ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন কারো জন্য বসে থাকবে না: কাদের

  • পোস্ট হয়েছে : ০৩:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ নভেম্বর ২০২১
  • 43

বিজনেস আওয়ার প্রতিব্দক: বিএনপির কে এলো, কে এলো না- সেটার উপর নির্বাচন নির্ভর করবে না। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন যথাসময়েই হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (৩ নভেম্বর) জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিবে কিনা সেটা তাদের ব্যাপার। সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন যথা সময়েই অনুষ্ঠিত হবে। সময় ও স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। নির্বাচনও কারো জন্য অপেক্ষা করবে না। বিএনপি নির্বাচনে এলো কি এলো না তা দেখার বিষয় না।

তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার জাদুঘরে চলে গেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর জাদুঘর থেকে ফিরে আসবে না বলেও তিনি জানান।

বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগীর যতই হাকডাক করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য। উচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার জাদুঘরে চলে গেছে। জাদুঘর থেকে আর ফিরে আসবে না। পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও সেভাবেই হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি চলছে। তারেক রহমান দেশের বাইরে আছেন। মুচলেকা দিয়েছিলেন আর রাজনীতি করবেন না। শেখ হাসিনা যথার্থই বলেছেন, সাহস থাকলে মাঠে আসেন, মাঠে এসে রাজনীতি করেন। বিএনপির ক্ষমতার স্বপ্ন দিল্লি দূর অস্ত। আন্দোলনে, নির্বাচনে তাদের নেতা কে?

ওবায়দুল কাদের বলেন, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি পুনর্বাসন করেছেন জিয়াউর রহমান। বিএনপি মুক্তিযোদ্ধার দল নয়, মুখোশধারী মুক্তিযোদ্ধার দল। এটা গণতান্ত্রিক দল নয়, বর্ণচোরা গণতান্ত্রিক দল। সাম্প্রদায়িক শক্তির বিশ্বস্ত, নির্ভরযোগ্য ঠিকানা বিএনপি। এখন দেশের এক নম্বর শত্রু সাম্প্রদায়িকতা। আর এই সম্প্রদায়িকতার চারা জিয়াউর রহমান রোপণ করেছিলেন। সেই বিষবৃক্ষ এখন ডালপালা ছড়াচ্ছে।

জেল হত্যা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদেরকে অভিভাবকশুন্য করতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিলো। আর নেতৃত্বশুন্য করতে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে? আপনারা এই দায় এড়াতে চান, সুষ্পষ্ট প্রমাণ আছে। খুনিদের রক্ষা করতে কে তাদের বিদেশে পাঠিয়েছিল, পুরস্কৃত করেছিল। খুনিদের পুরস্কৃত, পুনর্বাসন করেছিলেন সেনাপতি জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে না এই অধ্যাদেশের বৈধতা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। ফখরুল সাহেব এটা কি অস্বীকার করতে পারবেন।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড আর জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমান। খুনিদের মতই একই অপরাধে তিনি অপরাধী। তিনি যদি হত্যাকারী নাই হবেন তাহলে এই হত্যার বিচার হবে না- এই আইনকে কেন বৈধতা দিলেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় দলের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগরের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

বিজনেস আওয়ার/৩ নভেম্বর, ২০২১/এএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

নির্বাচন কারো জন্য বসে থাকবে না: কাদের

পোস্ট হয়েছে : ০৩:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ নভেম্বর ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিব্দক: বিএনপির কে এলো, কে এলো না- সেটার উপর নির্বাচন নির্ভর করবে না। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন যথাসময়েই হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (৩ নভেম্বর) জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিবে কিনা সেটা তাদের ব্যাপার। সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন যথা সময়েই অনুষ্ঠিত হবে। সময় ও স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। নির্বাচনও কারো জন্য অপেক্ষা করবে না। বিএনপি নির্বাচনে এলো কি এলো না তা দেখার বিষয় না।

তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার জাদুঘরে চলে গেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর জাদুঘর থেকে ফিরে আসবে না বলেও তিনি জানান।

বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগীর যতই হাকডাক করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য। উচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার জাদুঘরে চলে গেছে। জাদুঘর থেকে আর ফিরে আসবে না। পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও সেভাবেই হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি চলছে। তারেক রহমান দেশের বাইরে আছেন। মুচলেকা দিয়েছিলেন আর রাজনীতি করবেন না। শেখ হাসিনা যথার্থই বলেছেন, সাহস থাকলে মাঠে আসেন, মাঠে এসে রাজনীতি করেন। বিএনপির ক্ষমতার স্বপ্ন দিল্লি দূর অস্ত। আন্দোলনে, নির্বাচনে তাদের নেতা কে?

ওবায়দুল কাদের বলেন, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি পুনর্বাসন করেছেন জিয়াউর রহমান। বিএনপি মুক্তিযোদ্ধার দল নয়, মুখোশধারী মুক্তিযোদ্ধার দল। এটা গণতান্ত্রিক দল নয়, বর্ণচোরা গণতান্ত্রিক দল। সাম্প্রদায়িক শক্তির বিশ্বস্ত, নির্ভরযোগ্য ঠিকানা বিএনপি। এখন দেশের এক নম্বর শত্রু সাম্প্রদায়িকতা। আর এই সম্প্রদায়িকতার চারা জিয়াউর রহমান রোপণ করেছিলেন। সেই বিষবৃক্ষ এখন ডালপালা ছড়াচ্ছে।

জেল হত্যা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদেরকে অভিভাবকশুন্য করতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিলো। আর নেতৃত্বশুন্য করতে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে? আপনারা এই দায় এড়াতে চান, সুষ্পষ্ট প্রমাণ আছে। খুনিদের রক্ষা করতে কে তাদের বিদেশে পাঠিয়েছিল, পুরস্কৃত করেছিল। খুনিদের পুরস্কৃত, পুনর্বাসন করেছিলেন সেনাপতি জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে না এই অধ্যাদেশের বৈধতা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। ফখরুল সাহেব এটা কি অস্বীকার করতে পারবেন।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড আর জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমান। খুনিদের মতই একই অপরাধে তিনি অপরাধী। তিনি যদি হত্যাকারী নাই হবেন তাহলে এই হত্যার বিচার হবে না- এই আইনকে কেন বৈধতা দিলেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় দলের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগরের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

বিজনেস আওয়ার/৩ নভেম্বর, ২০২১/এএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: