বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ১৩৮৩ বঙ্গাব্দের ১২ ভাদ্র পিজি হাসপাতালে (বর্তমান শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ।
বাংলা সাহিত্যে তার একটি বড় পরিচয় তিনি ‘বিদ্রোহী কবি’। তিনি অনেক গুণের অধিকারী ছিলেন। একাধারে তিনি কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা। আর প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি ছিলেন আলোকোজ্জ্বল। তিনি বৈচিত্র্যময় অসংখ্য রাগ-রাগিনী সৃষ্টি করে বাংলা সংগীত জগতকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন।
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে তিনি বিশ শতকের বিশ ও ত্রিশের দশকে উপমহাদেশে অবিভক্ত বাংলার সাংস্কৃতিক জগতে সবচেয়ে বর্ণাঢ্য ব্যক্তিত্ব।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৩০৬ সালের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম ‘দুখু মিয়া’। পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মাতা জাহেদা খাতুন।
স্বাধীনতার পর পরই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বাংলাদেশে তার বসবাসের ব্যবস্থা করেন। ধানমন্ডিতে কবির জন্য একটি বাড়ি প্রদান করেন তিনি। মৃত্যু পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশেই ছিলেন।
মৃত্যুর পর কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। এখানেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন।
জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বিজনেস আওয়ার/২৭ আগস্ট, ২০২১/কমা