ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অর্থনৈতিক অঞ্চল রক্ষায় সময়ের সাথে বেড়েছে প্রকল্পের ব্যয়ও

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • 69

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : যমুনা নদীর ভাঙন থেকে অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম গাইড বাঁধ রক্ষা করা প্রকল্পের ব্যয় বাড়লো ১০৮ কোটি ২১ লাখ টাকা। ব্যয়ের সাথে প্রকল্পটি বস্তবায়নের মেয়াদও এক বছর বাড়ানো হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) একনেকে প্রথম সংশোধন করে এর মেয়াদ জুন ২০২২ সাল পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।

পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্টরা জানান, পনি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘সিরাজগঞ্জ জেলায় যমুনা নদী হতে পুনরুদ্ধারকৃত ভূমির উন্নয়ন এবং প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চল রক্ষা’ প্রকল্পটি প্রথম সংশোধন করা হয়েছে। প্রকল্পটি জানুয়ারি ২০১৮ হতে জুন ২০২০ সালে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একনেকে প্রথম অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু করোনা মহামারির ফলে ব্যয় না বাড়িয়ে প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে জুন ২০২১ সাল পর্যন্ত করা হয়।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)। প্রকল্পটি ২০২১-২২ অর্থবছরের এডিপিতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দসহ অন্তর্ভুক্ত আছে।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে যমুনা নদীর ভাঙন হতে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম গাইড বাঁধ রক্ষা করা, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সিরাজগঞ্জ লঞ্চঘাট এবং শহরের বিয়ারা ঘাট, ঘোনাপাড়া ও সয়দাবাদ এলাকার কৃষি জমি, ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট, সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা যমুনা নদীর ভাঙন হতে রক্ষা করা, নদীর গভীরতম স্রোতধারা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে টেকসই নদী ব্যবস্থাপনা বজায় রাখা, নদী ভাঙন প্রতিরোধের মাধ্যমে এলাকার জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন, নদীতীর রক্ষার মাধ্যমে পরিবেশ ও বাস্তুসংস্থানের ভারসাম্য বজায় রাখা এবং পুনরুদ্ধারকৃত ভূমি ড্রেজিং করা মাটির মাধ্যমে ভরাট করা হবে।

প্রকল্প সংশোধনের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, মাটির বাঁধ নির্মাণ ও নদীর তীর সংরক্ষণ কাজের পরিমাণ হ্রাসকরণ (৩.২০ কিলোমিটার থেকে ৩.০০ কিলোমিটার নির্ধারণ), ভূমি উন্নয়ন খাতে মাটি ভরাটের পরিমাণ বৃদ্ধিকরণ (১৫০.২৫ লাখ ঘনমিটার থেকে ১৮২ লাখ ঘনমিটার নির্ধারণ) এবং প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধি ।

বিজনেস আওয়ার/০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

অর্থনৈতিক অঞ্চল রক্ষায় সময়ের সাথে বেড়েছে প্রকল্পের ব্যয়ও

পোস্ট হয়েছে : ১২:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : যমুনা নদীর ভাঙন থেকে অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম গাইড বাঁধ রক্ষা করা প্রকল্পের ব্যয় বাড়লো ১০৮ কোটি ২১ লাখ টাকা। ব্যয়ের সাথে প্রকল্পটি বস্তবায়নের মেয়াদও এক বছর বাড়ানো হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) একনেকে প্রথম সংশোধন করে এর মেয়াদ জুন ২০২২ সাল পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।

পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্টরা জানান, পনি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘সিরাজগঞ্জ জেলায় যমুনা নদী হতে পুনরুদ্ধারকৃত ভূমির উন্নয়ন এবং প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চল রক্ষা’ প্রকল্পটি প্রথম সংশোধন করা হয়েছে। প্রকল্পটি জানুয়ারি ২০১৮ হতে জুন ২০২০ সালে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একনেকে প্রথম অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু করোনা মহামারির ফলে ব্যয় না বাড়িয়ে প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে জুন ২০২১ সাল পর্যন্ত করা হয়।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)। প্রকল্পটি ২০২১-২২ অর্থবছরের এডিপিতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দসহ অন্তর্ভুক্ত আছে।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে যমুনা নদীর ভাঙন হতে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম গাইড বাঁধ রক্ষা করা, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সিরাজগঞ্জ লঞ্চঘাট এবং শহরের বিয়ারা ঘাট, ঘোনাপাড়া ও সয়দাবাদ এলাকার কৃষি জমি, ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট, সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা যমুনা নদীর ভাঙন হতে রক্ষা করা, নদীর গভীরতম স্রোতধারা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে টেকসই নদী ব্যবস্থাপনা বজায় রাখা, নদী ভাঙন প্রতিরোধের মাধ্যমে এলাকার জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন, নদীতীর রক্ষার মাধ্যমে পরিবেশ ও বাস্তুসংস্থানের ভারসাম্য বজায় রাখা এবং পুনরুদ্ধারকৃত ভূমি ড্রেজিং করা মাটির মাধ্যমে ভরাট করা হবে।

প্রকল্প সংশোধনের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, মাটির বাঁধ নির্মাণ ও নদীর তীর সংরক্ষণ কাজের পরিমাণ হ্রাসকরণ (৩.২০ কিলোমিটার থেকে ৩.০০ কিলোমিটার নির্ধারণ), ভূমি উন্নয়ন খাতে মাটি ভরাটের পরিমাণ বৃদ্ধিকরণ (১৫০.২৫ লাখ ঘনমিটার থেকে ১৮২ লাখ ঘনমিটার নির্ধারণ) এবং প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধি ।

বিজনেস আওয়ার/০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: