ঢাকা , সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ন্যাশনাল টি’তে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অক্টোবর ২০২১
  • 57

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন ও বিনিয়োগকারীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শেয়ারবাজারে খাদ্য ও অনুসঙ্গিক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ন্যাশনাল টিতে দুইজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনা ও কোম্পানিটির করপোরেট সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

সম্প্রতি ন্যাশনাল টি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়টি ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই-সিএসই) কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করা হয়েছে।

ন্যাশনাল টি কোম্পানিতে মনোনয়ন পাওয়া স্বতন্ত্র পরিচালকেরা হলেন- বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. জাহিদুর রহমান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. রাজিয়া বেগম।

বুধবার (০৬ অক্টোবর) ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে ন্যাশনাল টি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে বিগ্রেডিয়ার মো. জাহিদুর রহমান ও অধ্যাপক ড. রাজিয়া বেগমের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সে হিসবে স্বতন্ত্র পরিচালকদ্বয় আজ থেকেই কোম্পানির পরিচালনার কাজে যুক্ত হয়েছেন।

ডিএসই’র প্রতিবেদন ও বার্ষিক প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ন্যাশনাল টি কোম্পানির বিরুদ্ধে বার্ষিক প্রতিবেদনে করপোরেট গভর্নেন্স কোড লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। এসব বিষয়ে বেশ কিছু বিনিয়োগকারী কমিশনে অভিযোগও করেছেন।

তথ্য মতে, ন্যাশনাল টি কোম্পানির ওয়েবসাইটে নমিনেশন অ্যান্ড রেমুনারেশন কমিটি (এনআরসি) কর্তৃক নির্ধারিত চেয়ারম্যান, অন্যান্য পর্ষদ সদস্য এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) জন্য কোড অব কন্ডাক্ট (আচরণবিধি) প্রকাশ করা হয়নি। ফলে কোম্পানিটি বিএসইসির করপোরেট গভর্নেন্স কোড, ২০১৮ এর শর্ত ১( ৭)(বি) লঙ্ঘন করেছে। এছাড়া ২০২০ সালের ৩০ সমাপ্ত হিসাব বছরের বার্ষিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, কোম্পানিটি করপোরেট গভর্নেন্স কোডের শর্ত ৫(৪)(এ) অনুযায়ী অডিট কমিটি আর্থিক বছরে ৪টি সভা আয়োজন করেছে বলে জানিয়েছে। তবে প্রকৃত পক্ষে কোম্পানিটি মাত্র তিনটি সভা করেছে। ফলে কোম্পানিটি করপোরেট গভর্নেন্স কোডের শর্ত ৫(৪)(এ) লঙ্ঘন করেছে। তাই সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে করপোরেট সুশাসন নিশ্চিত করতে বিএসইসি ন্যাশনাল টি কোম্পানিতে দুইজন স্বতন্ত্র পরিচালক মনোনয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ বিষয়ে ন্যাশনাল টি কোম্পানির কোম্পানি সচিব এ কে আজাদ চৌধুরীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

বিজনেস আওয়ার/০৬ অক্টোবর, ২০২১/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ন্যাশনাল টি’তে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ

পোস্ট হয়েছে : ১০:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অক্টোবর ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন ও বিনিয়োগকারীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শেয়ারবাজারে খাদ্য ও অনুসঙ্গিক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ন্যাশনাল টিতে দুইজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনা ও কোম্পানিটির করপোরেট সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

সম্প্রতি ন্যাশনাল টি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়টি ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই-সিএসই) কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করা হয়েছে।

ন্যাশনাল টি কোম্পানিতে মনোনয়ন পাওয়া স্বতন্ত্র পরিচালকেরা হলেন- বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. জাহিদুর রহমান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. রাজিয়া বেগম।

বুধবার (০৬ অক্টোবর) ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে ন্যাশনাল টি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে বিগ্রেডিয়ার মো. জাহিদুর রহমান ও অধ্যাপক ড. রাজিয়া বেগমের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সে হিসবে স্বতন্ত্র পরিচালকদ্বয় আজ থেকেই কোম্পানির পরিচালনার কাজে যুক্ত হয়েছেন।

ডিএসই’র প্রতিবেদন ও বার্ষিক প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ন্যাশনাল টি কোম্পানির বিরুদ্ধে বার্ষিক প্রতিবেদনে করপোরেট গভর্নেন্স কোড লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। এসব বিষয়ে বেশ কিছু বিনিয়োগকারী কমিশনে অভিযোগও করেছেন।

তথ্য মতে, ন্যাশনাল টি কোম্পানির ওয়েবসাইটে নমিনেশন অ্যান্ড রেমুনারেশন কমিটি (এনআরসি) কর্তৃক নির্ধারিত চেয়ারম্যান, অন্যান্য পর্ষদ সদস্য এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) জন্য কোড অব কন্ডাক্ট (আচরণবিধি) প্রকাশ করা হয়নি। ফলে কোম্পানিটি বিএসইসির করপোরেট গভর্নেন্স কোড, ২০১৮ এর শর্ত ১( ৭)(বি) লঙ্ঘন করেছে। এছাড়া ২০২০ সালের ৩০ সমাপ্ত হিসাব বছরের বার্ষিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, কোম্পানিটি করপোরেট গভর্নেন্স কোডের শর্ত ৫(৪)(এ) অনুযায়ী অডিট কমিটি আর্থিক বছরে ৪টি সভা আয়োজন করেছে বলে জানিয়েছে। তবে প্রকৃত পক্ষে কোম্পানিটি মাত্র তিনটি সভা করেছে। ফলে কোম্পানিটি করপোরেট গভর্নেন্স কোডের শর্ত ৫(৪)(এ) লঙ্ঘন করেছে। তাই সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে করপোরেট সুশাসন নিশ্চিত করতে বিএসইসি ন্যাশনাল টি কোম্পানিতে দুইজন স্বতন্ত্র পরিচালক মনোনয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ বিষয়ে ন্যাশনাল টি কোম্পানির কোম্পানি সচিব এ কে আজাদ চৌধুরীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

বিজনেস আওয়ার/০৬ অক্টোবর, ২০২১/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: