ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আইপিও পূর্ব ২৫ কোটি টাকার মুনাফা এখন ৬ মাসে ৮৭ কোটি

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০১৯
  • 60

রেজোয়ান আহমেদ : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিএস কেবলসের প্রতিবছরই বিক্রয় ও মুনাফা বাড়ছে। যা প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) ফান্ড প্রাপ্তির পরে সেই গতি আরও ত্বরান্বিত হয়েছে। যা কোম্পানিটির আইপিও পূর্ব ২০১৫-১৬ অর্থবছরের ২৫ কোটি টাকার মুনাফা চলতি অর্থবছরের ৬ মাসেই ৮৭ কোটিতে উন্নিত করেছে। ব্যবসায় এমন উত্থানে কোম্পানিটিতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে বিদেশী ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা।

২০০৯ সালে প্রাইভেট হিসাবে গঠিত বিবিএস ক্যাবলস ২০১১ সালে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে। এরপর থেকে নিয়মিতভাবে কোম্পানিটির বিক্রয় ও নিট মুনাফা বাড়ছে।

ব্যবসায় সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিবিএস কেবলস ২০১৭ সালে শেয়ারবাজার থেকে ২০ টাকা সংগ্রহ করে। এক্ষেত্রে কোম্পানিটি প্রতিটি শেয়ার ইস্যু করে ১০ টাকায়। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) ২.৪৬ টাকা ও ১৯.২১ টাকা শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দেখিয়ে এই দরে শেয়ার ইস্যু করা হয়। যা উত্তোলনে ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করে বানকো ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ও আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজম্যান্ট।

প্রসপেক্টাস অনুযায়ি, বিবিএস কেবলসের ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ২৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা বা শেয়ারপ্রতি ২.৪৬ টাকা মুনাফা হয়েছিল। যা সর্বশেষ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে হয়েছে ১১১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বা শেয়ারপ্রতি ৮.০৮ টাকা। আর চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর ২০১৮) হয়েছে ৮৭ কোটি ৩ লাখ টাকা বা শেয়ারপ্রতি ৫.৪৮ টাকা।

বিবিএস কেবলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আবু নোমান হাওলাদার বিজনেস আওয়ারকে বলেন, পণ্যের মানে কোন ধরনের আপোষ না করার কারনে কোম্পানির ব্যবসায় নিয়মিত উন্নতি হচ্ছে। এছাড়া বাজার বিশ্লেষণ, অগ্রিম ৫ বছরের পরিকল্পনা গ্রহণ ও সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ি ব্যবসা সাজানো সফলতার অন্যতম কারন বলে জানান তিনি।

বিবিএস কেবলস শেয়ারবাজারে প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা করে ইস্যু করে। যে অর্থ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে পেলেও সাধারন শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানিটির ২০১৬-১৭ অর্থবছরের ব্যবসায় ২০ শতাংশ লভ্যাংশ পেয়েছে। এরপরে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ব্যবসায় ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ পেয়েছে।

এদিকে বিবিএস কেবলসে প্রতিটি শেয়ারে ১০ টাকা বিনিয়োগে ক্যাপিটাল গেইন আকাশচুম্বি। ১০ টাকা দরে শেয়ারটি লেনদেনের প্রথমদিনেই ৯০ টাকা হয়। যে শেয়ারটি লেনদেনের পর থেকে চলতি বছরের ৪ মার্চ পর্যন্ত ১৫০ টাকা থেকে ৭১ টাকার মধ্যে লেনদেন হয়েছে। এক্ষেত্রে সাধারন শেয়ারহোল্ডাররা বা আইপিওধারীরা কমপক্ষে ৬১০ শতাংশ ক্যাপিটাল গেইন করতে পেরেছে।

ডিএসই অনুযায়ি, ২০১৮ সালের ৩০ জুনে বিবিএস কেবলসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ছিল ১১.১০ শতাংশ। তবে বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে ৩১ ডিসেম্বর ১২.০৩ শতাংশ ও ৩১ জানুয়ারি ১৩.২৮ শতাংশে উন্নিত করা হয়েছে। আর বিদেশী বিনিয়োগকারীরা গত বছরের ০.০৮ শতাংশ থেকে মালিকানা বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর ১.০২ শতাংশ করে। যা ৩১ জানুয়ারি বেড়ে দাড়িঁয়েছে ১.৪৯ শতাংশ।

কোম্পানিটির সচিব মো. নাজমুল হাসান বিজনেস আওয়ারকে বলেন, বিবিএস কেবলস নিসন্দেহে একটি ভালো কোম্পানি। বিগত কয়েক বছরে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এমন মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানির সংখ্যা খুবই কম।

বিজনেস আওয়ার/০৬ মার্চ, ২০১৯/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

আইপিও পূর্ব ২৫ কোটি টাকার মুনাফা এখন ৬ মাসে ৮৭ কোটি

পোস্ট হয়েছে : ০৪:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০১৯

রেজোয়ান আহমেদ : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিএস কেবলসের প্রতিবছরই বিক্রয় ও মুনাফা বাড়ছে। যা প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) ফান্ড প্রাপ্তির পরে সেই গতি আরও ত্বরান্বিত হয়েছে। যা কোম্পানিটির আইপিও পূর্ব ২০১৫-১৬ অর্থবছরের ২৫ কোটি টাকার মুনাফা চলতি অর্থবছরের ৬ মাসেই ৮৭ কোটিতে উন্নিত করেছে। ব্যবসায় এমন উত্থানে কোম্পানিটিতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে বিদেশী ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা।

২০০৯ সালে প্রাইভেট হিসাবে গঠিত বিবিএস ক্যাবলস ২০১১ সালে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে। এরপর থেকে নিয়মিতভাবে কোম্পানিটির বিক্রয় ও নিট মুনাফা বাড়ছে।

ব্যবসায় সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিবিএস কেবলস ২০১৭ সালে শেয়ারবাজার থেকে ২০ টাকা সংগ্রহ করে। এক্ষেত্রে কোম্পানিটি প্রতিটি শেয়ার ইস্যু করে ১০ টাকায়। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) ২.৪৬ টাকা ও ১৯.২১ টাকা শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দেখিয়ে এই দরে শেয়ার ইস্যু করা হয়। যা উত্তোলনে ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করে বানকো ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ও আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজম্যান্ট।

প্রসপেক্টাস অনুযায়ি, বিবিএস কেবলসের ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ২৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা বা শেয়ারপ্রতি ২.৪৬ টাকা মুনাফা হয়েছিল। যা সর্বশেষ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে হয়েছে ১১১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বা শেয়ারপ্রতি ৮.০৮ টাকা। আর চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর ২০১৮) হয়েছে ৮৭ কোটি ৩ লাখ টাকা বা শেয়ারপ্রতি ৫.৪৮ টাকা।

বিবিএস কেবলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আবু নোমান হাওলাদার বিজনেস আওয়ারকে বলেন, পণ্যের মানে কোন ধরনের আপোষ না করার কারনে কোম্পানির ব্যবসায় নিয়মিত উন্নতি হচ্ছে। এছাড়া বাজার বিশ্লেষণ, অগ্রিম ৫ বছরের পরিকল্পনা গ্রহণ ও সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ি ব্যবসা সাজানো সফলতার অন্যতম কারন বলে জানান তিনি।

বিবিএস কেবলস শেয়ারবাজারে প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা করে ইস্যু করে। যে অর্থ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে পেলেও সাধারন শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানিটির ২০১৬-১৭ অর্থবছরের ব্যবসায় ২০ শতাংশ লভ্যাংশ পেয়েছে। এরপরে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ব্যবসায় ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ পেয়েছে।

এদিকে বিবিএস কেবলসে প্রতিটি শেয়ারে ১০ টাকা বিনিয়োগে ক্যাপিটাল গেইন আকাশচুম্বি। ১০ টাকা দরে শেয়ারটি লেনদেনের প্রথমদিনেই ৯০ টাকা হয়। যে শেয়ারটি লেনদেনের পর থেকে চলতি বছরের ৪ মার্চ পর্যন্ত ১৫০ টাকা থেকে ৭১ টাকার মধ্যে লেনদেন হয়েছে। এক্ষেত্রে সাধারন শেয়ারহোল্ডাররা বা আইপিওধারীরা কমপক্ষে ৬১০ শতাংশ ক্যাপিটাল গেইন করতে পেরেছে।

ডিএসই অনুযায়ি, ২০১৮ সালের ৩০ জুনে বিবিএস কেবলসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ছিল ১১.১০ শতাংশ। তবে বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে ৩১ ডিসেম্বর ১২.০৩ শতাংশ ও ৩১ জানুয়ারি ১৩.২৮ শতাংশে উন্নিত করা হয়েছে। আর বিদেশী বিনিয়োগকারীরা গত বছরের ০.০৮ শতাংশ থেকে মালিকানা বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর ১.০২ শতাংশ করে। যা ৩১ জানুয়ারি বেড়ে দাড়িঁয়েছে ১.৪৯ শতাংশ।

কোম্পানিটির সচিব মো. নাজমুল হাসান বিজনেস আওয়ারকে বলেন, বিবিএস কেবলস নিসন্দেহে একটি ভালো কোম্পানি। বিগত কয়েক বছরে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এমন মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানির সংখ্যা খুবই কম।

বিজনেস আওয়ার/০৬ মার্চ, ২০১৯/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: