স্পোর্টস ডেস্ক : টি২০ বিশ্বকাপ প্রায় পাঁচ মাস বাকি থাকতেই স্থগিত হয়ে যাচ্ছে। চলতি সপ্তাহের ২৬ থেকে ২৮ মের মধ্যে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে। টুর্নামেন্ট কর্তৃপক্ষ আইসিসি ও আয়োজক অস্ট্রেলিয়ার সংশ্নিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন খবর দিয়েছে ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়া।
কয়েক মাস বাকি থাকলেও টি২০ বিশ্বকাপ স্থগিতের আওয়াজ জোরালো হয়েছে মূলত করোনা পরিস্থিতি ও অস্ট্রেলিয়ান সরকারের উদ্যোগের কারণে। বিশ্বকাপে খেলবে মোট ১৬টি দেশ, যার মধ্যে এশিয়ার বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফ্রিকার দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইউরোপের ইংল্যান্ডে করোনার প্রকোপ এখনও কমেনি।
আয়োজক অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড করোনার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আনতে সফল হলেও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাখা হয়েছে। মধ্য সেপ্টেম্বরের আগে অস্ট্রেলিয়ায় কোনো ভিনদেশি ঢুকতে পারবে না।
ওই সময় নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়া হলেও এবং বাইরে থেকে আসা দলগুলোকে খেলার আগে নির্দিষ্ট সময় কোয়ারেন্টাইনে রাখার কথা ভাবা হলেও এ নিয়ে পুরোপুরি আশ্বস্ত নয় অস্ট্রেলিয়ান সরকার। তার ওপর ১৮ অক্টোবর নির্ধারিত সময়ে টুর্নামেন্ট শুরু হলেও গ্যালারিতে দর্শক থাকবে না।
আয়োজক হিসেবে যা অস্ট্রেলিয়ার জন্য আর্থিকভাবে ক্ষতিকর। বিশ্বকাপ আয়োজনের সঙ্গে সংশ্নিষ্ট একজন টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘দর্শক না থাকলে অস্ট্রেলিয়া পাবে কেবল আয়োজন ও অংশগ্রহণ ফি। কিন্তু টুর্নামেন্ট-পরবর্তী সময়ে হলে এ দুটির পাশাপাশি তারা গ্যালারি থেকেও কিছু আয় করতে পারবে।’
মূলত এমন ভাবনা থেকেই বিশ্বকাপ স্থগিতের বিষয়ে মত দিতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। মঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে টেলিকনফারেন্সে একত্রিত হবে আইসিসির সদস্য দেশগুলো। সেখানেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। স্থগিত টুর্নামেন্টের জন্য তিনটি অপশন আছে সামনে।
প্রথমত আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলে আয়োজন, দ্বিতীয়ত ২০২১ সালে ভারতের মাটিতে যে আসরটি হওয়ার কথা, সেটিকে পরের বছরে পিছিয়ে আয়োজন, অথবা ২০২২ সালে আয়োজন। এর মধ্যে প্রথম দুটি একটু জটিল। কারণ, আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলে আইপিএল এবং ভারতের ইংল্যান্ড সফর আছে।
আর বছরের শেষদিকের আসর অদল-বদল করার চেয়ে আয়োজক ঠিক রেখে অস্ট্রেলিয়ায়ই ২০২২ সালে আয়োজন করা তুলনামূলক কম জটিলতর। সবই নির্ভর করছে বৈঠকের আলোচনার ভিত্তিতে। আপাতত স্থগিত হওয়াটা প্রায় নিশ্চিত।
বিজনেস আওয়ার/২৩ মে, ২০২০/এ