বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : প্রার্থীরা খুব বেশি ইমোশনাল হওয়ার কারণে সদ্য শেষ হওয়া ১৬০ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সহিংসতা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ নির্বাচনকে ঘিরে রোববার রাতে এক বৃদ্ধা ও সোমবার দুজন নিহত হন। ভোটের সার্বিক অবস্থা নিয়ে গণমাধ্যমের সামনে আসেন ইসি সচিব।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন এটি আমাদের জন্য খুব বেদনাদায়ক, দুঃখজনক ঘটনা, যে মহেশখালী এবং কুতুবদিয়ায় একটি করে দুজন নিহত হয়েছে। ২৪ জন লোক বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীদের নিজেদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় আহত হয়েছেন। এছাড়া মোটামুটি সব জায়গায় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন পাঁচটি ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের কারণে ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হয়েছে। ইভিএমে ইউনিয়নে ৫০ শতাংশ এবং পৌরসভায় ৫০ শতাংশে বেশি ভোট পড়েছে। আর ব্যালটে ৬৫ শতাংশের হবে বলে আশা করি।
হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, গতকাল রাতে যেটা হয়েছে, প্রার্থীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের ফলে একজন বৃদ্ধ মহিলা কোনোভাবে ধাক্কা খেয়ে নিহত হয়েছেন বলে আমরা জেনেছি। এটি তদন্ত করে দেখার জন্য বলেছি।
তিনি বলেন, একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, ইউপি নির্বাচন কিন্তু একেবারে রুট পর্যায়ে হয়। নির্বাচনী আমেজ থাকে। প্রার্থীরা এত ইমোশনাল হয়ে যান, যে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। এসব করতে যেয়ে নিজেদের মধ্যে অকস্মাৎ তারা নিজেদের মধ্যে ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেন। এটি ঘটে এবং ঘটেছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, যে তিনটি ঘটনার কথা আপনারা জেনেছেন, সেটি তাদের দুই গ্রুপের মধ্যে হয়ে মহেশখালীতে এই ঘটনাটি ঘটেছে। আর কুতুবদিয়ায় যেটা… আমাদের প্রিজাইডিং অফিসারের কাছ থেকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিতে গিয়েছে, সেখানে পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রিজাইডিং অফিসারের নির্দেশে গুলি করেছে। এটি তো করতেই হবে।
তিনি বলেন, ইউপি নির্বাচনে কিন্তু দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এলাকার সব মানুষ অংশ গ্রহণ করে। তারা খুব বেশি ইমোশনাল হয়ে যায়। তখনই এই দ্বন্দ্বগুলো হয়ে যায়। আমরা যা দেখলাম, যে ঘটনা ঘটেছে সেগুলো খতিয়ে দেখব। ভবিষ্যতে যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সে বিষয়ে সজাগ থাকব।
বিজনেস আওয়ার/২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১/এ