ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এন্ড্রু কিশোরকে নিয়ে যেভাবে স্মৃতিচারণ করলেন তাঁরা

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুলাই ২০২০
  • 93

বিনোদন ডেস্ক : কিংবদন্তি সংগীত শিল্পী এন্ড্রু কিশোরের মৃত্যুতে স্মৃতিচারণ করেছেন কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা, জেমস, কুমার বিশ্বজিত, আসিফ আকবর, শাকিব খান, রিয়াজ, অরুনা বিশ্বাস, মস্তোফা সরোয়ার ফারুকী,মিশা সওদাগর, জয়া আহসান ও জিৎ গাঙ্গুলি। স্মৃতিচারণায় উঠে আসে হৃদয়স্পর্শী অনেক কথা। তার প্রস্থান শোকের সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছে সংগীতের অনুরাগীদের।

রুনা লায়লা
এন্ড্রু কিশোরের সঙ্গে জুটি বেধে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন রুনা লায়লা। তার মতে, সদ্য প্রয়াত গায়ক মেলোডিয়াস কণ্ঠশৈলীর জন্য অমর হয়ে থাকবেন। আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান এই গায়িকা ফেসবুকে এক শোক বার্তায় বলেন, ভারাক্রান্ত হৃদয়ে সংগীত অঙ্গনের এক বলিষ্ঠ মানুষকে বিদায় জানাচ্ছি। যাকে মেলোডিয়াস কণ্ঠ ও হৃদয়ে ঝড় তোলা গান অমর করে রাখবে। আগামী প্রজন্মকে তিনি অনুপ্রেরণা দিয়ে যাবেন।

কুমার বিশ্বজিৎ
প্রিয় সহযাত্রীর মৃত্যুতে শোকে কাতর সঙ্গীত শিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ। নিজেরে ভেরিফাই ফেসবুক পেইজে তিনি লিখেছেন, ‘এন্ড্রু কিশোরের মতো ক্ষনজন্মা শিল্পী যুগে যুগে আসে না। তার চলে যাওয়ায় আমাদের সঙ্গীতাঙ্গনের যে ক্ষতি হয়েছে তা কোনোদিনও পূরণ হওয়ার নয়। শুধু সহযাত্রীই নয়, বরং হারালাম আমার একজন ভাই যিনি আমাকে শাসন করেছেন যেমনটি, তেমনি আদরও। এই শোক সত্যি সত্যিই অসহনীয়। তার আত্মার শান্তি কামনা করি এবং পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছি।’

জেমস
এন্ড্রু দা আর আমরা একই অঞ্চলের মানুষ। দাদা আমার কয়েক বছরের সিনিয়র। একটি পত্রিকার অনুষ্ঠানে তার হাত থেকে আমি ক্রেস্ট নিয়েছিলাম। তার হাসিমাখা মুখ আর ওই ক্রেস্ট নেওয়ার মুহূর্তের আনন্দটা ছিল অসাধারণ। সে সময় তার সঙ্গে কানে কানে কথা হয়েছিল। ‘কেমন আছেন সব ঠিকঠাক তো?’ দুষ্টুমির ছলেই এ কথাটা বলেছিলাম। এন্ড্রু দা শুনে হাসছিলেন।

তার হাসিমাখা মুখটা ভুলে থাকা কঠিন, সত্যিই অনেক কঠিন! এক রকম সরলতা সব সময় বিরাজ করত তার চোখে-মুখে। সেই সরলতামাখা মায়াভরা মুখ আর কখনও দেখতে পাব না, এটা ভাবতেই পারছি না। এন্ড্রু দার সঙ্গে আমার শেষ কথা হয় তিনি যখন সিঙ্গাপুর চিকিৎসাধীন ছিলেন তখন। ফোনে তার সঙ্গে কথা হয় অনেক।

আমি এন্ড্রু দাকে বলেছি, আপনি কিন্তু পুরো চিকিৎসা করে একেবারে নিশ্চিত হয়ে দেশে আসবেন। সেদিন দাদা খুব খুশি হয়েছিলেন।দাদা আজ আমাদের মাঝে আর নেই, বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। সঙ্গীতে তার আসন কোথায় তা কারোরই বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। তিনি অনেক কিছুর ঊর্ধ্বে। তিনি তার গানেই আমাদের মধ্যে বেঁচে থাকবেন। দাদা যেখানে থাক, ভালো থাক- এটাই কামনা করি।

আসিফ আকবর
আমাদের সম্পর্কটা ছিলো বড় ভাই ও ছোট ভাইয়ের মতো। দাদা (এন্ড্রু কিশোর) অনেক স্নেহ করতেন। তার সঙ্গে ২২ বছরের সম্পর্ক আমার। তার কাছে অনেক ভালো পরামর্শ পেয়েছি। সবসময় আমাকে রাগ কমাতে বলতেন। তার চলে যাওয়ায় ইন্ডাস্ট্রিতে খুব বড় ধরনের এক ক্ষতি হয়ে গেল। তার শূন্যতা কোনোভাবেই পূর্ণ হবে না। এখন আমাদের উচিৎ তাকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা। তার কাজ ও স্মৃতি সংরক্ষণ করা।

১৯৯৮ সালের প্রথমবার এন্ড্রু দাদার সঙ্গে আমার সরাসরি দেখা হয়। উনি শ্রুতি স্টুডিও-১ গান রেকর্ডিং করছিলেন, আমি ছিলাম শ্রুতি স্টুডিও-২ -এ। দাদা আমাকে আগে থেকেই চিনতেন। রেকর্ডিং শেষে বললেন, তুমি অনেক দূর যাবা। লেগে থাকো।

রিয়াজ
‘আমি দাদার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। তিনি আমাদের বাস্তবিকই প্লেব্যাক সম্রাট। তার গান এ দেশের সিনেমাকে আলোকিত কিরেছে। তিনি আমাদের সিনেমার একজন প্রাণপুরুষ বলেই মনে করি আমি।

তিনি বলেন, ‘দাদার সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি আছে। আমার জন্য যেটি প্লাস হয়েছিল সেটি হচ্ছে দাদা যখন গান গাইতেন তখন আমার স্কেলে মিলিয়ে গাইতেন। এইটা দাদার অদ্ভুত একটা গুণ ছিল বলা যায়। যখন যার জন্য গাইতেন তখনই তিনি এটা করতেন। আরেকটা বিষয়, দাদা আনন্দ নিয়ে গান গাইতেন।

‘পড়ে না চোখের পলক’ গানে আমার পারফর্ম দেখে দাদা প্রশংসা করেছিলেন। বলেছিলো তুই দারুণ অভিনয় করেছিস। আমিও বলেছিলাম দাদা আপনি এতো সুন্দর করে গানটি গেয়েছেন যে আমি সুন্দর করে পারফর্ম না করে থাকতে পারিনি।’

‘আমার যতগুলো হিট সিনেমা আছে বেশিরভাগ ছবিতেই মনে হয় এন্ড্রু দা’র কণ্ঠের গান আছে। বলা যায়, আমার বেশিরভাগ হিট গান দাদারই গাওয়া। দেশের বাইরে দাদার সাথে আমার অনেক শো করা হয়েছে। তিনি খুবই মিশুক প্রকৃতির ছিলেন। বাইরে গেলে রাতের পর রাত আমরা প্রচুর আড্ডা দিতাম।তিনি খুবই আড্ডা প্রিয় মানুষ ছিলেন। আর এন্ড্রু দাদা এতো বড়শিল্পী হওয়ার পরও তার মধ্যে কোনো অহমিকা দেখিনি। দাদার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।’

শাকিব খান
নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে শোক জানিয়ে শাকিব লিখেছেন, ‘দেশবরেণ্য সংগীতশিল্পী, প্লেব্যাক সম্রাট ‌‘এন্ড্রু কিশোর’ এর মৃত্যুর মাধ্যমে বাংলাদেশের সংগীত আরও একজন লিজেন্ডকে হারালো। এই ক্ষতি কখনোই পূরণ হওয়ার নয়। যেখানেই থাকবেন ভালো থাকবেন রোমান্টিক গানের মাস্টার ভয়েস। এমন গুণীজনের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত।’

জয়া আহসান
সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান ফেসবুকে লেখেন, এন্ড্রু কিশোর আমাদের দেশের সংগীত জগতের একটি অধ্যায়ের নাম বলে। তার গান আমাদের মনে গেঁথে থাকবে চিরদিন।

যে শিল্পী ৮ বার জাতীয় পুরস্কারের সম্মানে ভূষিত তাকে নিয়ে যাই লিখবো, তাই কম মনে হবে। শুধু এটুকুই বলতে পারি, আমরা আজীবন আপনার অবদানের জন্য ঋণী হয়ে থাকবো। আপনি বেঁচে থাকবেন আপনার কাজে, আপনার গানে, আপনার সুরে এই দেশের সকল মানুষের মধ্যে।’

অরুণা বিশ্বাস
অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস লিখেছেন, ‘দাদা, আর দেখা হলো না। প্রণাম…।’

মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী
এন্ড্রু কিশোরের জনপ্রিয় গান ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’র একটি ভিডিও শেয়ার করে চলচ্চিত্রকার মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী লিখেছেন, ‘বিদায়, এন্ড্রু দা….।’

মিশা সওদাগর
শিল্পী সমিতির সভাপতি জনপ্রিয় খল অভিনেতা মিশা সওদাগর বলেন, ‘আপনার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। আপনি যেখানেই থাকেন ভালো থাকুন।’

জিৎ গাঙ্গুলি
শোক ও সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও সুরকার জিৎ গাঙ্গুলি। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক হ্যান্ডেলে এন্ড্রু কিশোরের একটি ছবি শেয়ার করে জিৎ গাঙ্গুলি লিখেছেন, বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ এই সংগীতশিল্পীর মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত তিনি। প্রয়াত ও তাঁর পরিবারের জন্য প্রার্থনাও করেছেন জিৎ।

বিজনেস আওয়ার/০৭ জুলাই, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

এন্ড্রু কিশোরকে নিয়ে যেভাবে স্মৃতিচারণ করলেন তাঁরা

পোস্ট হয়েছে : ০১:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুলাই ২০২০

বিনোদন ডেস্ক : কিংবদন্তি সংগীত শিল্পী এন্ড্রু কিশোরের মৃত্যুতে স্মৃতিচারণ করেছেন কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা, জেমস, কুমার বিশ্বজিত, আসিফ আকবর, শাকিব খান, রিয়াজ, অরুনা বিশ্বাস, মস্তোফা সরোয়ার ফারুকী,মিশা সওদাগর, জয়া আহসান ও জিৎ গাঙ্গুলি। স্মৃতিচারণায় উঠে আসে হৃদয়স্পর্শী অনেক কথা। তার প্রস্থান শোকের সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছে সংগীতের অনুরাগীদের।

রুনা লায়লা
এন্ড্রু কিশোরের সঙ্গে জুটি বেধে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন রুনা লায়লা। তার মতে, সদ্য প্রয়াত গায়ক মেলোডিয়াস কণ্ঠশৈলীর জন্য অমর হয়ে থাকবেন। আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান এই গায়িকা ফেসবুকে এক শোক বার্তায় বলেন, ভারাক্রান্ত হৃদয়ে সংগীত অঙ্গনের এক বলিষ্ঠ মানুষকে বিদায় জানাচ্ছি। যাকে মেলোডিয়াস কণ্ঠ ও হৃদয়ে ঝড় তোলা গান অমর করে রাখবে। আগামী প্রজন্মকে তিনি অনুপ্রেরণা দিয়ে যাবেন।

কুমার বিশ্বজিৎ
প্রিয় সহযাত্রীর মৃত্যুতে শোকে কাতর সঙ্গীত শিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ। নিজেরে ভেরিফাই ফেসবুক পেইজে তিনি লিখেছেন, ‘এন্ড্রু কিশোরের মতো ক্ষনজন্মা শিল্পী যুগে যুগে আসে না। তার চলে যাওয়ায় আমাদের সঙ্গীতাঙ্গনের যে ক্ষতি হয়েছে তা কোনোদিনও পূরণ হওয়ার নয়। শুধু সহযাত্রীই নয়, বরং হারালাম আমার একজন ভাই যিনি আমাকে শাসন করেছেন যেমনটি, তেমনি আদরও। এই শোক সত্যি সত্যিই অসহনীয়। তার আত্মার শান্তি কামনা করি এবং পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছি।’

জেমস
এন্ড্রু দা আর আমরা একই অঞ্চলের মানুষ। দাদা আমার কয়েক বছরের সিনিয়র। একটি পত্রিকার অনুষ্ঠানে তার হাত থেকে আমি ক্রেস্ট নিয়েছিলাম। তার হাসিমাখা মুখ আর ওই ক্রেস্ট নেওয়ার মুহূর্তের আনন্দটা ছিল অসাধারণ। সে সময় তার সঙ্গে কানে কানে কথা হয়েছিল। ‘কেমন আছেন সব ঠিকঠাক তো?’ দুষ্টুমির ছলেই এ কথাটা বলেছিলাম। এন্ড্রু দা শুনে হাসছিলেন।

তার হাসিমাখা মুখটা ভুলে থাকা কঠিন, সত্যিই অনেক কঠিন! এক রকম সরলতা সব সময় বিরাজ করত তার চোখে-মুখে। সেই সরলতামাখা মায়াভরা মুখ আর কখনও দেখতে পাব না, এটা ভাবতেই পারছি না। এন্ড্রু দার সঙ্গে আমার শেষ কথা হয় তিনি যখন সিঙ্গাপুর চিকিৎসাধীন ছিলেন তখন। ফোনে তার সঙ্গে কথা হয় অনেক।

আমি এন্ড্রু দাকে বলেছি, আপনি কিন্তু পুরো চিকিৎসা করে একেবারে নিশ্চিত হয়ে দেশে আসবেন। সেদিন দাদা খুব খুশি হয়েছিলেন।দাদা আজ আমাদের মাঝে আর নেই, বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। সঙ্গীতে তার আসন কোথায় তা কারোরই বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। তিনি অনেক কিছুর ঊর্ধ্বে। তিনি তার গানেই আমাদের মধ্যে বেঁচে থাকবেন। দাদা যেখানে থাক, ভালো থাক- এটাই কামনা করি।

আসিফ আকবর
আমাদের সম্পর্কটা ছিলো বড় ভাই ও ছোট ভাইয়ের মতো। দাদা (এন্ড্রু কিশোর) অনেক স্নেহ করতেন। তার সঙ্গে ২২ বছরের সম্পর্ক আমার। তার কাছে অনেক ভালো পরামর্শ পেয়েছি। সবসময় আমাকে রাগ কমাতে বলতেন। তার চলে যাওয়ায় ইন্ডাস্ট্রিতে খুব বড় ধরনের এক ক্ষতি হয়ে গেল। তার শূন্যতা কোনোভাবেই পূর্ণ হবে না। এখন আমাদের উচিৎ তাকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা। তার কাজ ও স্মৃতি সংরক্ষণ করা।

১৯৯৮ সালের প্রথমবার এন্ড্রু দাদার সঙ্গে আমার সরাসরি দেখা হয়। উনি শ্রুতি স্টুডিও-১ গান রেকর্ডিং করছিলেন, আমি ছিলাম শ্রুতি স্টুডিও-২ -এ। দাদা আমাকে আগে থেকেই চিনতেন। রেকর্ডিং শেষে বললেন, তুমি অনেক দূর যাবা। লেগে থাকো।

রিয়াজ
‘আমি দাদার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। তিনি আমাদের বাস্তবিকই প্লেব্যাক সম্রাট। তার গান এ দেশের সিনেমাকে আলোকিত কিরেছে। তিনি আমাদের সিনেমার একজন প্রাণপুরুষ বলেই মনে করি আমি।

তিনি বলেন, ‘দাদার সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি আছে। আমার জন্য যেটি প্লাস হয়েছিল সেটি হচ্ছে দাদা যখন গান গাইতেন তখন আমার স্কেলে মিলিয়ে গাইতেন। এইটা দাদার অদ্ভুত একটা গুণ ছিল বলা যায়। যখন যার জন্য গাইতেন তখনই তিনি এটা করতেন। আরেকটা বিষয়, দাদা আনন্দ নিয়ে গান গাইতেন।

‘পড়ে না চোখের পলক’ গানে আমার পারফর্ম দেখে দাদা প্রশংসা করেছিলেন। বলেছিলো তুই দারুণ অভিনয় করেছিস। আমিও বলেছিলাম দাদা আপনি এতো সুন্দর করে গানটি গেয়েছেন যে আমি সুন্দর করে পারফর্ম না করে থাকতে পারিনি।’

‘আমার যতগুলো হিট সিনেমা আছে বেশিরভাগ ছবিতেই মনে হয় এন্ড্রু দা’র কণ্ঠের গান আছে। বলা যায়, আমার বেশিরভাগ হিট গান দাদারই গাওয়া। দেশের বাইরে দাদার সাথে আমার অনেক শো করা হয়েছে। তিনি খুবই মিশুক প্রকৃতির ছিলেন। বাইরে গেলে রাতের পর রাত আমরা প্রচুর আড্ডা দিতাম।তিনি খুবই আড্ডা প্রিয় মানুষ ছিলেন। আর এন্ড্রু দাদা এতো বড়শিল্পী হওয়ার পরও তার মধ্যে কোনো অহমিকা দেখিনি। দাদার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।’

শাকিব খান
নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে শোক জানিয়ে শাকিব লিখেছেন, ‘দেশবরেণ্য সংগীতশিল্পী, প্লেব্যাক সম্রাট ‌‘এন্ড্রু কিশোর’ এর মৃত্যুর মাধ্যমে বাংলাদেশের সংগীত আরও একজন লিজেন্ডকে হারালো। এই ক্ষতি কখনোই পূরণ হওয়ার নয়। যেখানেই থাকবেন ভালো থাকবেন রোমান্টিক গানের মাস্টার ভয়েস। এমন গুণীজনের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত।’

জয়া আহসান
সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান ফেসবুকে লেখেন, এন্ড্রু কিশোর আমাদের দেশের সংগীত জগতের একটি অধ্যায়ের নাম বলে। তার গান আমাদের মনে গেঁথে থাকবে চিরদিন।

যে শিল্পী ৮ বার জাতীয় পুরস্কারের সম্মানে ভূষিত তাকে নিয়ে যাই লিখবো, তাই কম মনে হবে। শুধু এটুকুই বলতে পারি, আমরা আজীবন আপনার অবদানের জন্য ঋণী হয়ে থাকবো। আপনি বেঁচে থাকবেন আপনার কাজে, আপনার গানে, আপনার সুরে এই দেশের সকল মানুষের মধ্যে।’

অরুণা বিশ্বাস
অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস লিখেছেন, ‘দাদা, আর দেখা হলো না। প্রণাম…।’

মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী
এন্ড্রু কিশোরের জনপ্রিয় গান ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’র একটি ভিডিও শেয়ার করে চলচ্চিত্রকার মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী লিখেছেন, ‘বিদায়, এন্ড্রু দা….।’

মিশা সওদাগর
শিল্পী সমিতির সভাপতি জনপ্রিয় খল অভিনেতা মিশা সওদাগর বলেন, ‘আপনার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। আপনি যেখানেই থাকেন ভালো থাকুন।’

জিৎ গাঙ্গুলি
শোক ও সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও সুরকার জিৎ গাঙ্গুলি। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক হ্যান্ডেলে এন্ড্রু কিশোরের একটি ছবি শেয়ার করে জিৎ গাঙ্গুলি লিখেছেন, বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ এই সংগীতশিল্পীর মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত তিনি। প্রয়াত ও তাঁর পরিবারের জন্য প্রার্থনাও করেছেন জিৎ।

বিজনেস আওয়ার/০৭ জুলাই, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: