ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ২০ টাকায় নেমেছে

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুন ২০২০
  • 90

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দফায় দফায় কমে আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি ২০ টাকায় নেমেছে। সেই সাথে কিছুটা কমেছে দেশি পেঁয়াজের দামও। একদিনের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে পাঁচ টাকা। বুধবার (২৪ জুন) বিভিন্ন বাজার সুত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ব্যবসায়ীরা আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি করছেন ২০ থেকে ২৫ টাকা, যা গতকাল ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি এবং শুক্রবার ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি। অর্থাৎ চলতি সপ্তাহে দু’দফায় আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে ভারত রফতানি বন্ধ করলে দেশের বাজারে হু হু করে দাম বেড়ে পেঁয়াজের কেজি ২৫০ টাকা পর্যন্ত উঠে যায়। এরপর সরকারের নানামুখী তৎপরতায় পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও তা আর একশ টাকার নিচে নামেনি।

তবে চলতি বছরের মার্চের শুরুতে রফতানি বন্ধের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ভারত। এরপরই দেশের বাজারে দফায় দফায় কমতে থাকে পেঁয়াজের কেজি। কয়েক দফা দাম কমে পেঁয়াজের কেজি ৪০ টাকায় নেমে আসে।

কিন্তু করোনাভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে আবার বেড়ে যায় পেঁয়াজের দাম। এ পরিস্থিতিতে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামে ভোক্তা অধিদফতর ও র‌্যাব। পেঁয়াজের বাজারে চলে একের পর এক অভিযান। এতে আবারও দফায় দফায় দাম কমে পেঁয়াজের কেজি ৩০ টাকায় নেমে আসে।

তবে রোজার আগে আবারও কয়েক দফা দাম বেড়ে পেঁয়াজের কেজি ৫৫ টাকায় পৌঁছে যায়। এরপর রোজার মাঝামাঝি সময়ে পেঁয়াজের দাম ৪৫ টাকায় নেমে আসে। তবে ঈদের আগে আবার দাম বেড়ে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা হয় পেঁয়াজের কেজি। তবে ঈদের পর দাম কমে পেঁয়াজের কেজি আবার ৪০ টাকায় নেমে আসে।

পেঁয়াজের দামের বিষয়ে মালিবাগের এক ব্যবসায়ী বলেন, আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি করছি ২০ টাকা। গতকাল দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। আজ ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি করছি। মূলত আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমায় দেশি পেঁয়াজের দামও কমেছে।

এখন যে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে তার মান বেশ ভালো। এই পেঁয়াজ ২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তাহলে মানুষ কেন ৫০ টাকা কেজি দরে দেশি পেঁয়াজ কিনে খাবে? সামনে দেশি পেঁয়াজের দাম আরও একটু কমবে। তবে দেশি পেঁয়াজের চাহিদা বেশি থাকায় দাম খুব বেশি কমার সম্ভাবনা নেই।

তিনি আরও বলেন, পাইকারিতে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম কমেছে। বাজারে এখন আমদানি করা পেঁয়াজের ছড়াছড়ি। কিন্তু আমদানি করা পেঁয়াজের চাহিদা দেশি পেঁয়াজের তুলনায় কম। এ কারণে দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজের দামের মধ্যে পার্থক্য দ্বিগুণ।

বিজনেস আওয়ার/২৪ জুন, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ২০ টাকায় নেমেছে

পোস্ট হয়েছে : ১২:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুন ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দফায় দফায় কমে আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি ২০ টাকায় নেমেছে। সেই সাথে কিছুটা কমেছে দেশি পেঁয়াজের দামও। একদিনের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে পাঁচ টাকা। বুধবার (২৪ জুন) বিভিন্ন বাজার সুত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ব্যবসায়ীরা আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি করছেন ২০ থেকে ২৫ টাকা, যা গতকাল ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি এবং শুক্রবার ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি। অর্থাৎ চলতি সপ্তাহে দু’দফায় আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে ভারত রফতানি বন্ধ করলে দেশের বাজারে হু হু করে দাম বেড়ে পেঁয়াজের কেজি ২৫০ টাকা পর্যন্ত উঠে যায়। এরপর সরকারের নানামুখী তৎপরতায় পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও তা আর একশ টাকার নিচে নামেনি।

তবে চলতি বছরের মার্চের শুরুতে রফতানি বন্ধের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ভারত। এরপরই দেশের বাজারে দফায় দফায় কমতে থাকে পেঁয়াজের কেজি। কয়েক দফা দাম কমে পেঁয়াজের কেজি ৪০ টাকায় নেমে আসে।

কিন্তু করোনাভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে আবার বেড়ে যায় পেঁয়াজের দাম। এ পরিস্থিতিতে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামে ভোক্তা অধিদফতর ও র‌্যাব। পেঁয়াজের বাজারে চলে একের পর এক অভিযান। এতে আবারও দফায় দফায় দাম কমে পেঁয়াজের কেজি ৩০ টাকায় নেমে আসে।

তবে রোজার আগে আবারও কয়েক দফা দাম বেড়ে পেঁয়াজের কেজি ৫৫ টাকায় পৌঁছে যায়। এরপর রোজার মাঝামাঝি সময়ে পেঁয়াজের দাম ৪৫ টাকায় নেমে আসে। তবে ঈদের আগে আবার দাম বেড়ে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা হয় পেঁয়াজের কেজি। তবে ঈদের পর দাম কমে পেঁয়াজের কেজি আবার ৪০ টাকায় নেমে আসে।

পেঁয়াজের দামের বিষয়ে মালিবাগের এক ব্যবসায়ী বলেন, আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি করছি ২০ টাকা। গতকাল দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। আজ ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি করছি। মূলত আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমায় দেশি পেঁয়াজের দামও কমেছে।

এখন যে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে তার মান বেশ ভালো। এই পেঁয়াজ ২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তাহলে মানুষ কেন ৫০ টাকা কেজি দরে দেশি পেঁয়াজ কিনে খাবে? সামনে দেশি পেঁয়াজের দাম আরও একটু কমবে। তবে দেশি পেঁয়াজের চাহিদা বেশি থাকায় দাম খুব বেশি কমার সম্ভাবনা নেই।

তিনি আরও বলেন, পাইকারিতে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম কমেছে। বাজারে এখন আমদানি করা পেঁয়াজের ছড়াছড়ি। কিন্তু আমদানি করা পেঁয়াজের চাহিদা দেশি পেঁয়াজের তুলনায় কম। এ কারণে দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজের দামের মধ্যে পার্থক্য দ্বিগুণ।

বিজনেস আওয়ার/২৪ জুন, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: