বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জন্মদিন সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মন্তব্য অরাজনৈতিক এবং শিষ্টাচার বহির্ভূত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (১৬আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে তার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় বিএনপি আয়োজিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমি তার এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করার আহ্বান করছি।
তিনি বলেন, আজকে এই সরকারের জনগণের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই, যেহেতু কোনো জবাবদিহিতা নেই, সেজন্য যা ইচ্ছা তাই করছে। এই দেশে সত্যিকার অর্থে একটা কর্তৃত্ববাদী, স্বৈরাচারী, ফ্যাসিবাদী সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকার ভয়াবহ করোনা মহামারি সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে। টিকা সংগ্রহ করতে গিয়ে দুর্নীতি করেছে। গণটিকা দেওয়ার নামে অব্যস্থপনার তৈরি করেছে। ফলে সারা দেশে করোনা সংক্রমণ আরও বেড়েছে।
তিনি বলেন, এই সরকার ইতিহাস বিকৃত করার জন্য এবং জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে অত্যন্ত অপমানজনক কথাবার্তা বলছে। এসব কথাবার্তা বলার উদ্দেশ্য হলো ইতিহাসকে বিকৃত করা এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করা।
তিনি বলেন, আমরা খুব ভালো করে জানি ১৫আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পরে কারা ক্ষমতায় এসেছিল। ক্ষমতায় এসেছিল আওয়ামী লীগ। তাদের নেতা খন্দকার মোশতাক সেদিন ক্ষমতাসীন হয়েছিলেন।
আওয়ামী লীগের নেতাদের নিয়েই সেদিন নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছিল। শেখ মুজিবুর রহমানের রক্তের ওপর দিয়ে, সেকথা আমরা ভুলে যাইনি। তাদেরই নিয়োগকরা সেনাপ্রধান, যাকে পরে তারা এমপি বানিয়েছেন।
১৫আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পরে যারা ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে আতাত করেছিল সেই কর্নেল তাহেরের নাম কিন্তু তারা একবারও উচ্চারণ করে না। তৎকালীন জাসদের গণবাহিনীর নেতা হাসানুল হক ইনুর কথা তারা বলে না। তাকে তারা মন্ত্রী বানিয়েছে।
সামরিক আইন জারি করেছিল খন্দকার মোশতাক, সে কথাগুলো জনগণের সামনে তারা কখনো বলে না। আমরা বিশ্বাস করি এসব মিথ্যা প্রচারণা করে তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারবে না। সত্য বের হয়ে আসবে।
বিজনেস আওয়ার/১৬ আগস্ট, ২০২১/এ