জুয়েল হাসান : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত শ্যামপুর সুগার মিলসের উৎপাদন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। কোম্পানির নিয়মিত লোকসান, উচ্চ উৎপাদন ব্যয় ও মূলধন ঘাটতির জন্য এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার আলোকে ২০২০-২১ অর্থবছরে কোম্পানির কোন উৎপাদন করা হয়নি। তারপরেও কোম্পানিটির শেয়ার দর অনেক এগিয়ে। যার চেয়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসানের পরিমাণ বেশি।
কোম্পানিটির ২০২০-২১ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় নিরীক্ষক এ তথ্য জানিয়েছেন।
নিরীক্ষক জনিয়েছেন, শ্যামপুর সুগার কর্তৃপক্ষ স্টোর রেকর্ড রিপোর্টের তুলনায় ৫৯ লাখ ৫১ হাজার টাকার অতিরিক্ত মজুদ পণ্য দেখিয়েছে। যা সমন্বয়ে কোম্পানির ২০২০-২১ অর্থবছরে লোকসান ও পুঞ্জীভুত লোকসানের পরিমাণ বাড়বে।
২০২১ সালের ৩০ জুন দীর্ঘমেয়াদি ৩১ কোটি ১১ লাখ টাকা ও স্বল্পমেয়াদি ১৭৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা ঋণ দাড়িঁয়েছে। যা প্রদান না করার কারনে খেলাপি হয়ে গেছে বলে নিরীক্ষক জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন…..
ব্রোকারেজ হাউজ কেলেঙ্কারী : বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাত ৬৬.০৬ কোটি টাকা, ফেরত পেয়েছে ৮০ লাখ
নিয়মিত লোকসানের মাধ্যমে কোম্পানিটির মূলধন ঘাটতি হয়ে গেছে ৫৫৭ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এরফলে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ ঋণাত্মক দাড়িঁয়েছে ১১১৪.৫২ টাকায়।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক হিসাব মান (আইএএস)-১২ অনুযায়ি প্রযোজ্য হলেও শ্যামপুর সুগার কর্তৃপক্ষ ডেফার্ড টেক্স গণনা করেনি।
উল্লেখ্য, শ্যামপুর সুগারের অধিকাংশ মালিকানা ও নিয়ন্ত্রন রয়েছে সরকারের অধীনে। ৫ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটিতে সরকারের মালিকানা ৫১ শতাংশ।
কোম্পানিটি নিয়মিত লোকসানের মাধ্যমে ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেলেও শেয়ার দরে পিছিয়ে নেই। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারটি রবিবার (২৩ জানুয়ারি) দাড়িঁয়েছে ৭৯.৯০ টাকায়। যার চেয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি লোকসানের পরিমাণ বেশি। কোম্পানিটির ওই অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১২৫.১৪ টাকা।
বিজনেস আওয়ার/২৪ জানুয়ারি, ২০২২/আরএ
One thought on “শ্যামপুর সুগারের উৎপাদন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ”