হাসানুজ্জামান: নোমান আহমদ সংগীত শিল্পের একজন তরুণ উদ্যোক্তা এবং শিল্পী। একবিংশ শতাব্দীতে প্রযুক্তির দ্রুত বৃদ্ধি এবং আধুনিকীকরণের সাথে, তরুণ মন নতুন এবং অনুপ্রেরণামূলক ধারণা তৈরি করতে অনুপ্রাণিত হয় যা আজকের প্রযুক্তিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে পারে। তেমনই একটি উদাহরণ হলেন মোঃ নোমান আহমদ। যিনি তাঁর জ্ঞান ও পরিশ্রমের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী এর মধ্যে নতুন নতুন গান উপহার দিয়ে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশের উদ্যোক্তা স্বপ্ন এবং আকাঙ্ক্ষার কথা বলতে গেলে কোনও বয়সসীমা দেখাননি। খুব অল্প বয়সেই তাঁর নিজস্ব সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে তাকে ‘কনিষ্ঠতম উদ্যোক্তা এবং ডিজিটাল বিপণন বিশেষজ্ঞ’ হিসাবে অভিহিত করা হয়েছে, এটি আজ একটি বড় অর্জন।
নোমান নিজের একক গানের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পডকাস্ট স্পটিফাই, মিউজিক্সম্যাচ, এমাজন মিউজিক, এপল মিউজিকসহ বিভিন্ন প্লাটফর্মের মাধ্যমে বিশ্বে ছড়িয়ে দিচ্ছেন ইসলামী গান। এছাড়াও ইসলামী সংস্কৃতি প্রচারে রয়েছে তার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল। যা আর্টিস্ট চ্যানেল ইউটিউব কর্তৃপক্ষ থেকে ভেরিফাইড হয়েছে।
মোঃ নোমান আহমদ শুরুর দিকে নেশা গানের মাধ্যমে প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। তিনি গীতিকার হিসাবে তাঁর উজ্জ্বলতা প্রমাণ করেছেন। মোঃ নোমান আহমদ প্রথমে ‘নেশা’ শিরোনামের একটি সংগীত সুর নিয়ে এসেছিলেন। স্পোটাইফাই, আইটিউনস, অ্যাপল, অ্যামাজন, টিডাল, ডিজার সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে তাঁর গানগুলি সমানভাবে জনপ্রিয় ছিল
ডিজিটাল মার্কেট নিয়ে তিনি অনেক উদ্যাক্তা নিয়েছেন ও ডিজিটাল মার্কেট নিয়ে মার্কেট প্লাসে ও কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি ডিজিটাল মার্কেটের ওপর কোর্স পার্ট পার্ট করে ‘Technical BN’ নামে ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করে যাচ্ছেন, যেই ভিডিও দেখে অনেকে সাফল্য অর্জন করেছেন।
মোঃ নোমান আহমদের অনলাইন এজেন্সি রয়েছে যেখানে আইটি রিলেটেড সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর ইচ্ছা এখন আইটি নিয়ে একটি বড় কোম্পানি তৈরি করার যেখানে আইটির সব সমস্যা সমাধান করা যাবে।
অল্প বয়সে মোঃ নোমান আহমদ এর সাফল্য আমাদের বুঝতে সাহায্য করে যে লোকেরা আমাদের সমস্ত কিছু পেতে সহায়তা করার চেষ্টা করছে। তাঁর কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। আমাদের প্রত্যেকের তরুণ মোঃ নোমান আহমদ এর কাছ থেকে জানা উচিত যে লোকেরা চেষ্টা করলে সবকিছুই সম্ভব।
বিজনেস আওয়ার/১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১/এ