বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি দ্রুত সময়ের মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলে দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন হলের অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে হল খুলে দিতে কোনো বাধা নাই বলে মনে করেন তারা।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে অনুষ্ঠিত করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ টেকনিক্যাল কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা জানান তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সভায় উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে শুরুতে উপাচার্যদের মতামত চাওয়া হয়। তারা নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা ও সম্ভাবনা তুলে ধরেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। এছাড়াও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরাও হল খুলে দেওয়ার পক্ষে প্রস্তাব করেন।
বৈঠকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শিরিন আক্তার জানান, তার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব শিক্ষক করোনা ট্রেকারের আওতায় এসেছে। এছাড়া হলে থাকা শিক্ষার্থীরাও করোনার দুটি ডোজ নিয়েছে। তাই সেপ্টেম্বর থেকে হল খোলার আহ্বান জানান তিনি।
জানা গেছে, সংক্রমণের হার ৭-৮ শতাংশ থাকলেও খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে মাঠপর্যায়ে স্কুল-কলেজ কর্তৃপক্ষকে যেকোনো সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পূর্ণ প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে ক্লাস চলবে, সে ব্যাপারে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিজনেস আওয়ার/২৬ আগস্ট, ২০২১/এ