ঢাকা , সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মূল্যসূচক ফেলে সস্তায় শেয়ার কেনার কারসাজির ফাঁদে শেয়ারবাজার-অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন

  • পোস্ট হয়েছে : ০৩:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • 65

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক (বর্তমানে লিয়েন) হেলাল উদ্দিন বলেন, এই মুহূর্তে কিছু অব্যবহৃত ফান্ড রয়েছে। যা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা হবে। তার আগে নেগেটিভ খবর দিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরী করে বাজার ফেলানো হচ্ছে। এরপরে সস্তায় ওই ফান্ড দিয়ে সিকিউরিটিজ কেনা হবে। হয়তো তখন সূচক ১ হাজার বেড়ে যাবে। এর বাহিরে গত কয়েকদিনের সূচক পতনের পেছনে যৌক্তিক কোনো কারন নেই।

সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিলকুশাস্থ হোটেল পূর্বাণীতে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) এবং বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটি মার্কেটের (বিএএসএম) যৌথ উদ্যোগে ‘পুঁজিবাজারে মুদ্রানীতি ও রাজস্ব নীতির প্রভাব’ শীর্ষক কর্মশালায় প্যানেল আলোচক বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ এবং প্যানেল আলোচক হিসেবে অধ্যাপক আবু আহমেদ, সাবেক কমিশনার আরিফ খান, অধ্যাপক মোহাম্মাদ হেলাল উদ্দিন, বিআইবিএমের শাহ মোহা আহসান হাবীব ও সিএমজেএফ সভাপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন বিএএসএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী।

অধ্যাপক হেলাল বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ হলেও এর প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে না। এছাড়া নেগেটিভ ইক্যুইটি এখনই সমন্বয় করতে বলেনি। এর জন্য এ বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে। যা আরও বাড়ানো হতে পারে। তাই এই দুই কারনে বাজার পতন হতে পারে না।

আরও পড়ুন…..
নেগেটিভ ইক্যুইটি সমন্বয় নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মাঝে ভুল বার্তা- শেখ সামসুদ্দিন

তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে সূচক বাড়লেই লেখালেখি শুরু হয়ে যায়। এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত করা হয়। এটা ঠিক না। কোম্পানির আর্নিংস বাড়লে শেয়ারের দামও বাড়বে। এতে করে মূল্যসূচক বাড়বে। এটাতো খারাপ কিছু না।

তিনি আরও বলেন, গত ১০ বছরে দেশের অর্থনীতির আকার, জিডিপি ও কোম্পানিগুলোর যে পরিমাণ পরিশোধিত মূলধন বেড়েছে, তাতে সূচক বাড়াটা স্বাভাবিক। এখন সূচক ৭৫০০ হওয়াটা স্বাভাবিক। এছাড়া দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ ৩-৪ হাজার কোটি হওয়া উচিত ছিল।

এই অধ্যাপক বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা সময় উপযোগি না। তারা হয়তো ২০১০ সালের পরিস্থিতির কারনে ভয়ে এইসব ব্যবস্থা নিচ্ছে।

এখনো যেসব কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়, তার ৮০ শতাংশ ভালো না বলে জানান হেলাল উদ্দিন। এছাড়া চাহিদার তুলনায় বেশি দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। তাই আইপিও অনুমোদনে ধীরগতি অনুসরনের আহবান করেন।

বিজনেস আওয়ার/২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

মূল্যসূচক ফেলে সস্তায় শেয়ার কেনার কারসাজির ফাঁদে শেয়ারবাজার-অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন

পোস্ট হয়েছে : ০৩:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক (বর্তমানে লিয়েন) হেলাল উদ্দিন বলেন, এই মুহূর্তে কিছু অব্যবহৃত ফান্ড রয়েছে। যা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা হবে। তার আগে নেগেটিভ খবর দিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরী করে বাজার ফেলানো হচ্ছে। এরপরে সস্তায় ওই ফান্ড দিয়ে সিকিউরিটিজ কেনা হবে। হয়তো তখন সূচক ১ হাজার বেড়ে যাবে। এর বাহিরে গত কয়েকদিনের সূচক পতনের পেছনে যৌক্তিক কোনো কারন নেই।

সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিলকুশাস্থ হোটেল পূর্বাণীতে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) এবং বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটি মার্কেটের (বিএএসএম) যৌথ উদ্যোগে ‘পুঁজিবাজারে মুদ্রানীতি ও রাজস্ব নীতির প্রভাব’ শীর্ষক কর্মশালায় প্যানেল আলোচক বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ এবং প্যানেল আলোচক হিসেবে অধ্যাপক আবু আহমেদ, সাবেক কমিশনার আরিফ খান, অধ্যাপক মোহাম্মাদ হেলাল উদ্দিন, বিআইবিএমের শাহ মোহা আহসান হাবীব ও সিএমজেএফ সভাপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন বিএএসএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী।

অধ্যাপক হেলাল বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ হলেও এর প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে না। এছাড়া নেগেটিভ ইক্যুইটি এখনই সমন্বয় করতে বলেনি। এর জন্য এ বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে। যা আরও বাড়ানো হতে পারে। তাই এই দুই কারনে বাজার পতন হতে পারে না।

আরও পড়ুন…..
নেগেটিভ ইক্যুইটি সমন্বয় নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মাঝে ভুল বার্তা- শেখ সামসুদ্দিন

তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে সূচক বাড়লেই লেখালেখি শুরু হয়ে যায়। এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত করা হয়। এটা ঠিক না। কোম্পানির আর্নিংস বাড়লে শেয়ারের দামও বাড়বে। এতে করে মূল্যসূচক বাড়বে। এটাতো খারাপ কিছু না।

তিনি আরও বলেন, গত ১০ বছরে দেশের অর্থনীতির আকার, জিডিপি ও কোম্পানিগুলোর যে পরিমাণ পরিশোধিত মূলধন বেড়েছে, তাতে সূচক বাড়াটা স্বাভাবিক। এখন সূচক ৭৫০০ হওয়াটা স্বাভাবিক। এছাড়া দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ ৩-৪ হাজার কোটি হওয়া উচিত ছিল।

এই অধ্যাপক বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা সময় উপযোগি না। তারা হয়তো ২০১০ সালের পরিস্থিতির কারনে ভয়ে এইসব ব্যবস্থা নিচ্ছে।

এখনো যেসব কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়, তার ৮০ শতাংশ ভালো না বলে জানান হেলাল উদ্দিন। এছাড়া চাহিদার তুলনায় বেশি দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। তাই আইপিও অনুমোদনে ধীরগতি অনুসরনের আহবান করেন।

বিজনেস আওয়ার/২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: