বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: যুক্তরাষ্ট্রের কানেক্টহার ফিল্মফেস্টিভ্যাল প্রতিযোগিতায় ফাইনালের জন্য নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশের ছেলে রাইয়ানের তৈরি ডকুমেন্টারি ফিল্ম ‘দ্যা মান্থলি কার্স’। গ্রিন আইএস পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে এটি।
ডকুমেন্টারি ফিল্মটিতে মূলত বাংলাদেশের পিরিয়ড দারিদ্র্যতা এবং তা সমাধানের জন্য কাজ করে যাওয়া সংস্থা ‘ঋতু’র অবদান তুলে ধরা হয়েছে।
রাইয়ানের চলচ্চিত্র ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে নভেরা হাসান নিক্কণের চলচ্চিত্র ‘আগুয়ান’ এ প্রতিযোগিতায় তিনটি ক্যাটেগরিতে মনোনীত হয়েছে। মূলত তার ফিল্ম ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণের মাধ্যমে রাইয়ান কানেক্টহার চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিচ্ছে।
রাইয়ান উল ইসলাম বাংলাদেশ নৌবাহিনী (বিএন) কলেজ, ঢাকার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। রাইয়ান বলেন, প্রতিযোগিতায় যখন অংশগ্রহণ করি, তখন ভাবিনি এতদূর পর্যন্ত যেতে পারবো। আমার ফিল্মের বিষয়টি অবশ্য ভালো ছিল। তবে যখন এক রাউন্ড থেকে অন্য রাউন্ডে যাওয়ার ফল আসতে দেরি হচ্ছিল, তখন বিচলিত হয়ে পড়ি। এর মধ্যে কানেক্টহার থেকে নিয়মিত যোগাযোগ রাখায় কিছুটা আশাবাদীও ছিলাম। শেষ পর্যন্ত ফাইনাল রাউন্ড পর্যন্ত যেতে পারায় খুব ভালো লাগছে।
কানেক্টহার মূলত যুক্তরাষ্ট্রের একটি বেসরকারি সংস্থা। যারা বৈশ্বিকভাবে নারীদের সামাজিক মর্যাদা ও স্থিতি পরিবর্তনের লক্ষ্যে শক্তিশালী গল্প, প্রকল্প এবং চলচ্চিত্রসহ এ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ করে থাকে।
কানেক্টহার ফিল্মফেস্টিভ্যালের মাধ্যমে অনূর্ধ্ব-২৫ বছরের নির্মাতারা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মাধ্যমে এমন সব গল্প উপস্থাপন করেন, যা স্থানীয়ভাবে এবং বিশ্বব্যাপী নারীদের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো নিয়ে সচেতনতা তৈরি করাসহ ওই বিষয়ে সাহায্যের জন্য দর্শকদের অনুপ্রাণিত করে থাকে।
২০১৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তারা বিশ্বের ৬০ দেশের চলচ্চিত্রে প্রায় ১৭৫ হাজার ডলার বৃত্তি প্রদান করেছে। আগামী ১৩ নভেম্বর অনলাইনে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
বিজনেস আওয়ার/১৮ অক্টোবর, ২০২১/এএইচ