ঢাকা , সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইক্যুইটি নির্ভরতা কাটিয়ে উঠতে পারলে বিনিয়োগ আরও নিরাপদ হবে

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অক্টোবর ২০২১
  • 69

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমাদের শেয়ারবাজারের ৮৫ ভাগই ইক্যুইটি মার্কেটে বিনিয়োগ করে থাকে। কিন্তু একটি ভালো শেয়ারবাজারে ইক্যুইটি মার্কেট ৫ ভাগের ১ ভাগ হয়ে থাকে। তবে আমাদের শেয়ারবাজারে উল্টোটা ইক্যুইটি মার্কেটের অংশটাই বেশি হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা যদি বন্ড, ডেরিভেটিবস ও কমোডিটি মার্কেটকে নিয়ে আসতে পারি, তাহলে শেয়ারবাজার আরও সক্ষম হবে। যারা বিনিয়োগকারী, তাদের বিনিয়োগ নিরাপদ হবে।

বুধবার (০৬ অক্টোবর) বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম। আর মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সালেহ জহুর।

শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, কমিশন দু-একটি গ্রীন বন্ডের অনুমোদন দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন ব্লু বন্ডের অনুমোদনের সুযোগ করে উঠতে পারেনি। আশা করব সিএসই অচিরেই পরিবেশবান্ধব কোন ব্লু বন্ডের প্রস্তাব করতে পারবে।

তিনি বলেন, বিনিয়োগ সপ্তাহের মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানুষকে সচেতন করা। এই বাজার ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সবসময় সচেতনভাবে বিনিয়োগ করতে হবে। এই সচেতনতটা কিভাবে তৈরী হবে, সেটা আমাদের শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো চেষ্টা করেন। তবে যেসব বিনিয়োগকারী সরাসরি বিনিয়োগ শিক্ষা বা সচেতনতামূলক প্রশিক্ষনে অংশগ্রহন করতে পারেন না, তাদেরকে বিএসইসির ওয়েবসাইট দেখার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। অথবা ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি বিডি ডটকমে গিয়ে বিনিয়োগ শিক্ষা সর্ম্পক্যে ব্যাপক ধারনা পাবেন বলে জানান।

বিএসইসির এই কমিশনার বলেন, শেয়ারবাজারের আমরা যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ রেগুলেটর আছি, তাদেরকে মনে রাখতে হবে বিনিয়োগকারীরাই শেয়ারবাজারের প্রাণ। এই বিনিয়োগকারীদেরকে আমরা যত ধরনের সুযোগ ও সুরক্ষা দিতে পারব, কাছে নিয়ে আসতে পারব, তাদের প্রয়োজন-অপ্রয়োজনকে মূল্য দিতে পারব, ততই আমাদের বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত হবে। একইসঙ্গে দেশের অর্থনীতি প্রবৃদ্ধি হবে।

বিজনেস আওয়ার/০৬ অক্টোবর, ২০২১/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ইক্যুইটি নির্ভরতা কাটিয়ে উঠতে পারলে বিনিয়োগ আরও নিরাপদ হবে

পোস্ট হয়েছে : ০৪:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অক্টোবর ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমাদের শেয়ারবাজারের ৮৫ ভাগই ইক্যুইটি মার্কেটে বিনিয়োগ করে থাকে। কিন্তু একটি ভালো শেয়ারবাজারে ইক্যুইটি মার্কেট ৫ ভাগের ১ ভাগ হয়ে থাকে। তবে আমাদের শেয়ারবাজারে উল্টোটা ইক্যুইটি মার্কেটের অংশটাই বেশি হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা যদি বন্ড, ডেরিভেটিবস ও কমোডিটি মার্কেটকে নিয়ে আসতে পারি, তাহলে শেয়ারবাজার আরও সক্ষম হবে। যারা বিনিয়োগকারী, তাদের বিনিয়োগ নিরাপদ হবে।

বুধবার (০৬ অক্টোবর) বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম। আর মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সালেহ জহুর।

শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, কমিশন দু-একটি গ্রীন বন্ডের অনুমোদন দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন ব্লু বন্ডের অনুমোদনের সুযোগ করে উঠতে পারেনি। আশা করব সিএসই অচিরেই পরিবেশবান্ধব কোন ব্লু বন্ডের প্রস্তাব করতে পারবে।

তিনি বলেন, বিনিয়োগ সপ্তাহের মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানুষকে সচেতন করা। এই বাজার ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সবসময় সচেতনভাবে বিনিয়োগ করতে হবে। এই সচেতনতটা কিভাবে তৈরী হবে, সেটা আমাদের শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো চেষ্টা করেন। তবে যেসব বিনিয়োগকারী সরাসরি বিনিয়োগ শিক্ষা বা সচেতনতামূলক প্রশিক্ষনে অংশগ্রহন করতে পারেন না, তাদেরকে বিএসইসির ওয়েবসাইট দেখার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। অথবা ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি বিডি ডটকমে গিয়ে বিনিয়োগ শিক্ষা সর্ম্পক্যে ব্যাপক ধারনা পাবেন বলে জানান।

বিএসইসির এই কমিশনার বলেন, শেয়ারবাজারের আমরা যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ রেগুলেটর আছি, তাদেরকে মনে রাখতে হবে বিনিয়োগকারীরাই শেয়ারবাজারের প্রাণ। এই বিনিয়োগকারীদেরকে আমরা যত ধরনের সুযোগ ও সুরক্ষা দিতে পারব, কাছে নিয়ে আসতে পারব, তাদের প্রয়োজন-অপ্রয়োজনকে মূল্য দিতে পারব, ততই আমাদের বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত হবে। একইসঙ্গে দেশের অর্থনীতি প্রবৃদ্ধি হবে।

বিজনেস আওয়ার/০৬ অক্টোবর, ২০২১/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: