ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাসেল ইভ্যালিকে দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনা করেছিল: র‌্যাব

  • পোস্ট হয়েছে : ০২:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • 50

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ই-কমার্স ব্যবসা সংক্রান্ত যে নীতিমালা করা হয়েছে তার আলোকে ব্যবসা পরিচালনা কিংবা গ্রাহকদের দেনা পরিশোধ করা কোনভাবেই সম্ভব হতো না ইভ্যালির। এজন্য ইভ্যালিকে দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনা করছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী (সিইও) মো. রাসেল।

শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র‍্যাব সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান।

খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তারের পর রাতে রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রাসেল নিজেই স্বীকার করেছেন গ্রাহকের কাছে তার দেনার পরিমাণ প্রায় এক হাজার কোটি টাকা।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান বলেন, ব্যবসায়িক বিক্রি বাড়াতে গ্রাহকদের প্রতিনিয়ত চাহিদা তৈরি হয়। এ ধরনের পণ্যকে বেছে নেয় ইভ্যালি। যেমন মোবাইল, মোটরসাইকেল, গাড়ি গৃহস্থালী পণ্য, প্রসাধনী সামগ্রী ও ফার্নিচার ইত্যাদি এসব পণ্য মূল্য ছাড়ের ফলে ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়, ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠানের বিশাল আকার তৈরি হয়। রাসেল ও তার স্ত্রীর ব্যবসায়ীক অপকৌশল ছিল নতুন গ্রাহকের উপর দায় চাপিয়ে পুরোনো গ্রাহক ও সরবরাহকারীদের দায়ের অল্প অল্প করে পরিশোধ করা। এভাবে যত গ্রাহক তৈরি হবে ততই দায়িত্ব এড়াতে পারবে। কেননা তাদের বর্তমানে যে সম্পদ বা মূলধন আছে তা দিয়ে পুরোনো গ্রাহকের দায় মেটানো কোনভাবেই সম্ভব না। আর এ কারণেই সে নতুন নতুন গ্রাহক তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য আনার জন্য নানা ধরনের দেনদরবার করতে থাকেন। তবে আলোচনা-সমালোচনা হওয়ায় ওসব কোম্পানিগুলো ইভ্যালির কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তারা আর ইভ্যালির সঙ্গে ব্যবসা করতে চায় না বলে অনেকেই রাসেলকে জানিয়েছেন।

বিজনেস আওয়ার/১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

রাসেল ইভ্যালিকে দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনা করেছিল: র‌্যাব

পোস্ট হয়েছে : ০২:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ই-কমার্স ব্যবসা সংক্রান্ত যে নীতিমালা করা হয়েছে তার আলোকে ব্যবসা পরিচালনা কিংবা গ্রাহকদের দেনা পরিশোধ করা কোনভাবেই সম্ভব হতো না ইভ্যালির। এজন্য ইভ্যালিকে দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনা করছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী (সিইও) মো. রাসেল।

শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র‍্যাব সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান।

খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তারের পর রাতে রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রাসেল নিজেই স্বীকার করেছেন গ্রাহকের কাছে তার দেনার পরিমাণ প্রায় এক হাজার কোটি টাকা।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান বলেন, ব্যবসায়িক বিক্রি বাড়াতে গ্রাহকদের প্রতিনিয়ত চাহিদা তৈরি হয়। এ ধরনের পণ্যকে বেছে নেয় ইভ্যালি। যেমন মোবাইল, মোটরসাইকেল, গাড়ি গৃহস্থালী পণ্য, প্রসাধনী সামগ্রী ও ফার্নিচার ইত্যাদি এসব পণ্য মূল্য ছাড়ের ফলে ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়, ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠানের বিশাল আকার তৈরি হয়। রাসেল ও তার স্ত্রীর ব্যবসায়ীক অপকৌশল ছিল নতুন গ্রাহকের উপর দায় চাপিয়ে পুরোনো গ্রাহক ও সরবরাহকারীদের দায়ের অল্প অল্প করে পরিশোধ করা। এভাবে যত গ্রাহক তৈরি হবে ততই দায়িত্ব এড়াতে পারবে। কেননা তাদের বর্তমানে যে সম্পদ বা মূলধন আছে তা দিয়ে পুরোনো গ্রাহকের দায় মেটানো কোনভাবেই সম্ভব না। আর এ কারণেই সে নতুন নতুন গ্রাহক তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য আনার জন্য নানা ধরনের দেনদরবার করতে থাকেন। তবে আলোচনা-সমালোচনা হওয়ায় ওসব কোম্পানিগুলো ইভ্যালির কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তারা আর ইভ্যালির সঙ্গে ব্যবসা করতে চায় না বলে অনেকেই রাসেলকে জানিয়েছেন।

বিজনেস আওয়ার/১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: