ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিবিএস কেবলসের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্টি, জরিমানা মওকুফ করল বিএসইসি

  • পোস্ট হয়েছে : ০২:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মে ২০২১
  • 48

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি বিবিএস কেবলস লিমিটেডকে সকল দায় থেকে মুক্ত করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানির পক্ষ থেকে বিএসইসিতে জরিমানা মওকুফের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।

কোম্পানি সূত্র মতে, তালিকাভুক্তির পর পরই সিকিউরিটিজ আইন সম্বন্ধে স্বচ্ছ ধারণা না থাকার কারণে কিছু সমস্যা হয়। ফলে কোম্পানির পরিচালকসহ কয়েকজনকে জরিমানা করে বিএসইসি। পরবর্তীতে কোম্পানি জরিমানা মওকুফের জন্য বিএসইসিতে আবেদন করে। কোম্পানির শুনানি শেষে বিষয়টি সমাধান করে বিএসইসি। এখন সকল ধরণের অভিযোগ থেকে মুক্ত বিবিএস ক্যাবল লিমিটেড।

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির আগ থেকেই ভালো ব্যবসা করে আসছে বিবিএস কেবলস। তালিকাভুক্তির পরও সেই ধারাবাহীকতা ঠিক রাখতে পেরেছে কোম্পানিটি। ফলে বরাবরই শেয়ারহোল্ডারদের ভালো লভ্যাংশও দিচ্ছে।

সর্বশেষ ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের ব্যবসায় শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস। ওই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছিলো ৬ টাকা ৬৬ পয়সা। আর বর্তমান অর্থবছরের সর্বশেষ নয় মাসে (জুলাই ২০২০-মার্চ ২০২১) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ১০ পয়সা।

বিবিএস কেবলসের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবু নোমান হাওলাদার বলেন, তালিকাভুক্তির শুরুতে সিকিউরিটিজ আইন নিয়ে আমাদের ধারণা পরিস্কার ছিলো না এবং জ্ঞ্যানের পরিধিও কম ছিলো। ফলে শুরুতেই সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের আইনগত বিষয়াবলী প্রতিপালনে কিছুটা সমস্যা হয়েছিলো।

মূলত আমাদেরকে জরিমানা করা হয় মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ না করার জন্য। কিন্তু সেটি আসলে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছিলো না। বিষয়টি আমরা বিএসইসিকে অবহিত ও ব্যাখ্যা প্রদান করেছি। যার পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন আমাদের উপর আরোপিত জরিমানা মওকুফ করেছে। এছাড়া অন্যান্যদের উপর আরোপিত জরিমানার বিষয়টিও সমাধান হয়েছে। এখন আর কোন অমীমাংসিত বিষয় নেই।

তিনি বলেন, বিবিএস কেবলস তালিকাভুক্তির পর থেকেই প্রতি বছর ভালো প্রতিবেদনের জন্য কর্পোরেট গভর্নেন্স অ্যাওয়ার্ড পেয়ে আসছে।

তিনি বলেন, বিএসইসি আমাদের বিষয়গুলো খুব অল্প সময়ের মধ্যে সুন্দরভাবে সমাধান করে দিয়েছে। ফলে এর সাথে সম্পৃক্ত বিএসইসির চেয়ারম্যান, কমিশনারসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। আশা করি আগামী দিনেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে শেয়ারবাজারে বিবিএস কেবলসের লেনদেন শুরু হয়। তালিকাভুক্তির বছরই কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাস। ২০১৮ সালে ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাস। ২০১৯ ও ২০২০ সালে যথাক্রমে ২০ শতাংশ করে লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে যথাক্রমে ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ছিলো।

বিজনেস আওয়ার/৩১ মে ২০২১/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বিবিএস কেবলসের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্টি, জরিমানা মওকুফ করল বিএসইসি

পোস্ট হয়েছে : ০২:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মে ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি বিবিএস কেবলস লিমিটেডকে সকল দায় থেকে মুক্ত করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানির পক্ষ থেকে বিএসইসিতে জরিমানা মওকুফের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।

কোম্পানি সূত্র মতে, তালিকাভুক্তির পর পরই সিকিউরিটিজ আইন সম্বন্ধে স্বচ্ছ ধারণা না থাকার কারণে কিছু সমস্যা হয়। ফলে কোম্পানির পরিচালকসহ কয়েকজনকে জরিমানা করে বিএসইসি। পরবর্তীতে কোম্পানি জরিমানা মওকুফের জন্য বিএসইসিতে আবেদন করে। কোম্পানির শুনানি শেষে বিষয়টি সমাধান করে বিএসইসি। এখন সকল ধরণের অভিযোগ থেকে মুক্ত বিবিএস ক্যাবল লিমিটেড।

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির আগ থেকেই ভালো ব্যবসা করে আসছে বিবিএস কেবলস। তালিকাভুক্তির পরও সেই ধারাবাহীকতা ঠিক রাখতে পেরেছে কোম্পানিটি। ফলে বরাবরই শেয়ারহোল্ডারদের ভালো লভ্যাংশও দিচ্ছে।

সর্বশেষ ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের ব্যবসায় শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস। ওই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছিলো ৬ টাকা ৬৬ পয়সা। আর বর্তমান অর্থবছরের সর্বশেষ নয় মাসে (জুলাই ২০২০-মার্চ ২০২১) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ১০ পয়সা।

বিবিএস কেবলসের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবু নোমান হাওলাদার বলেন, তালিকাভুক্তির শুরুতে সিকিউরিটিজ আইন নিয়ে আমাদের ধারণা পরিস্কার ছিলো না এবং জ্ঞ্যানের পরিধিও কম ছিলো। ফলে শুরুতেই সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের আইনগত বিষয়াবলী প্রতিপালনে কিছুটা সমস্যা হয়েছিলো।

মূলত আমাদেরকে জরিমানা করা হয় মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ না করার জন্য। কিন্তু সেটি আসলে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছিলো না। বিষয়টি আমরা বিএসইসিকে অবহিত ও ব্যাখ্যা প্রদান করেছি। যার পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন আমাদের উপর আরোপিত জরিমানা মওকুফ করেছে। এছাড়া অন্যান্যদের উপর আরোপিত জরিমানার বিষয়টিও সমাধান হয়েছে। এখন আর কোন অমীমাংসিত বিষয় নেই।

তিনি বলেন, বিবিএস কেবলস তালিকাভুক্তির পর থেকেই প্রতি বছর ভালো প্রতিবেদনের জন্য কর্পোরেট গভর্নেন্স অ্যাওয়ার্ড পেয়ে আসছে।

তিনি বলেন, বিএসইসি আমাদের বিষয়গুলো খুব অল্প সময়ের মধ্যে সুন্দরভাবে সমাধান করে দিয়েছে। ফলে এর সাথে সম্পৃক্ত বিএসইসির চেয়ারম্যান, কমিশনারসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। আশা করি আগামী দিনেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে শেয়ারবাজারে বিবিএস কেবলসের লেনদেন শুরু হয়। তালিকাভুক্তির বছরই কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাস। ২০১৮ সালে ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাস। ২০১৯ ও ২০২০ সালে যথাক্রমে ২০ শতাংশ করে লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে যথাক্রমে ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ছিলো।

বিজনেস আওয়ার/৩১ মে ২০২১/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: