বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : মডার্ন সিকিউরিটিজে বিনিয়োগকারীদের সমন্বিত ব্যাংক হিসাবে ৭ কোটি টাকার ঘাটতি পাওয়া গেছে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীদের হিসাবে যে টাকা থাকার কথা, তার চেয়ে ৭ কোটি টাকা কম রয়েছে। যা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে ব্রোকারেজ হাউজটির কর্তৃপক্ষ।
গত মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) হাউজটিতে ৭ কোটি টাকা ঘাটতির বিষয়ে অবহিত করেছেন ডিএসই কর্তৃপক্ষ।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি ডিএসইর একটি দল ব্রোকারেজ হাউজটিতে এক অনুসন্ধানে বিনিয়োগকারীদের হিসাবে তাদের ৭ কোটি টাকার ঘাটতি দেখতে পান। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক হিসাব থেকে তাদের ৭ কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ২০২০ এর ৬(১)(২) লঙ্ঘন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন……
এর আগে ২০২০ সালে মডার্ন সিকিউরিটিজকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করে কমিশন
তিন ব্রোকারেজ হাউজ কেলেঙ্কারী : অর্থ আত্মসাত ৬৬.০৬ কোটি টাকা, ফেরত ৮০ লাখ
আইন অনুযায়ি, একটি ব্রোকারেজ হাউজ ব্যাংকে বিনিয়োগকারী তথা গ্রাহকদের জন্য একটি সমন্বিত ব্যাংক হিসাব খুলবে। যা রক্ষনাবেক্ষন করা হবে শুধুমাত্র বিনিয়োগকারীদের টাকা জমা ও উত্তোলনের জন্য। যা ব্রোকারেজ হাউজ কর্তৃপক্ষ কোনভাবেই নিজস্ব প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবে না।
ডিএসই কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা ব্রোকারেজ হাউজটির কাছে গ্রাহকদের টাকা ঘাটতির বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছেন এবং ওই টাকা ফেরত বা গ্রাহক হিসাবে জমা দেওয়ার জন্য বলেছেন।
তবে মডার্ন সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খুজিস্তা নুর-ই-নাহরিন ডিএসইর ৭ কোটি টাকা ঘাটতির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বিজনেস আওয়ারকে বলেন, সফটওয়্যারের সমস্যার কারনে ডিএসইর অনুসন্ধান দল এমন ঘাটতি পেয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে গ্রাহকদের হিসাবে ঘাটতির পরিমাণ খুবই সামান্য, যা সমন্বয় করা হয়েছে। তাই প্রকৃত ঘটনা বের করে আনতে ডিএসইকে পূণ:রায় তদন্তের আহবান করেছেন বলে জানান তিনি।
বিজনেস আওয়ার/২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২/জেআর