বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে রকেট হামলায় নিহত বাংলাদেশি জাহাজ বাংলার সমৃদ্ধির থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মরদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে। সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১২টা ৭ মিনিটে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হাদিসুরের লাশবাহী তুরস্ক এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি পৌঁছায়।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ উল আহসান লাশ আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হাদিসুরের নিথর দেহটি গ্রামের বাড়িতে নিতে বিমানবন্দরে এসেছেন তার স্বজনরা। লাশ গ্রহণের সময় সেখানে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
লাশটি তুরস্ক এয়ারলাইন্সের একটি কার্গো বিমানে ইস্তানবুল হয়ে রবিবার বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। রোমানিয়া থেকে লাশটি ইস্তানবুলে আনার পর প্রচণ্ড তুষারঝড়ের কারণে বিমানটি সময়মতো উড়তে পারেনি। পরে ফ্লাইটটি বাতিল করা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে সোমবার দুপুর সোয়া ১২টায় লাশটি তুরস্ক এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছবে।
এর আগে শুক্রবার ভোরে হাদিসুরের লাশবাহী গাড়ি ইউক্রেন থেকে রওনা দিয়ে রাত ৮টা নাগাদ মালদোভায় পৌঁছায়। রোমানিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা তা গ্রহণ করেন। তারা লাশটি নিয়ে বুখারেস্টে পৌঁছান ওই দিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে।
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ ডেনিশ কোম্পানি ডেল্টা করপোরেশনের অধীনে ভাড়ায় চলছিল। মুম্বাই থেকে তুরস্ক হয়ে জাহাজটি গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের ওলভিয়া বন্দরে নোঙর করে। ওলভিয়া থেকে সিমেন্ট ক্লে নিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইতালির রেভেনা বন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল জাহাজটির।
কিন্তু যুদ্ধ শুরু হলে ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যত বন্দরে আটকা পড়ে জাহাজটি। ২ মার্চ একটি ক্ষেপণাস্ত্র জাহাজে আঘাত হানে। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। হাদিসুর রহমান মারা যান। জাহাজের বাকি ২৮ নাবিক রোমানিয়া থেকে বুধবার দুপুরে ঢাকায় পৌঁছান।
বিজনেস আওয়ার/১৪ মার্চ, ২০২২/কমা