বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : মহামারি করোনা বিপর্যয় থেকে মানুষ যখন স্বাভাবিক জীবনের পথে ফিরতে শুরু করেছে তখন দেশের বাজারে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দাম ভোগাচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বেড়েছে কাঁচা মরিচে ঝাল, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডিম ও মুরগির দাম।
শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। বেড়েছে মুরগির ডিমের দাম। ডজন প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা করে। সব ধরনের মুরগির দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা।
প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন ৫ লিটার বিক্রি হচ্ছে ৭২০-৭৩০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজ ৪৮-৫০, রসুন ১২০, আদা ১৪০ ও আলু ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুদি বিক্রেতা মাহিম বলেন, বাজারে ক্রেতা বেড়েছে। তবে পণ্যের দামে খুব বেশি নয়-ছয় নেই। সয়াবিন তেলের দাম পাইকারি বাজারে বেড়েছে বলে শুনেছি। তবে তার প্রভাব এখনো খুচরা বাজারে পড়েনি। অন্যান্য পণ্য আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
এক তরকারি বিক্রেতা বলেন, কয়েকদিন ধরেই কাঁচা মরিচের দামে ঊর্ধ্বগতি। পাইকারি বাজারে কেজিপ্রতি ১০০ টাকার ওপরে কেনা। আমরা ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি করছি। অন্যান্য তরকারি আগের দামে বিক্রি করলেও শসা ও গাজরের দাম বেশ চড়া। শসা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় ও গাজর ১০০ থেকে ১১০ টাকায়।
অন্যদিকে, মাংসের মধ্যে বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৬০ টাকা কেজি দরে, সোনালী ২৮০ থেকে ৩১০ টাকা, দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা দরে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি এবং খাসির মাংস ৮০০-৮৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মালিবাগের এক মুরগি বিক্রেতা বলেন, লকডাউন তুলে দেওয়ার পরপর বিয়েসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান বেড়েছে। তাই ডিম ও মুরগির চাহিদা বেড়েছে ব্যাপক। যে কারণে সব ধরনের মুরগি ও ডিমের দাম বেড়েছে।
বিজনেস আওয়ার/১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১/এ