বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ব্যবসায় ডুবে যাওয়া সোনারগাঁও টেক্সটাইলেও আর্থিক কেলেঙ্কারির মতো ঘটনা ঘটেছে। যা কোম্পানির ২০২০-২১ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় বেরিয়ে এসেছে।
অর্থের অপব্যবহাররোধে কর্মীদের মাসিক বেতন ও সম্মানি ১৫ হাজার টাকা বা তার বেশির ক্ষেত্রে ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু সোনারগাঁও টেক্সটাইল কর্তৃপক্ষ ১৫ হাজার টাকা মাসিক বেতনের বেশি অনেক কর্মীকে নগদে বেতন প্রদান করেছে। এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ধারা ৩০০ (১) লঙ্ঘন করা হয়েছে।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, সোনারগাঁও টেক্সটাইল কর্তৃপক্ষ ২০২০-২১ অর্থবছরে ২১ কোটি ৩১ লাখ টাকার স্থায়ী সম্পদ ক্রয় দেখিয়েছেন। যে অর্থ নগদে পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ধারা ৩০(এম) অনুযায়ি, কোন কোম্পানি এ জাতীয় ক্রয়ের ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকার উপরে গেলে, ব্যাংকিং চ্যানেলে পেমেন্টে বাধ্যতামূলক।
এদিকে শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে সোনারগাঁও কর্তৃপক্ষ। তারা ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ অর্থবছরে ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডের (ডব্লিউপিপিএফ) অর্থ প্রদান করেনি। অথচ ২০০৬ সালের শ্রম আইনের ২৩২ ধারা অনুযায়ি, অর্থবছর শেষ হওয়ার ৯ মাসের মধ্যে ফান্ড বিতরনের বিধান রয়েছে।
আরও…….
সোনারগাঁও টেক্সটাইল নিয়ে নিরীক্ষকের শঙ্কা
উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া সোনারগাঁও টেক্সটাইলের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ২৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৫৫.৪৫ শতাংশ।
বিজনেস আওয়ার/১৪ ডিসেম্বর, ২০২১/আরএ