ঢাকা , বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোরে চট্টগ্রামে পৌঁছেছে ‘সেঁজুতি’

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুলাই ২০২০
  • 91

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক (চট্টগ্রাম) : ভারত থেকে চারটি ট্রানজিট পণ্যবাহী কনটেইনার নিয়ে ‘এমভি সেঁজুতি’ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার (২১ জুলাই) ভোরে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে ভিড়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দর সচিব ওমর ফারুক।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে সড়কপথে কনটেইনারে পণ্য পরিবহনের প্রথম ‘ট্রায়াল রান’ এটি। জাহাজটিতে চার কনটেইনার ট্রানজিট পণ্যের বাইরে বিভিন্ন আমদানিকারকের পণ্যভর্তি কনটেইনারও রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, চুক্তি অনুযায়ী চালান প্রসেসিং ফি, ট্রান্সশিপমেন্ট ফি, নিরাপত্তা মাশুল, এসকর্ট মাশুল ও অন্যান্য প্রশাসনিক মাশুল মিলিয়ে সাত ধরনের মাশুল আদায় করবে বাংলাদেশ কাস্টমস। এর বাইরে চট্টগ্রাম বন্দরের চার্জ যুক্ত হবে।

ম্যাংগো শিপিং লাইনের ব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমান জানান, জাহাজটি জেটিতে বার্থিং দিতে বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন। কনটেইনার খালাসের লক্ষ্যে কাস্টমসসহ বিভিন্ন মাশুল পরিশোধের জন্য প্রক্রিয়া চলছে। খালাস শেষে সড়কপথে কনটেইনারগুলো আখাউড়া হয়ে ত্রিপুরা ও আসাম পাঠিয়ে দেয়া হবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জন্য দুই টিইইউ’স টিএমটি ইস্পাত এবং আসামের করিমগঞ্জের জন্য দুই টিইইউ’স ডাল বোঝাই করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বন্দর ছেড়ে আসে জাহাজটি। চট্টগ্রাম বন্দরে ট্রানজিট হয়ে বাংলাদেশের সড়ক পথে যাবে ত্রিপুরা রাজ্যে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের অক্টোবরে দিল্লিতে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহনে দুই দেশের এ চুক্তি হয়।

বিজনেস আওয়ার/২১ জুলাই, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ভোরে চট্টগ্রামে পৌঁছেছে ‘সেঁজুতি’

পোস্ট হয়েছে : ১২:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুলাই ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক (চট্টগ্রাম) : ভারত থেকে চারটি ট্রানজিট পণ্যবাহী কনটেইনার নিয়ে ‘এমভি সেঁজুতি’ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার (২১ জুলাই) ভোরে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে ভিড়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দর সচিব ওমর ফারুক।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে সড়কপথে কনটেইনারে পণ্য পরিবহনের প্রথম ‘ট্রায়াল রান’ এটি। জাহাজটিতে চার কনটেইনার ট্রানজিট পণ্যের বাইরে বিভিন্ন আমদানিকারকের পণ্যভর্তি কনটেইনারও রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, চুক্তি অনুযায়ী চালান প্রসেসিং ফি, ট্রান্সশিপমেন্ট ফি, নিরাপত্তা মাশুল, এসকর্ট মাশুল ও অন্যান্য প্রশাসনিক মাশুল মিলিয়ে সাত ধরনের মাশুল আদায় করবে বাংলাদেশ কাস্টমস। এর বাইরে চট্টগ্রাম বন্দরের চার্জ যুক্ত হবে।

ম্যাংগো শিপিং লাইনের ব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমান জানান, জাহাজটি জেটিতে বার্থিং দিতে বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন। কনটেইনার খালাসের লক্ষ্যে কাস্টমসসহ বিভিন্ন মাশুল পরিশোধের জন্য প্রক্রিয়া চলছে। খালাস শেষে সড়কপথে কনটেইনারগুলো আখাউড়া হয়ে ত্রিপুরা ও আসাম পাঠিয়ে দেয়া হবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জন্য দুই টিইইউ’স টিএমটি ইস্পাত এবং আসামের করিমগঞ্জের জন্য দুই টিইইউ’স ডাল বোঝাই করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বন্দর ছেড়ে আসে জাহাজটি। চট্টগ্রাম বন্দরে ট্রানজিট হয়ে বাংলাদেশের সড়ক পথে যাবে ত্রিপুরা রাজ্যে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের অক্টোবরে দিল্লিতে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহনে দুই দেশের এ চুক্তি হয়।

বিজনেস আওয়ার/২১ জুলাই, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: