ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওয়েস্টার্ন মেরিনের ৩৫ টাকার আইপিও শেয়ার রাইটে নামল ১০ টাকায়

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ০২০৯
  • 64

রেজোয়ান আহমেদ : ব্যবসায় উন্নতির লক্ষ্যে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হলেও ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের অবনতি হয়েছে। কোম্পানিটির তালিকাভুক্তির ৫ বছরের ব্যবধানে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) ৩৫ টাকার শেয়ার রাইট প্রস্তাবে ১০ টাকায় নেমে এসেছে। কয়েক দফায় সংশোধনীর মাধ্যমে রাইট প্রস্তাবে শুধুমাত্র ১০ টাকা দরে শেয়ার ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়েস্টার্ন মেরিন কর্তৃপক্ষ। যে কোম্পানিটির পর্ষদ তালিকাভুক্তির ৫ বছরই বোনাস শেয়ার দেওয়ার মাধ্যমে মূলধন দ্বিগুণ করার পরেও রাইট শেয়ার ইস্যু করতে মরিয়া।

কোম্পানিটির শেয়ারবাজারে আসার আগে ৬৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধন ছিল। যা টানা ৫ বছর বোনাস শেয়ার প্রদানের মাধ্যমে ও আইপিওতে ৪৫ কোটি টাকার (প্রিমিয়াম ব্যতিত অংশ) শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ১৯৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকায় উন্নিত করা হয়েছে। এছাড়া আইপিওতে আরও ১১২ কোটি ৫০ লাখ টাকার প্রিমিয়াম সংগ্রহ করা হয়। এখন আবার রাইট শেয়ারের মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে চায়।

ওয়েস্টার্ন মেরিন ২০১৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। যে কোম্পানিটির পর্ষদ আইপিও’র অর্থ ব্যবহারের আগেই ২০১৩-১৪ অর্থবছরের ব্যবসায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫ শতাংশ নগদের পাশাপাশি ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করে। এরপরের ২ বছর বোনাসেই সীমাবদ্ধ ছিল। এরমধ্যে ২০১৫ সালে ১০ শতাংশ বোনাস ও ২০১৬ সালে ১২ শতাংশ বোনাস দেয়। এরপরের বছর ১২ শতাংশ বোনাসের সঙ্গে ৩ শতাংশ নগদ দেয়। আর সর্বশেষ ২০১৮ সালে ২০ শতাংশ বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

ওয়েস্টার্ন মেরিন আইপিওতে ২০১৪ সালে প্রতিটি শেয়ার ৩৫ টাকা করে ইস্যুর মাধ্যমে ১৫৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা সংগ্রহ করে। তবে এখন শুধুমাত্র অভিহিত মূল্য ১০ টাকা দরে রাইট শেয়ার ইস্যু করতে চায়। যদিও কোম্পানিটি এর আগে গতবছরের ২৫ জুলাই ৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ প্রতিটি শেয়ার ১৫ টাকা দরে ২টি সাধারন শেয়ারের বিপরীতে ১টি রাইট শেয়ার ইস্যু করার জন্য সংশোধন করেছিল। একই দরে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই ১টি সাধারন শেয়ারের বিপরীতে ১টি রাইট শেয়ার প্রস্তাবের জন্য সংশোধন করেছিল। তবে এর আগে ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর ২০ টাকা দরে ১টি সাধারন শেয়ারের বিপরীতে ১.২৫টি রাইট শেয়ার ইস্যু করার জন্য প্রস্তাব করেছিল।

সক্ষমতা বৃদ্ধি ও ঋণ পরিশোধের জন্য রাইট শেয়ার ইস্যু করতে চায় ওয়েস্টার্ন মেরিন কর্তৃপক্ষ। যে কোম্পানিটি আইপিওতে সংগৃহিত অর্থের ৮২.৬৪ শতাংশ অর্থ দিয়ে ঋণ পরিশোধ করেছিল।

কোম্পানিটির পক্ষে উচ্চমূল্যে আইপিওতে শেয়ার ইস্যু করা হলেও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি। বরং কোম্পানিটিতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা তলানিতে নেমে গেছে। যাতে ৩৫ টাকা ইস্যু মূল্যের শেয়ারটির বাজার দর এখন (০৯ ফেব্রুয়ারি) ২০.৯০ টাকা।

এ বিষয়ে জানতে ওয়েস্টার্ন মেরিনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাখাওয়াত হোসাইনের ব্যক্তিগত ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

বিজনেস আওয়ার/১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ওয়েস্টার্ন মেরিনের ৩৫ টাকার আইপিও শেয়ার রাইটে নামল ১০ টাকায়

পোস্ট হয়েছে : ০৪:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ০২০৯

রেজোয়ান আহমেদ : ব্যবসায় উন্নতির লক্ষ্যে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হলেও ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের অবনতি হয়েছে। কোম্পানিটির তালিকাভুক্তির ৫ বছরের ব্যবধানে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) ৩৫ টাকার শেয়ার রাইট প্রস্তাবে ১০ টাকায় নেমে এসেছে। কয়েক দফায় সংশোধনীর মাধ্যমে রাইট প্রস্তাবে শুধুমাত্র ১০ টাকা দরে শেয়ার ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়েস্টার্ন মেরিন কর্তৃপক্ষ। যে কোম্পানিটির পর্ষদ তালিকাভুক্তির ৫ বছরই বোনাস শেয়ার দেওয়ার মাধ্যমে মূলধন দ্বিগুণ করার পরেও রাইট শেয়ার ইস্যু করতে মরিয়া।

কোম্পানিটির শেয়ারবাজারে আসার আগে ৬৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধন ছিল। যা টানা ৫ বছর বোনাস শেয়ার প্রদানের মাধ্যমে ও আইপিওতে ৪৫ কোটি টাকার (প্রিমিয়াম ব্যতিত অংশ) শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ১৯৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকায় উন্নিত করা হয়েছে। এছাড়া আইপিওতে আরও ১১২ কোটি ৫০ লাখ টাকার প্রিমিয়াম সংগ্রহ করা হয়। এখন আবার রাইট শেয়ারের মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে চায়।

ওয়েস্টার্ন মেরিন ২০১৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। যে কোম্পানিটির পর্ষদ আইপিও’র অর্থ ব্যবহারের আগেই ২০১৩-১৪ অর্থবছরের ব্যবসায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫ শতাংশ নগদের পাশাপাশি ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করে। এরপরের ২ বছর বোনাসেই সীমাবদ্ধ ছিল। এরমধ্যে ২০১৫ সালে ১০ শতাংশ বোনাস ও ২০১৬ সালে ১২ শতাংশ বোনাস দেয়। এরপরের বছর ১২ শতাংশ বোনাসের সঙ্গে ৩ শতাংশ নগদ দেয়। আর সর্বশেষ ২০১৮ সালে ২০ শতাংশ বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

ওয়েস্টার্ন মেরিন আইপিওতে ২০১৪ সালে প্রতিটি শেয়ার ৩৫ টাকা করে ইস্যুর মাধ্যমে ১৫৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা সংগ্রহ করে। তবে এখন শুধুমাত্র অভিহিত মূল্য ১০ টাকা দরে রাইট শেয়ার ইস্যু করতে চায়। যদিও কোম্পানিটি এর আগে গতবছরের ২৫ জুলাই ৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ প্রতিটি শেয়ার ১৫ টাকা দরে ২টি সাধারন শেয়ারের বিপরীতে ১টি রাইট শেয়ার ইস্যু করার জন্য সংশোধন করেছিল। একই দরে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই ১টি সাধারন শেয়ারের বিপরীতে ১টি রাইট শেয়ার প্রস্তাবের জন্য সংশোধন করেছিল। তবে এর আগে ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর ২০ টাকা দরে ১টি সাধারন শেয়ারের বিপরীতে ১.২৫টি রাইট শেয়ার ইস্যু করার জন্য প্রস্তাব করেছিল।

সক্ষমতা বৃদ্ধি ও ঋণ পরিশোধের জন্য রাইট শেয়ার ইস্যু করতে চায় ওয়েস্টার্ন মেরিন কর্তৃপক্ষ। যে কোম্পানিটি আইপিওতে সংগৃহিত অর্থের ৮২.৬৪ শতাংশ অর্থ দিয়ে ঋণ পরিশোধ করেছিল।

কোম্পানিটির পক্ষে উচ্চমূল্যে আইপিওতে শেয়ার ইস্যু করা হলেও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি। বরং কোম্পানিটিতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা তলানিতে নেমে গেছে। যাতে ৩৫ টাকা ইস্যু মূল্যের শেয়ারটির বাজার দর এখন (০৯ ফেব্রুয়ারি) ২০.৯০ টাকা।

এ বিষয়ে জানতে ওয়েস্টার্ন মেরিনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাখাওয়াত হোসাইনের ব্যক্তিগত ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

বিজনেস আওয়ার/১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: