বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ঠিক সাত বছর আগে দেশের মাটিতে তিন ফরম্যাটে সিরিজ জয় করলেও এবার বিদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো কোনো পূর্ণাঙ্গ সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ দল। টেস্ট ও ওয়ানডের পর এবার টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ জয় করে টাইগাররা।
শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সামনে ১৯৪ রানের কঠিন এক লক্ষ্য ছুড়ে দিল জিম্বাবুয়ে। তবে হারারেতে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শেষ হাসি হেসেছে বাংলাদেশই। ১৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করে পেরিয়ে গেছে ৫ উইকেট আর ৪ বল হাতে রেখে। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিয়েছে ২-১ ব্যবধানে।
রান তাড়ায় নেমে প্রথম দুই ওভারে ২০ রান তুলে বাংলাদেশ। সৌম্য সরকার বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে খেললেও স্বস্তিতে ছিলেন না নাইম শেখ। ৭ বলে ৩ রান করা এই ওপেনার চাপে পড়ে ব্লেসিং মুজারবানিকে তুলে মারতে যান। মিডঅফে ক্যাচ হন লুক জঙউইর।
এরপর উইকেটে এসে চালিয়ে খেলেছেন সাকিব আল হাসান। অষ্টম ওভারে জঙউইকে টানা দুই বলে ছক্কাও হাঁকিয়েছিলেন। কিন্তু ওই ওভারেই লংঅফে ধরা পড়েন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ১৩ বলে ১ চার, ২ ছক্কায় সাকিব তখন ২৫ রানে। ভাঙে ৩২ বলে ৫০ রানের জুটি।
তৃতীয় উইকেটে মাহমুদউল্লাহ-সৌম্যর ঝড়ো জুটিতে আসে ৩৫ বলে ৬৬ রান। সৌম্য টি-টোয়েন্টির চাহিদা মেটাতে পারছিলেন না। ৩৬ বলে ছিলেন মাত্র ৩৭ রানে।
কিন্তু তারপরই চেহারা বদলে ফেলেন সৌম্য, ৪০ বলে তুলে নেন ফিফটি। অবশেষে ১৪তম ওভারে এসে জঙউইকে আকাশে ভাসিয়ে মারতে গিয়ে লংঅফে ক্যাচ হন বাঁহাতি এই ওপেনার। ৪৯ বলে তার ৬৮ রানের ইনিংসে ছিল ৯ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কার মার।
আফিফ হোসেন শুরুটাই করেছিলেন ছক্কা দিয়ে। তবে ৫ বলে ২ ছক্কায় ১৪ রানের ঝড় তুলে বোল্ড হয়ে যান এই বাঁহাতি। ১৫০ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
সেখান থেকে ৩ ওভারে ৩৭ রান তুলেন মাহমুদউল্লাহ আর শামীম হোসেন পাটোয়ারী। খেলা তখন অনেকটাই হাতে চলে এসেছে টাইগারদের। ৯ বলে দরকার ৭। এমন সময়ে আউট হয়ে যান মাহমুদউল্লাহ। মাহমুদউল্লাহর সংগ্রহ ২৮ বলে ২ চার আর ১ ছক্কায় ৩৪ রান।
তবে শামীম পাটোয়ারী দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন তরুণ এই ব্যাটসম্যান। ১৫ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৩ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় জিম্বাবুয়ে।
বিজনেস আওয়ার/২৬ জুলাই, ২০২১/কমা