ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হত্যাকাণ্ডের ছয় মাস পর গ্রেপ্তার, হত্যার রহস্য উদঘাটন

  • পোস্ট হয়েছে : ০৯:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • 50

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ঢাকার ধামরাইয়ে ক্লুলেস শাহাদাত হোসেন (২৪) হত্যাকাণ্ডের ছয় মাস পর মূল পরিকল্পনাকারী বন্ধুসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার এবং হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে র‌্যাব-৪। এর আগে মূল পরিকল্পনাকারী জাহিদুল ইসলাম জাহিদকে (২২) গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কোনো তথ্য তার কাছ বের করতে পারেনি ধামরাই থানা পুলিশ।

তবে র‌্যাবের কাছে আটকরা সঠিক তথ্য দেয়নি বলে জানান নিহতের বাবা। আটকরা হলেন উপজেলা যাদবপুর ইউনিয়নের আমরাইল গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে জাহিদুল ইসলাম জাহিদ (২৫) তার সহযোগী একই গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে আবু তাহের (২৪) ও মিজানুর রহমানের ছেলে ভ্যানচালক সবুজ হোসেন (২৮)।

জাহিদের প্রেমিকার সঙ্গে শাহাদাত হোসেনের বিয়ের দিন ধার্য ছিল গত ১৪ আগস্ট। প্রেমিকাকে বন্ধু বিয়ে করবে এটা মেনে নিতে পারেনি জাহিদ। এ কারণে শাহাদাতকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে সে। গত ৬ আগস্ট তাহেরকে সঙ্গে নিয়ে শাহাদাতকে হত্যা করে জাহিদ। এরপর সবুজের ভ্যানে নিয়ে আমরাইলের পরিত্যক্ত ভিটার একটি গাছে কাঁচা পাটের রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। যাতে সকলের ধারণা হয় শাহাদাত আত্মহত্যা করেছে।

তবে নিহতের বাবা কোহিনুর মিয়া জানান, জাহিদ র‌্যাবের কাছে যে তথ্য দিয়েছে তা সঠিক নয়। তার ছেলের সঙ্গে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা ছিল। মূলত ওই টাকার কারণেই শাহাদাতকে হত্যা করে ওরা।

১ আগস্ট কর্মস্থলে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন শাহাদাত। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। গত ৮ আগস্ট কালিয়াকৈর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তাঁর পরিবার। ১৪ আগস্ট শাহাদাত হোসেনের বিয়ের দিন ধার্য ছিল টাঙ্গাইলের নাগরপুরের কলমাইত গ্রামে। কিন্তু বিয়ের দুই দিন আগে ১২ আগস্ট আমড়াইল গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ভিটায় গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় শাহাদাত হোসেনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ধামরাই থানায় হত্যা মামলা করতে চাইলেও পুলিশ তা নেয়নি। একটি অপমৃত্যুর মামলা নেওয়া হয়। ২২ সেপ্টেম্বর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পান ধামরাই থানা পুলিশ। এতে দেখা যায় শাহাদাত হোসেন আত্মহত্যা করেনি। তাঁকে শ্বাসরোধে ও দুই চোখ তুলে হত্যা করার পর লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল।

এরপর ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২৮ সেপ্টেম্বর শাহাদতের বন্ধু পোশাক শ্রমিক জাহিদুল ইসলাম (২৫)-কে আশুলিয়া থানার গোহাইল বাড়ি এলাকার একটি ভাড়া বাস থেকে আটক করে ধামরাই থানা পুলিশ।

বিজনেসে আওয়ার/১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২/ জে ভি

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

হত্যাকাণ্ডের ছয় মাস পর গ্রেপ্তার, হত্যার রহস্য উদঘাটন

পোস্ট হয়েছে : ০৯:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ঢাকার ধামরাইয়ে ক্লুলেস শাহাদাত হোসেন (২৪) হত্যাকাণ্ডের ছয় মাস পর মূল পরিকল্পনাকারী বন্ধুসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার এবং হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে র‌্যাব-৪। এর আগে মূল পরিকল্পনাকারী জাহিদুল ইসলাম জাহিদকে (২২) গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কোনো তথ্য তার কাছ বের করতে পারেনি ধামরাই থানা পুলিশ।

তবে র‌্যাবের কাছে আটকরা সঠিক তথ্য দেয়নি বলে জানান নিহতের বাবা। আটকরা হলেন উপজেলা যাদবপুর ইউনিয়নের আমরাইল গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে জাহিদুল ইসলাম জাহিদ (২৫) তার সহযোগী একই গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে আবু তাহের (২৪) ও মিজানুর রহমানের ছেলে ভ্যানচালক সবুজ হোসেন (২৮)।

জাহিদের প্রেমিকার সঙ্গে শাহাদাত হোসেনের বিয়ের দিন ধার্য ছিল গত ১৪ আগস্ট। প্রেমিকাকে বন্ধু বিয়ে করবে এটা মেনে নিতে পারেনি জাহিদ। এ কারণে শাহাদাতকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে সে। গত ৬ আগস্ট তাহেরকে সঙ্গে নিয়ে শাহাদাতকে হত্যা করে জাহিদ। এরপর সবুজের ভ্যানে নিয়ে আমরাইলের পরিত্যক্ত ভিটার একটি গাছে কাঁচা পাটের রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। যাতে সকলের ধারণা হয় শাহাদাত আত্মহত্যা করেছে।

তবে নিহতের বাবা কোহিনুর মিয়া জানান, জাহিদ র‌্যাবের কাছে যে তথ্য দিয়েছে তা সঠিক নয়। তার ছেলের সঙ্গে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা ছিল। মূলত ওই টাকার কারণেই শাহাদাতকে হত্যা করে ওরা।

১ আগস্ট কর্মস্থলে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন শাহাদাত। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। গত ৮ আগস্ট কালিয়াকৈর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তাঁর পরিবার। ১৪ আগস্ট শাহাদাত হোসেনের বিয়ের দিন ধার্য ছিল টাঙ্গাইলের নাগরপুরের কলমাইত গ্রামে। কিন্তু বিয়ের দুই দিন আগে ১২ আগস্ট আমড়াইল গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ভিটায় গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় শাহাদাত হোসেনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ধামরাই থানায় হত্যা মামলা করতে চাইলেও পুলিশ তা নেয়নি। একটি অপমৃত্যুর মামলা নেওয়া হয়। ২২ সেপ্টেম্বর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পান ধামরাই থানা পুলিশ। এতে দেখা যায় শাহাদাত হোসেন আত্মহত্যা করেনি। তাঁকে শ্বাসরোধে ও দুই চোখ তুলে হত্যা করার পর লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল।

এরপর ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২৮ সেপ্টেম্বর শাহাদতের বন্ধু পোশাক শ্রমিক জাহিদুল ইসলাম (২৫)-কে আশুলিয়া থানার গোহাইল বাড়ি এলাকার একটি ভাড়া বাস থেকে আটক করে ধামরাই থানা পুলিশ।

বিজনেসে আওয়ার/১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২/ জে ভি

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: