বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: চলতি অর্থবছরের তিন মাসে (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর) ১২২ জন অপ্রদর্শিত অর্থ সাদা করেছেন। তারা মাত্র ১৫ কোটি টাকা সাদা করেছেন। এর বিপরীতে সরকার কর পেয়েছে ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এনবিআরের হালনাগাদ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে শেয়ারবাজারে মাত্র একজন ৩০ লাখ টাকা সাদা করেছেন। এর বিনিময়ে সরকারি কোষাগারে কর হিসেবে জমা হয়েছে ১ লাখ টাকা।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে শেয়ারবাজারসহ বিভিন্ন খাতে প্রযোজ্য কর হার এবং তার সঙ্গে ‘অতিরিক্ত’ ৫ শতাংশ জরিমানা দিয়ে টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়। কেউ এই শর্ত মেনে সরকারের দেওয়া এ সুযোগ গ্রহণ করলে এনবিআরসহ অন্য কোনও গোয়েন্দা সংস্থা তার আয়ের উৎস সম্পর্কে কোনও প্রশ্ন করবে না।
এর আগের অর্থবছরে শেয়ারবাজার, নগদ টাকা, ব্যাংকে গচ্ছিত টাকা, সঞ্চয়পত্র, জমি ক্রয়ে শুধু ১০ শতাংশ কর দিয়ে ঢালাওভাবে কালোটাকা বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ নতুন নিয়মে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ বহাল রাখা হলেও শর্ত কঠোর করা হয়েছে।
এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, আগের বছর প্রায় ১২ হাজার জন সাদা করেছেন ২০ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। ঘোষিত টাকা থেকে সরকার কর পেয়েছে ২ হাজার কোটি টাকা।
এবারের বাজেটের বাইরে আরও তিনটি খাতে (আগে থেকেই) কালোটাকা বৈধ করার সুযোগ বহাল রয়েছে: সেগুলো হলো ১০ শতাংশ কর দিয়ে হাইটেক পার্কে বিনিয়োগ করলে আয়ের উৎস সম্পর্কে কোনও প্রশ্ন করা হবে না। রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে বিনিয়োগে একই সুবিধা দেওয়া রয়েছে। এ ছাড়া সিটি ও পৌর করপোরেশনের মধ্যে এলাকাভেদে ফ্ল্যাটে প্রতি বর্গমিটারে নির্ধারিত কর দিয়ে টাকা বৈধ করা যায়।
বিজনেস আওয়ার/ ২২ নভেম্বর, ২০২১/এএইচ