বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বাড়তি ভাড়া আদায়ের নিশ্চয়তা পেয়েই সড়কে গণপরিবহন নামিয়েছে পরিবহন মালিক কর্তৃপক্ষ। ঢাকার মধ্যে সর্বনিম্ন আট টাকা ও দশ টাকা বাস ভাড়া নির্ধারণ করে দিলেও অধিকাংশ পরিবহনে উঠলেই যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে সর্বনিম্ন পনেরো টাকা। নির্ধারিত বাড়তি ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া রাখায় পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে যাত্রীদের বাগ্বিতণ্ডা ও চোটপাটের দৃশ্য প্রায় গণপরিবহনগুলোতেই দেখা গেছে।
সকাল দশটায় রাজধানীর সাইন্সল্যাব এলাকায় রজনীগন্ধা পরিবহনে যাত্রী তোলার আগেই গেটে দাঁড়ানো হেলপার জানিয়ে দিচ্ছিলেন ‘যেইহানেই নামেন, সর্বনিম্ন ভাড়া পনেরো টেকা।’
ভাড়া বাড়ার কথা দুই টাকা কিন্তু এরা সর্বনিম্ন ভাড়া বাড়িয়েছে পাঁচ টাকা। যাত্রীরা গাড়িতে উঠলেই পনেরো টাকা ভাড়া গুনতে হচ্ছে। রীতিমতো পকেট কাটার মতো অবস্থা।
ভাড়ার বৃদ্ধিকে অযৌক্তিক দাবি করে যাত্রী কল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা শরিফুজ্জামান আহমেদ বলেন, চাইলেই গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানো যায় না। এটার কিছু নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া আছে। তেলের দাম বাড়িয়ে জনগণ ও বাস মালিকদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়ে বাস মালিকদের যে সুবিধা দেওয়া হলো। এটা হল সরকারের পলেটিক্স। প্রত্যেকটি গণপরিবহনে শতকরা পঞ্চাশ ভাগ ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে। সরকার যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে সেটাও তারা বাস্তবায়ন করতে পারছে না। সব ক্ষেত্রেই তাদের ব্যর্থতা ফুটে উঠছে।
বিজনেস আওয়ার/ ০৮ নভেম্বর ২০২১/এএইচ