রেজোয়ান আহমেদ : শেয়ারবাজারে প্রিমিয়াম নেওয়া কোম্পানিগুলোর তুলনায় শুধুমাত্র অভিহিত মূল্যে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিগুলো থেকে বিনিয়োগ ফেরত বা লভ্যাংশ বেশি পাওয়া যায়। এছাড়া ক্যাপিটাল গেইনেও এগিয়ে রয়েছে অভিহিত মূল্যের কোম্পানি। তালিকাভুক্তির ৫ বছর শেষে অভিহিত মূল্যের কোম্পানিগুলোতে ক্যাপিটাল গেইন ৭৮ শতাংশ থাকলেও প্রিমিয়ামের কোম্পানিগুলো দাড়িঁয়েছে মাত্র ৪ শতাংশে।
২০১১-২০১৩ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর তথ্য বিশ্লেষণে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এএফসি ক্যাপিটালের প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা (সিইও) মাহবুব এইচ মজুমদার বিজনেস আওয়ারকে বলেন, তালিকাভুক্তির শুরুতে সব কোম্পানির শেয়ার দরে অস্বাভাবিক উত্থান হয়। এছাড়া কোম্পানিগুলো তালিকাভুক্তির পরে ১-২ বছর লভ্যাংশও মোটামুটি দেয়। কিন্তু এর কয়েক বছর পরেই কোম্পানির প্রকৃত চিত্র বেরিয়ে আসে। কমতে থাকে লভ্যাংশ ও শেয়ার দর। তবে এরমধ্যেও কিছু কোম্পানি থাকে, যেগুলো তালিকাভুক্তির ১০ বছর পরেও ভালো পারফরমেন্স করে।
তিনি বলেন, অভিহিত মূল্যের কোম্পানিগুলোর ৭৮ শতাংশ ক্যাপিটাল গেইন ও ৪.৬৭ শতাংশ মোটামুটি সন্তোষজনক। কিন্তু ইস্যু মূল্যের তুলনায় প্রিমিয়াম নেওয়া কোম্পানিগুলোর ২.৮৯ শতাংশ লভ্যাংশকে ভালো বলা যায় না। এছাড়া ৪ শতাংশ ক্যাপিটাল গেইন খুবই দুঃখজনক।
২০১১-১৩ সালে শেয়ারবাজারে অভিহিত মূল্যে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিগুলোর সর্বশেষ বছরে গড়ে ৪.৬৭ শতাংশ হারে লভ্যাংশ দিয়েছে। কোম্পানিগুলোর ইস্যু মূল্য ও অভিহিত মূল্য একই হওয়ায় বিনিয়োগ ফেরতের হারও একই। তবে ওই সময়ে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া প্রিমিয়াম নেওয়া কোম্পানিগুলো গড় ১২.১৭ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। তবে গড় ইস্যু মূল্য ৪২.০৫ টাকা হিসাবে রিটার্ন মাত্র ২.৮৯ শতাংশ।
নিম্নে ২০১১-১৩ সালে শুধুমাত্র অভিহিত মূল্যে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিগুলোর তথ্য তুলে ধরা হল-
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির ৫ বছর পরে এসে (২৬ জানুয়ারি, ২০১৯) অভিহিত মূল্যের কোম্পানিগুলোর গড় শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ১৭.৭৯ টাকা। এক্ষেত্রে ক্যাপিটাল গেইন রয়েছে ৭৮ শতাংশ। আর গড় ৪২.০৫ টাকা দরে ইস্যু করা প্রিমিয়ামের কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ৪৩.৬১ টাকায়। এক্ষেত্রে ক্যাপিটাল গেইন রয়েছে মাত্র ৪ শতাংশ।
নিম্নে ২০১১-১৩ সালে প্রিমিয়ামে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিগুলোর তথ্য তুলে ধরা হল-
বিজনেস আওয়ার/৩০ জানুয়ারি, ২০১৯/আরএ