বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস মহামারির আগে থেকে শুরু করা ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজের বিক্রি এখনো শেষ হয়নি। হাউজটি থেকে এখনো প্রতিদিন (ডিলার ও গ্রাহক হিসাব) কেনার চেয়ে বেশি বিক্রি করা হচ্ছে।
ব্র্যাক ইপিএল গত নভেম্বর মাস থেকে বিক্রির চাপ শুরু করে। যা এখনো অব্যাহত রেখেছে। ব্র্যাক ইপিএলের মতো বড় ব্রোকারেজ হাউজটির এই বিক্রির চাপ শেয়ারবাজারে নেতিবাচক ভূমিকা রাখছে। চলমান সংকটে এই হাউজটি থেকে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক ভূমিকা রাখা হচ্ছে।
করোনাভাইরাস মহামারির কারনে ৬৬ বন্ধ থাকার পরে গত ৩১ মে শেয়ারবাজারে লেনদেন চালু হয়। এরপরে দেশের ব্রোকারেজ হাউজগুলো থেকে কোনদিন বেশি বিক্রি, কোন দিন বেশি ক্রয় হয়। এভাবেই লেনদেনে সমন্বয় হয়ে আসছে। কিন্তু ব্র্যাক ইপিএলর মতো টানা বেশি নিট বিক্রির ঘটনা শেয়ারবাজারে আর কোন হাউজে ঘটেনি।
দেখা গেছে, গত ৪ সপ্তাহের ১৯ কার্যদিবসের মধ্যে ব্র্যাক ইপিএল ১৮ কার্যদিবসই লেনদেনের শীর্ষ দশে ছিল। এরমধ্যে আবার ১৭ কার্যদিবসই কেনার চেয়ে বেশি বিক্রি করা হয়েছে। এ হাউজটি থেকে ওই ১৭ কার্যদিবসে কেনার চেয়ে নিট ৭৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকার বেশি বিক্রি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন…..
ব্যতিক্রম শান্তা সিকিউরিটিজ
নিম্নে ব্র্যাক ইপিএলের গত ৪ সপ্তাহের মধ্যে শীর্ষ দশে থাকা ১৮ কার্যদিবসের লেনদেনের তথ্য তুলে ধরা হল-
তারিখ | ক্রয় (কোটি টাকা) | বিক্রয় (কোটি টাকা) | বিনিয়োগ হ্রাস (কোটি টাকা) |
৭ জুন | ৫.৯৬ | ৮.৩৪ | (২.৩৮) |
৮ জুন | ৩৭.৩৫ | ৩৩.০৮ | ৪.২৭ |
৯ জুন | ৬.৮৪ | ৮.৬৭ | (১.৮৩) |
১০ জুন | ৩.০৩ | ১০.৪০ | (৭.৩৭) |
১১ জুন | ০.৭৬ | ৫.৯০ | (৫.১৪) |
১৪ জুন | ১.৯৮ | ৫.৬২ | (৩.৬৪) |
১৫ জুন | ১.৬১ | ১৭.০৬ | (১৫.৪৫) |
১৬ জুন | ১৭.৮২ | ২৫.২৪ | (৭.৪২) |
১৭ জুন | ৩২.০২ | ৩৫.৭৪ | (৩.৭২) |
১৮ জুন | ২৬.৬৬ | ৩৫.২০ | (৮.৫৪) |
২১ জুন | ১.০১ | ১.৪৮ | (০.৪৭) |
২২ জুন | ১.২০ | ৪.২০ | (৩) |
২৩ জুন | ৫.৮৬ | ১২.০৬ | (৬.২০) |
২৪ জুন | ১.১১ | ২.৭৬ | (১.৬৫) |
২৫ জুন | ১.০২ | ২.৬৬ | (১.৬৪) |
২৯ জুন | ২.২০ | ৬.৭৬ | (৪.৫৬) |
৩০ জুন | ৬.০১ | ৮.১৬ | (২.১৫) |
২ জুলাই | ১.১১ | ৪.১৫ | (৩.০৪) |
মোট | ১৫৩.৫৫ | ২২৭.৪৮ | (৭৩.৯৩) |
বিজনেস আওয়ার/০৪ জুলাই, ২০২০/আরএ