বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : চাহিদা কিছুটা কমায় রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজি প্রতি ১৩০ টাকায় নেমে এসেছে। অথচ কিছুদিন আগেও বিভিন্ন বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়। অবশ্য দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর আগে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৩০ টাকাই ছিল।
মুরগি ব্যবসায়ীরা জানান, দেশে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার আগে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে। কিন্তু করোনা প্রকোপের শুরুতে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি বেশ কমে যায়। ফলে কেজি ১০০ থেকে ১১০ টাকায় নেমে আসে।
দফায় দফায় দাম বেড়ে রোজার ঈদের আগে ব্রয়লার মুরগির কেজি রেকর্ড ২০০ টাকা স্পর্শ করে।ঈদের পর চাহিদা কমায় আবার দাম কমতে থাকে। ফলে জুনের শুরুর দিকে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৩০ টাকায় নেমে আসে। অবশ্য এ দাম খুব বেশি দিন স্থির হয়নি।
ঢাকায় মানুষের যাতায়াত বাড়ায় আবার ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৫০ থেকে ১৭০ টাকার মধ্যে ঘুরপাক খেতে থাকে। তবে এখন আবার দাম কমতে শুরু করেছে।
ব্রয়লার মুরগির দাম কমার বাপারে বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মনজুর মোরশেদ খান বলেন, বাজারে এখন ব্রয়লার মুরগির সরবরাহ বেড়েছে। বিপরীতে চাহিদা কিছুটা কমেছে। যার ফলে কারণে দামও কমেছে।
রামপুরার ব্যবসায়ী মিলন বলেন, কিছুদিন আগেও আমরা ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৫০ টাকায় বিক্রি করেছি। কয়েকদিন ধরে পাইকারিতে দাম কমেছে। এ কারণে এখন ১৩৫ টাকা কেজি বিক্রি করতে পারছি।
তিনি বলেন, কোরবানির ঈদের আগে বাজারের মাংসের চাহিদা কমে যায়। কারণ, যারা কোরবানি দেয় না তাদের ঘরেও কোরবানির প্রচুর মাংস যায়। আবার যারা কোরবানি দেয় তারা ফ্রিজে থাকা মাংস খেয়ে ফ্রিজ খালি করেন। যে কারণে কোরবানির ঈদের সময় বাজারের মাংসের দাম কমে যায়।
রামপুরা বাজারের এক ক্রেতা বলেন, কিছুদিন আগে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৫০ টাকা দিয়ে কিনেছি। আজ (বৃহস্পতিবার) তা ১৩৫ টাকা নিয়েছে। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে ঈদের আগে ব্রয়লার মুরগির দাম আর বাড়বে না। বরং সামনে দাম আরও কমতে পারে।
উল্লেখ্য, ব্রয়লার মুরগির দাম নিয়ে দেশের বাজারে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। চাহিদা বাড়লে হুটহাট দাম বেড়ে যাচ্ছে। আবার চাহিদা কমলে দাম কমে যাচ্ছে। গত মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকেই পোল্ট্রি মুরগির দামে এই অস্থিরতা বিরাজ করছে।
বিজনেস আওয়ার/১৬ জুলাই, ২০২০/এ