ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমান ফিডের বন্ধকী সম্পদ নিলামে বিক্রিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা

  • পোস্ট হয়েছে : ০৬:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুন ২০২১
  • 40

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আমান ফিডের বন্ধকী সম্পত্তি নিলামে বিক্রিতে এবি ব্যাংকের উপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। গত ৭ জুন শামীম আজিজ এন্ড এসোসিয়েটস এর মাধ্যমে আদালতের বার্তা এবি ব্যাংক গ্রহণ করেছে।

জানা গেছে, সম্প্রতি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের( বিএসইসি) চেয়ারম্যানের সাথে বৈঠক করেন আমান ফিডের চেয়ারম্যান। এতে এবি ব্যাংকের ঋণ জটিলতা নিরসন নিয়ে আলোচনা হয়। এ বিষয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সব জটিলতা মিটিয়ে ফেলার আশ্বাস দিয়েছেন আমান ফিডের চেয়ারম্যান।

এ বিষয়ে আমান গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মো: রবিউল হক বলেন, আদালত স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আসলেও আমরা এবি ব্যাংকের সাথে ইতিমধ্যে কয়েক দফা বিষয়টি সমাধানের লক্ষে আলোচনা করেছি। আশা করছি খুবই অল্প সময়ের মধ্যে বিষয়টির একটি ইতিবাচক সমাধান আসবে।

তিনি আরো বলেন, চলতি বাজেটে পোল্টি ও ফিড সেক্টরে সরকার বড় ধরণের ছাড় দেওয়ায় আমাদের ব্যবসা আরো একধাপ এগিয়ে যাবে।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আমান ফিড একটি ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানি। কোভিড-১৯ মন্দা সময়েও কোম্পানিটি মুনাফার প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। কোম্পানিটি একই খাতের অন্য কোম্পানির তুলানায় বেশি মুনাফাও করছে। আইপিওতে ৭২ কোটি টাকা সংগ্রহ করা আমান ফিড গত ৫ বছরে শুধুমাত্র বিনিয়োগকারীদেরেই ১০২ কোটি টাকা লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করেছে।

ভালো মুনাফার পাশাপাশি আমান ফিড নিয়মিত শেয়ারহোল্ডারদের উল্লেখযোগ্য লভ্যাংশ দিয়ে আসছে। এ কোম্পানিটি ২০১৫ সালে তালিকাভুক্তির প্রথম বছরেই ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়। এরপরে ২০১৬ সালে নগদ ৩০ শতাংশ, ২০১৭ সালে ৩০ শতাংশ এবং ২০১৮ সালেও ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়। তবে দেশের সার্বিক ব্যবসার মন্দাবস্থার কারণে ২০১৯ সালে ১২.৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করে। একই খাতের তালিকাভুক্ত অন্য কোম্পানি নামমাত্র লভ্যাংশ দিয়েছে। লভ্যাংশ বিবেচনায়ও আমান ফিড পুঁজি বাজারে তালিকাভুক্ত অন্যান্য খাতের অন্য কোম্পানির চেয়ে তুলনামূলক বিচারে এগিয়ে আছে।

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাজার চাহিদা ও গুণগত মানের বিষয়টি চিন্তা করে পরিকল্পনা ঠিক করছে আমান ফিড। শুরু থেকেই মানুষকে সর্বোচ্চ মানের পণ্য ও সেবা দেয়ার পরিকল্পনাটা খুব দৃঢ় রেখেছে। সময়ের চাহিদার আলোকে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সত্ভাবে কাজ করার ফলে কখনো আমান ফিডকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ফলশ্রুতিতে কোম্পানিটি বাজার নেতৃত্বে অংশীদারিত্ব করে আসছে।

উল্লেখ্য আমান ফিড করোনা মহামারির সময়ে সরকারী কোন প্রনোদনা ব্যতিরেকেই নিয়মিত ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। সকল পর্যায়ের কর্মচারী এবং কর্মকর্তাদের পূর্ণ বেতন প্রদান ও কোন কর্মকর্তা ছাটাই না করেই চলমান রেখেছে কোম্পানির সার্বিক কার্যক্রম। এর ফলে কোম্পানি করোনা মহামারিতেও ভলো উদ্দীপনা নিয়ে ব্যবসা করছে বলে কোম্পনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে আমান ফিডের কোম্পানি সচিব মনিরুল ইসলঅম বলেন, আমাদের পরিচালনা পর্ষদ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবেলা করে ভবিষৎ পরিকল্পনায় অগ্রগামী , আগামীতে খুব অল্প সময়েই আমানফিড এই খাতে “মার্কেট লিডার ” হিসাবে আবির্ভূত হবে।

বিজনেস আওয়ার/আস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

আমান ফিডের বন্ধকী সম্পদ নিলামে বিক্রিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা

পোস্ট হয়েছে : ০৬:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুন ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আমান ফিডের বন্ধকী সম্পত্তি নিলামে বিক্রিতে এবি ব্যাংকের উপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। গত ৭ জুন শামীম আজিজ এন্ড এসোসিয়েটস এর মাধ্যমে আদালতের বার্তা এবি ব্যাংক গ্রহণ করেছে।

জানা গেছে, সম্প্রতি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের( বিএসইসি) চেয়ারম্যানের সাথে বৈঠক করেন আমান ফিডের চেয়ারম্যান। এতে এবি ব্যাংকের ঋণ জটিলতা নিরসন নিয়ে আলোচনা হয়। এ বিষয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সব জটিলতা মিটিয়ে ফেলার আশ্বাস দিয়েছেন আমান ফিডের চেয়ারম্যান।

এ বিষয়ে আমান গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মো: রবিউল হক বলেন, আদালত স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আসলেও আমরা এবি ব্যাংকের সাথে ইতিমধ্যে কয়েক দফা বিষয়টি সমাধানের লক্ষে আলোচনা করেছি। আশা করছি খুবই অল্প সময়ের মধ্যে বিষয়টির একটি ইতিবাচক সমাধান আসবে।

তিনি আরো বলেন, চলতি বাজেটে পোল্টি ও ফিড সেক্টরে সরকার বড় ধরণের ছাড় দেওয়ায় আমাদের ব্যবসা আরো একধাপ এগিয়ে যাবে।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আমান ফিড একটি ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানি। কোভিড-১৯ মন্দা সময়েও কোম্পানিটি মুনাফার প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। কোম্পানিটি একই খাতের অন্য কোম্পানির তুলানায় বেশি মুনাফাও করছে। আইপিওতে ৭২ কোটি টাকা সংগ্রহ করা আমান ফিড গত ৫ বছরে শুধুমাত্র বিনিয়োগকারীদেরেই ১০২ কোটি টাকা লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করেছে।

ভালো মুনাফার পাশাপাশি আমান ফিড নিয়মিত শেয়ারহোল্ডারদের উল্লেখযোগ্য লভ্যাংশ দিয়ে আসছে। এ কোম্পানিটি ২০১৫ সালে তালিকাভুক্তির প্রথম বছরেই ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়। এরপরে ২০১৬ সালে নগদ ৩০ শতাংশ, ২০১৭ সালে ৩০ শতাংশ এবং ২০১৮ সালেও ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়। তবে দেশের সার্বিক ব্যবসার মন্দাবস্থার কারণে ২০১৯ সালে ১২.৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করে। একই খাতের তালিকাভুক্ত অন্য কোম্পানি নামমাত্র লভ্যাংশ দিয়েছে। লভ্যাংশ বিবেচনায়ও আমান ফিড পুঁজি বাজারে তালিকাভুক্ত অন্যান্য খাতের অন্য কোম্পানির চেয়ে তুলনামূলক বিচারে এগিয়ে আছে।

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাজার চাহিদা ও গুণগত মানের বিষয়টি চিন্তা করে পরিকল্পনা ঠিক করছে আমান ফিড। শুরু থেকেই মানুষকে সর্বোচ্চ মানের পণ্য ও সেবা দেয়ার পরিকল্পনাটা খুব দৃঢ় রেখেছে। সময়ের চাহিদার আলোকে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সত্ভাবে কাজ করার ফলে কখনো আমান ফিডকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ফলশ্রুতিতে কোম্পানিটি বাজার নেতৃত্বে অংশীদারিত্ব করে আসছে।

উল্লেখ্য আমান ফিড করোনা মহামারির সময়ে সরকারী কোন প্রনোদনা ব্যতিরেকেই নিয়মিত ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। সকল পর্যায়ের কর্মচারী এবং কর্মকর্তাদের পূর্ণ বেতন প্রদান ও কোন কর্মকর্তা ছাটাই না করেই চলমান রেখেছে কোম্পানির সার্বিক কার্যক্রম। এর ফলে কোম্পানি করোনা মহামারিতেও ভলো উদ্দীপনা নিয়ে ব্যবসা করছে বলে কোম্পনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে আমান ফিডের কোম্পানি সচিব মনিরুল ইসলঅম বলেন, আমাদের পরিচালনা পর্ষদ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবেলা করে ভবিষৎ পরিকল্পনায় অগ্রগামী , আগামীতে খুব অল্প সময়েই আমানফিড এই খাতে “মার্কেট লিডার ” হিসাবে আবির্ভূত হবে।

বিজনেস আওয়ার/আস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: