বিনোদন ডেস্ক : চিত্রনায়িকা পরীমনি আটক হওয়ার পর তাকে নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। বরং দুদিন পর জরুরি মিটিংয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় পরীমনির সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সেই সিদ্ধান্তের কথা জানায় শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় পরীমনির অনুসারীদের পাশাপাশি শোবিজের অনেকেই শিল্পী সমিতির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। চলতে থাকে সমালোচনা।
এদিকে পরীমনি আটক হওয়ার ১০দিন পর মুখ খুলেন ঢাকাই ছবির কিং শাকিব খান। তিনি পরী ইস্যুতে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আচরণ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, বিষয়টা এখন বিচারাধীন, ওই বিষয়ে কিছু বলছি না। তিনি যে মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে গেছেন, তার কী অপরাধ সেটা বিশ্লেষণে যাচ্ছি না। দেশের প্রচলিত আইন-আদালতে যা আছে, নিশ্চয়ই নিরপেক্ষ তদন্ত শেষে সঠিক বিচার হবে।
শুধুমাত্র অভিযোগের ভিত্তিতে পরীমনিকে গ্রেপ্তারের পর তার প্রতি কোনো ধরণের সহযোগিতার হাত না বাড়িয়ে, দুঃসময়ে শিল্পীর পাশে না থেকে, উল্টো তড়িঘড়ি করে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি।
কোনো কিছু না ভেবে পরীমণির সদস্যপদ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। এটা কাটা ঘায়ে নুনের ছিটার মতো। সমিতির এই আচরণ ব্যক্তিগতভাবে আমাকে হতবাক ও বিস্মিত করেছে।
আমি মনে করি, সহশিল্পীর সঙ্গে সংগঠনের এটি একটি অমানবিক আচরণ। প্রশ্ন থেকে যায়, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি তাহলে কাদের স্বার্থে? সমিতিকে এভাবেই কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।
এর জবাবে জায়েদ খান বলেন, সহশিল্পীর জন্য তিনি তার অভিমত তিনি ব্যক্ত করেছেন। এটা নিয়ে আমার বা সমিতির কিছু বলার নেই। আমি আসলে পোস্টটি দেখিনি। ১৫ অগাস্টে আমাদের কার্যক্রম আছে। সেটা শেষ হলে দেখব, কী করা যায়।
তবে শাকিবের এই বক্তব্যকে জায়েদ ডাক্তার আসার আগেই রোগী মারা যাওয়ার মতো ঘটনা বলে উল্লেখ করেন। অর্থাৎ পরীমনির জামিন নামঞ্জুর হয়ে তিনি যখন কারাগারে তখন শাকিব বিবৃতি দিয়েছেন।
বিজনেস আওয়ার/১৫ আগস্ট, ২০২১/এ