আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনা পরিবর্তিত ধরন ডেল্টার প্রভাবে বিশ্বব্যাপী করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস। বৃহস্পতিবার জেনেভায় ডব্লিউএইচও কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য, বিশ্বজুড়ে করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গেছে এবং আমরা বর্তমানে এর প্রাথমিক পর্যায়ে আছি। টানা ৪ সপ্তাহ ধরে বিশ্বে করোনায় দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। ডেল্টা ইতেমধ্যে ১১১টি দেশে শনাক্ত হয়েছে এবং সামনের দিনগুলোতে এই সংখ্যা আরও বাড়বে।
গ্যাব্রিয়েসুস বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে… আমরা বর্তমানে করোনা মহামারির তৃতীয় ঢেউয়ের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছি। করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পেছনে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিস্তারের পাশাপাশি সামাজিক গতিশীলতা এবং প্রমাণিত স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অসামঞ্জস্য ব্যবহার বৃদ্ধির বড় ভূমিকা রয়েছে।
গত সপ্তাহে টানা চতুর্থ সপ্তাহের মতো বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণের হার বাড়তে দেখা গেছে। এর মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছয়টি অঞ্চলের মধ্যে একটি বাদে সবগুলোতেই রেকর্ড সংখ্যক সংক্রমণ হয়েছে। টানা ১০ সপ্তাহ কমার পর সম্প্রতি করোনায় মৃত্যুও ফের বাড়তে শুরু করেছে।
করোনার এই ভয়াবহতা ঠেকাতে টিকাদানের বিকল্প নেই বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন ডব্লিউএইচও প্রধান। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিটি দেশের অন্তত ১০ শতাংশ মানুষকে করোনা টিকার আওতায় আনতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আহ্বানের কথাও ফের উল্লেখ করেন তিনি।
বুধবার বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সাপ্তাহিক বুলেটিনে বলা হয়, কেবল গত সপ্তাহেই বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩০ লাখ মানুষ এবং একই সময়ে এ রোগে মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৫ হাজারের কোটা। গত এক সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে সর্বাধিক সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ব্রাজিল, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও যুক্তরাজ্যে।
তিনি বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, ডেল্টা ধরন টিকার ডোজকে ফাঁকি দিতে সক্ষম। এ কারণে শুধু টিকার ওপর নির্ভর করে থাকলে এই তৃতীয় ঢেউকে ঠেকানো সম্ভব হবে না। এজন্য প্রয়োজন যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও বিধিনিষেধ আরোপের মাধ্যমে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ এবং তার ধরাবাহিকতা বজায় রাখা।
বিজনেস আওয়ার/১৫ জুলাই, ২০২১/এ