বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান বলেন, তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার কমানো হয়েছে। এটা ভালো সিদ্ধান্ত। এরফলে কোম্পানির লভ্যাংশ প্রদানের সক্ষমতা বাড়বে। এর বাহিরে বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য অন্যান্য প্রত্যাশিত বিষয়াদি বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।
শনিবার (১৯ জুন) বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন (বিএমবিএ) ও ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত ‘বাজেট পরবর্তী আলোচনা ও শেয়ারবাজারের উন্নয়নের পথ’ শীর্ষক অনলাইন সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, কমিশনার ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম উপস্থিত রয়েছেন।
এছাড়া আলোচক হিসেবে রয়েছেন ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি শরিফ আনোয়ার হোসাইন ও এএমসি এসোসিয়েশনের সভাপতি ড. হাসান ইমাম।
ছায়েদুর রহমান বলেন, তালিকাভুক্ত কোম্পানির পাশাপাশি অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ২.৫০% কমানো হয়েছে। এর মাধ্যমে উভয় ক্ষেত্রের মধ্যে করহারের ব্যবধান ৭.৫০%। কিন্তু একটি তালিকাভুক্ত কোম্পানির বিভিন্ন নিয়ম কানুন মেনে চলার কারনে ব্যয় অনেক বেশি হয়। যে কারনে ভালো মুনাফা করা বৃহৎ কোম্পানিগুলো তালিকাভুক্ত হতে চাইবে না। এই সমস্যা কাটিয়ে তুলতে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ব্যবধান ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন তিনি।
এছাড়াও চূড়ান্ত বাজেটে লভ্যাংশে দ্বৈত করহার প্রত্যাহার, অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ ও মার্চেন্ট ব্যাংককে বিশেষ করহারের বাহিরে রাখার দাবি করেন বিএমবিএ সভাপতি। তিনি বলেন, মার্চেন্ট ব্যাংক বলে ডাকা হলেও এগুলো কোন ব্যাংক না। এছাড়া মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর ব্যবসাও ভালো না। তারপরেও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে বিশেষ করহার দিতে হয়। এই পরিস্থিতিতে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর করহার স্বাভাবিক বা ৩০ শতাংশ করার দাবি করেন তিনি।
বিএমবিএ সভাপতি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শেয়ারবাজার নেতিবাচক ছিল। তবে নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পরে বাজারে গতি ফিরেছে। তাদের নিরলস চেষ্টায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরেছে।
অনুষ্ঠানে সিএমজেএফ এর সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল বলেন, বিশ্বের যেকোন দেশের অর্থনীতি ভাইব্রেন্ট হয়েছে শেয়ারবাজারের ভাইব্রেন্টের উপর ভিত্তি করে। বাংলাদেশেও এর বাহিরে সুযোগ নাই। তাই এই বাজারকে গুরুত্ব দিতে হবে।
তিনি বলেন, তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার কমানো হয়েছে। এটা ভালো উদ্যোগ। তবে শেয়ারবাজারে ভালো কোম্পানিকে তালিকাভুক্তিতে উৎসাহিত করার জন্য তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার বাড়ানো দরকার। যেটা উল্টো গত বাজেটে ১০% থেকে কমিয়ে ৭.৫০% কমিয়ে আনা হয়েছে।
বিজনেস আওয়ার/১৯ জুন, ২০২১/আরএ
2 thoughts on “বাজেটে শেয়ারবাজারের প্রত্যাশিত বিষয়াদি বিবেচনায় নেওয়া হয়নি”