বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) এর সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন বলেন, শেয়ারবাজারে লেনদেনে মন্দাবস্থা কাটাতে ২-৪টা ভালো কোম্পানি আনতে হবে। যেমন গ্রামীণফোন আসার পরে বাজার সমৃদ্ধ হয়েছিল। এই জাতীয় কয়েকটি কোম্পানিকে বিশেষভাবে বাজারে প্রবেশ করতে দেওয়া দরকার। তাহলে যেসব বিনিয়োগকারীরা বসে আছেন, তারা বিনিয়োগে আসবেন। এতে করে বাজারে লেনদেন বাড়বে।
শনিবার (১৮ জুলাই) চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) আয়োজিত ‘শেয়ারবাজারে করোনাভাইরাসের প্রভাব ও পুণ:রুদ্ধারের উপায়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, শেয়ারবাজারের বর্তমান লেনদেনের মন্দাবস্থার কারনে ব্রোকারেজ হাউজগুলো খুবই খারাপ জায়গায় চলে এসেছে। বিনিয়োগকারীরা ভালো অবস্থায় না থাকায় আমরা ব্রোকাররাও ভালো অবস্থানে নেই। তারা যেহেতু লেনদেন করতে পারছেন না, সেহেতু টার্নওভার বাড়ছে না। আর ব্রোকারেজের মূল আয় লেনদেন থেকে হওয়ায় তাদের আয়ও হচ্ছে না। এ কারনে ব্রোকারেজরা আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে পড়তেছে।
শরীফ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের মার্কেটে ৪-৫ বছর ৩-৪শ কোটি টাকার উপরে কোন লেনদেন ছিল না। এরমধ্য দিয়ে ব্রোকারেজ হাউজগুলো কোনভাবে চলে আসতেছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারনে ২ মাস লেনদেন বন্ধ ছিল। এরমধ্যে ব্রোকারেজ হাউজগুলো স্টাফদের বেতনাদি, ভাড়া, ইউটিলিটি খরচ প্রদান করতে হয়েছে। এতে করে আমাদের অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। এই অবস্থায় আমাদেরকে স্টিমুলার প্যাকেজে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য সদয় অনুরোধ করব। যাতে আপাতত ব্রোকার কমিউনিটিকে রক্ষা করা যায়।
তিনি বলেন, আমাদের মাধ্যমেই সমস্ত শেয়ারবাজার সঞ্চালিত হয়। সেখানে আমাদেরকে যদি সুযোগ করে না দেওয়া হয়, অবস্থা আরও খারাপ হবে। এমনিতেই হাউজগুলো বন্ধ করার উপক্রম হয়েছে।
লেনদেনে অগ্রিম করের বিষয়টাকে বিবেচনায় নেওয়ার জন্য দাবি করেছেন ডিবিএ সভাপতি। তিনি বলেন, প্রতি ১ লাখ টাকার লেনদেনে ৫০ টাকা কর দেই। এই কর হারটা আমাদেরকে সাংঘাতিকভাবে বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে। অথচ ভারতে এই কর দেওয়া হয় লাখে ১৩ টাকা। চলমান করোনাভাইরাসের মধ্যে এই কর হারের বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। যাতে আমরা টিকে থাকতে পারি এবং গ্রাহকদেরকে সেবা দিতে পারি।
আরও পড়ুন……
আইসিবি বিনিয়োগ সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে- আবুল হোসেন
বিদেশী বিনিয়োগকারীরাও ম্যানুপুলেট করে–বিএসইসি চেয়ারম্যান
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে কোন ব্যাংক সমস্যায় নেই-আজম জে চৌধুরী
ফ্লোর প্রাইসের কারনে শেয়ারবাজারে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে : ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি
বিদেশীদের মতে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগযোগ্য কোম্পানি ৭-৮টি : এমসিসিআই সভাপতি
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। এছাড়া ডিএসইর এমডি কাজী সানাউল হক, সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম ও এমডি মামুন-উর-রশীদ, আইসিবির এমডি আবুল হোসেন, এমসিসিআই সভাপতি নিহাদ কবির, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) সভাপতি আজম জে চৌধুরী, ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর.এফ হুসাইনসহ অন্যান্যরা অংশগ্রহন করেন।
বিজনেস আওয়ার/১৮ জুলাই, ২০২০/আরএ