ঢাকা , রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেষ রক্ষা হলো না তার

  • পোস্ট হয়েছে : ০৩:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২২
  • 51

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : কখনো তিনি বাবুর্চি আবার কখনো দারোয়ান। ভুয়া দুটো জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে নামও বদল করেছেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের জানে আলম হত্যা মামলায় ফাঁসির রায় মাথায় নিয়ে পালিয়ে থাকা এক আসামিকে ২০ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তির নাম সৈয়দ আহম্মেদ। বয়স এখন ৬০ বছর। বাড়ি লোহাগাড়ার আমিরাবাদে।

শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) র‌্যাব-৭ অধিনায়ক বলেন, জমির বিরোধে ২০০১ সালের নভেম্বর থেকে ২০০২ সালের মার্চের মধ্যে লোহাগাড়া উপজেলায় মাহমুদুল হক এবং তার বড় ভাই ব্যবসায়ী জানে আলমকে খুন করা হয়। দুই মামলার এজাহারেই আসামির তালিকায় সৈয়দ আহম্মদের নাম ছিল।

এর মধ্যে জানে আলম হত্যা মামলায় ২০০৭ সালে সৈয়দ আহম্মেদসহ ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। পরে হাইকোর্টে সৈয়দ আহম্মেদসহ ১০ জনের ফাঁসির রায় বহাল থাকে।

র‌্যাব কর্মকর্তা ইউসুফ বলেন, জানে আলমকে হত্যার পর সৈয়দ আহম্মেদ বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে ছিলেন। পরিবারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে কিছুদিন উপকূলীয় এলাকায় এবং পরে সীতাকুণ্ডে অবস্থান করেন। পরিচয় গোপন রাখতে দুটি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্রও তৈরি করিয়ে নেন তিনি।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইউসুফ বলেন, আকবর শাহ এলাকায় সৈয়দ আহম্মেদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে বুধবার সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

তিনি বলেন, মাহমুদুল হককে খুনের পর বাঁশখালী উপজেলায় আত্মগোপন করে ছিলেন সৈয়দ আহম্মেদ। সেখান থেকে জলদস্যুদের সাথে সমুদ্রে চলে যান। চার মাস পর লোহাগাড়ায় ফিরে এসে মাহমুদুলের বড় ভাই জানে আলমকে হত্যায় অংশ নেন তিনি।

বিজনেস আওয়ার/২৮ জানুয়ারি, ২০২২/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

শেষ রক্ষা হলো না তার

পোস্ট হয়েছে : ০৩:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : কখনো তিনি বাবুর্চি আবার কখনো দারোয়ান। ভুয়া দুটো জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে নামও বদল করেছেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের জানে আলম হত্যা মামলায় ফাঁসির রায় মাথায় নিয়ে পালিয়ে থাকা এক আসামিকে ২০ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তির নাম সৈয়দ আহম্মেদ। বয়স এখন ৬০ বছর। বাড়ি লোহাগাড়ার আমিরাবাদে।

শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) র‌্যাব-৭ অধিনায়ক বলেন, জমির বিরোধে ২০০১ সালের নভেম্বর থেকে ২০০২ সালের মার্চের মধ্যে লোহাগাড়া উপজেলায় মাহমুদুল হক এবং তার বড় ভাই ব্যবসায়ী জানে আলমকে খুন করা হয়। দুই মামলার এজাহারেই আসামির তালিকায় সৈয়দ আহম্মদের নাম ছিল।

এর মধ্যে জানে আলম হত্যা মামলায় ২০০৭ সালে সৈয়দ আহম্মেদসহ ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। পরে হাইকোর্টে সৈয়দ আহম্মেদসহ ১০ জনের ফাঁসির রায় বহাল থাকে।

র‌্যাব কর্মকর্তা ইউসুফ বলেন, জানে আলমকে হত্যার পর সৈয়দ আহম্মেদ বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে ছিলেন। পরিবারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে কিছুদিন উপকূলীয় এলাকায় এবং পরে সীতাকুণ্ডে অবস্থান করেন। পরিচয় গোপন রাখতে দুটি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্রও তৈরি করিয়ে নেন তিনি।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইউসুফ বলেন, আকবর শাহ এলাকায় সৈয়দ আহম্মেদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে বুধবার সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

তিনি বলেন, মাহমুদুল হককে খুনের পর বাঁশখালী উপজেলায় আত্মগোপন করে ছিলেন সৈয়দ আহম্মেদ। সেখান থেকে জলদস্যুদের সাথে সমুদ্রে চলে যান। চার মাস পর লোহাগাড়ায় ফিরে এসে মাহমুদুলের বড় ভাই জানে আলমকে হত্যায় অংশ নেন তিনি।

বিজনেস আওয়ার/২৮ জানুয়ারি, ২০২২/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: