ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সদরঘাটে লঞ্চডুবি ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন সোমবার

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ জুলাই ২০২০
  • 93

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : গত ২৯ জুন শ্যামবাজার ফরাসগঞ্জ সংলগ্ন সদরঘাটে ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় মর্নিং বার্ড ডুবির ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন সোমবার (৬ জুলাই) প্রকাশ করা হবে। তবে তদন্ত কমিটি ময়ূর-২-এর মাস্টার এবং ড্রাইভারের অদক্ষতা ও অবহেলার প্রমাণ পেয়েছেন। ঘটনার পর থেকে এখনও পালিয়ে রয়েছে অভিযুক্ত লঞ্চের মাস্টার, ড্রাইভার ও মালিক।

এ প্রসঙ্গে তদন্ত কমিটির এক সদস্য বলেন, তারা ময়ূর-২ লঞ্চ মালিকের কোনো বক্তব্য পাননি। তবে তার প্রতিষ্ঠান সি হর্স করপোরেশনের ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া ময়ূর-২ লঞ্চ’র কেরানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাছাড়া লঞ্চ ডুবির ঘটনায় পাওয়া সিসিটিভি ফুটেজকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়েছে।

এর আগে ২৯ জুন দুর্ঘটনার পর পরই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়। কমিটিকে সাতদিনের মধ্যে দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটন, দায়ী ব্যক্তি বা সংস্থাকে শনাক্ত এবং দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় উল্লেখ করে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ দেওয়ার জন্য বলা হয়। এ কমিটি মর্নিং বার্ড লঞ্চের বেঁচে যাওয়া ১১ যাত্রীসহ প্রত্যক্ষদর্শী ২৫ জনের বক্তব্য নিয়েছে।সে অনুযায়ী ৬ জুলাই প্রকাশ করা হবে তদন্ত প্রতিবেদন।

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা যায়, লঞ্চ দুঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা তাদের কাছে বলেছে যে, ময়ূর-২ লঞ্চটি হঠাৎ করেই মর্নিং বার্ড লঞ্চের দিকে চেপে আসছিল। প্রথমে পেছনে বেপরোয়াভাবে ধাক্কা দিলে লঞ্চের ভেতরে সবাই ভয়ে চিৎকার দিয়ে ওঠেন। এর মাত্র ৬ সেকেন্ডের মাথায় আরেক ধাক্কায় লঞ্চটি ডুবে যায়।

বিজনেস আওয়ার/০৫ জুলাই, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সদরঘাটে লঞ্চডুবি ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন সোমবার

পোস্ট হয়েছে : ১১:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ জুলাই ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : গত ২৯ জুন শ্যামবাজার ফরাসগঞ্জ সংলগ্ন সদরঘাটে ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় মর্নিং বার্ড ডুবির ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন সোমবার (৬ জুলাই) প্রকাশ করা হবে। তবে তদন্ত কমিটি ময়ূর-২-এর মাস্টার এবং ড্রাইভারের অদক্ষতা ও অবহেলার প্রমাণ পেয়েছেন। ঘটনার পর থেকে এখনও পালিয়ে রয়েছে অভিযুক্ত লঞ্চের মাস্টার, ড্রাইভার ও মালিক।

এ প্রসঙ্গে তদন্ত কমিটির এক সদস্য বলেন, তারা ময়ূর-২ লঞ্চ মালিকের কোনো বক্তব্য পাননি। তবে তার প্রতিষ্ঠান সি হর্স করপোরেশনের ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া ময়ূর-২ লঞ্চ’র কেরানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাছাড়া লঞ্চ ডুবির ঘটনায় পাওয়া সিসিটিভি ফুটেজকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়েছে।

এর আগে ২৯ জুন দুর্ঘটনার পর পরই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়। কমিটিকে সাতদিনের মধ্যে দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটন, দায়ী ব্যক্তি বা সংস্থাকে শনাক্ত এবং দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় উল্লেখ করে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ দেওয়ার জন্য বলা হয়। এ কমিটি মর্নিং বার্ড লঞ্চের বেঁচে যাওয়া ১১ যাত্রীসহ প্রত্যক্ষদর্শী ২৫ জনের বক্তব্য নিয়েছে।সে অনুযায়ী ৬ জুলাই প্রকাশ করা হবে তদন্ত প্রতিবেদন।

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা যায়, লঞ্চ দুঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা তাদের কাছে বলেছে যে, ময়ূর-২ লঞ্চটি হঠাৎ করেই মর্নিং বার্ড লঞ্চের দিকে চেপে আসছিল। প্রথমে পেছনে বেপরোয়াভাবে ধাক্কা দিলে লঞ্চের ভেতরে সবাই ভয়ে চিৎকার দিয়ে ওঠেন। এর মাত্র ৬ সেকেন্ডের মাথায় আরেক ধাক্কায় লঞ্চটি ডুবে যায়।

বিজনেস আওয়ার/০৫ জুলাই, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: