স্পোর্টস ডেস্ক : চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে হারিয়ে অবনমন এড়ানোর আশা বাঁচিয়ে রাখল ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টিং ক্লাব। রেলিগেশন লিগের জয়সহ ১২ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট এখন ৮। লেজেন্ডস অব রুপগঞ্জের বিপক্ষে লিগের শেষ ম্যাচটি জিততে পারলেই প্রিমিয়ার লিগে টিকে থাকবে তারা। অন্যথায় নেমে যেতে হবে দ্বিতীয় বিভাগে।
সোমবার ডিওএইচএসের করা ১৯৯ রানের জবাবে খেলতে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই ২ উইকেট হারায় পারটেক্স। ইনিংসের ২.২ ওভারে তাদের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ১ রান। প্রথম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন আব্দুল রশিদ। পরে তার করা তৃতীয় ওভারের শেষ চার বলে তিন চার ও এক ছয়ে ১৮ রান তুলে ঝড়ের শুরু করেন হাসানুজ্জামান।
রাকিবুল হাসানের করা পরের ওভারে পাঁচ চারের মারে ২১ রান তোলেন আব্বাস মুসা ও হাসানুজ্জামান। এ দুজনের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১০.৪ ওভারে ১০২ রান। ইনিংসের ১২তম ওভারে জুটি ভাঙেন রাকিবুল হাসান। আউট হওয়ার আগে ২৯ বলে ৩১ রান করেন আব্বাস মুসা।
তবে অন্যপ্রান্তে সাবলীল ছিলেন হাসানুজ্জামান। মাত্র ২৫ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির পর সেটিকেই রূপ দেন প্রথম সেঞ্চুরিতে। দ্বিতীয় পঞ্চাশ অর্থাৎ ৫০ থেকে ১০০ রানে পৌঁছতে হাসানুজ্জামান খেলেছেন ২৩ বল। একপর্যায়ে ৩৯ বলে ৮৯ রানে খেলছিলেন হাসানুজ্জামান। পরের ১১ রান করতে খেলেন আরও ৯ বল। ফলে ইমনের ৪২ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙা হয়নি তার।
সেঞ্চুরির পর অবশ্য বেশি দূর যেতে পারেননি। ইনিংসের ১৬তম ওভারে ক্যাচ আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। আব্দুল রশিদের বলে বাউন্ডারি হাঁকানোর চেষ্টায় থামে তার ৫২ বলে ১০৫ রানের ইনিংস। সবমিলিয়ে ১১ চারের সঙ্গে ৭টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন যশোরের এই ব্যাটসম্যান।
হাসানুজ্জামানের বিদায়ের পর শেষ ২৫ বলে মাত্র ২৭ রান করতে সক্ষম হয়েছে পারটেক্স। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৭৬ রানে থামে তাদের ইনিংস। ফলে ২৩ রানের জয় পায় ডিওএইচএস।
এর আগে আজ টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় তরুণ ও নবীনদের নিয়ে সাজানো ডিওএইচএস। ব্যাট করতে নেমে দলকে দারুণ সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার আনিসুল ইসলাম ইমন ও রাকিন আহমেদ। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে তারা করে ৫৯ রান। শাহাদাত হোসেন রাজিবের করা পঞ্চম ওভার থেকেই আসে ২৭ রান।
উদ্বোধনী জুটি ভাঙে সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলে। জুবাইর লিখনের অফস্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বল ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ডিপ এক্সট্রা কাভারে ধরা পড়েন ইমন। আউট হওয়ার আগে ৭ চারের মারে ২৩ বলে ৩৪ রান করেন তিনি। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ফর্মে থাকা মাহমুদুল হাসান জয়। অষ্টম ওভারের শেষ বলে আউট হন ৫ বলে ৫ রান করে।
এরপর আর উইকেট পড়তে দেননি রাকিন ও মোহাইমিনুল। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে আসে ১২ ওভারে ১৩১ রান। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও তা করতে পারেননি রাকিন। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলে ১১ চার ও ৩ ছয়ের মারে ৫৮ বলে ৯২ রান করেন তিনি। অধিনায়ক মোহাইমিনুল অপরাজিত থাকেন ৪ চার ও ২ ছয়ে ৫০ রান করে।
বিজনেস আওয়ার/২১ জুন, ২০২১/এ