ইনের প্রস্তাব প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছেন। এমনকি ডিবিএ এই দাবি জানিয়েছে।

গত ১৮ জুন ডিবিএ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অপ্রদর্শিত অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাজেটে প্রস্তাবিত ৩ (তিন) বছরের লক-ইন প্রত্যাহার চেয়েছে। একইসঙ্গে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কর হার ১০% এর পরিবর্তে ৫% করার সুপারিশ দাবি করেছে। এর ফলে বাজারে অপ্রদর্শিত অর্থের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। তারল্য প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়ে বাজার সক্রিয় ও শক্তিশালী হবে বলে মনে করছে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।

বিজনেস আওয়ার/২৩ জুন, ২০২০/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: