স্পোর্টস ডেস্ক- নাসির হোসেনের ফিটনেস স্কোর শুনে মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেছিলেন, ‘লজ্জাজনক।’ একবার নয়, দুইবার ফিটনেস টেস্টে ফেল করায় প্রধান নির্বাচক সেদিন গণমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘ওর থেকে সিনিয়র অনেক ক্রিকেটার এখন অনেক ভালো করছে।’
প্রথমে ২০১৯ সালের অক্টোবরে জাতীয় ক্রিকেট লিগ শুরুর আগে বিপ টেস্টে নাসিরের স্কোর ৯.২! করোনার প্রার্দুভাবের পর ২০২০ সালের নভেম্বরে ক্রিকেট মাঠে গড়ালে শুরু হয় বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। এর আগে বিপ টেস্টে নাসিরের স্কোর সর্বনিম্ন, ৮.৫। সেবার টি-টোয়েন্টি ড্রাফটেও তাকে রাখেননি নির্বাচকরা।
অযত্ন, অবহেলায় তার ক্যারিয়ারের সূচক দিনকে দিন নিচে নেমেছে। সাফল্যসূর্য যখন ছিল মধ্যগগণে তখন নিজেকে একধাপ এগিয়ে নেওয়ার তাড়ণা অনুভব করেননি। তার শূণ্যস্থান পূরণে সময় লাগেনি। পেছনে যেতে যেতে নাসির হোসেন এখন শুধুই আক্ষেপের নাম।
বারবার ধাক্কা খাওয়া নাসির এখন পরিণত হয়ে ফিরে আসতে চাইছেন। নতুন উদ্যমে শুরুর পরিকল্পনা। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে ফিরে পাওয়ার মিশনে চোখ রাখছেন জাতীয় দলেও। দিনকয়েক আগে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন জাতীয় দলে ফেরার ইচ্ছার কথা। সেই ইচ্ছার প্রমাণও মিলল এবারের ফিটনেস পরীক্ষা ‘ইয়ো ইয়ো টেস্টে’।
যেখানে নাসির একবারেই পরীক্ষায় উতরে গেছেন। শনিবার মিরপুরে ফিটনেস টেস্টে ১৭ এর ওপরে স্কোর করেছেন নাসির। তার ভাষ্য, ‘সম্ভবত ১৭.৪।’ ফিটনেসে উন্নতীর ছাপ স্পষ্ট। ২২ গজে মনোযোগী হলেই নতুন সূর্যর উদয় হবে। নয়তো আড়ালেই থেকে যাবেন।
এদিন মিরপুরে ফিটনেস টেস্ট দিয়েছেন রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা মেট্রোর ক্রিকেটাররা। ধাপে ধাপে বাকি বিভাগের ক্রিকেটাররাও ফিটনেস টেস্ট দেবেন। ১৫ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে জাতীয় ক্রিকেট লিগ।
বিজনেস আওয়ার/০২ অক্টোবর, ২০২১/এএইচ