বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : মহান জাতীয় সংসদে স্টক এক্সচেঞ্জের স্বতন্ত্র পরিচালকদের নিয়োগ ও যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ। যারা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে স্বতন্ত্র পরিচালক হচ্ছে বলে জানান তিনি। যাদের শেয়ারবাজার সর্ম্পক্যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
ফিরোজ রশীদ বলেন, প্রতিটি ব্যাংক এমনকি স্টক এক্সচেঞ্জের মতো সংবেদনশীল জায়গায় সিন্ডিকেট করে স্বতন্ত্র পরিচালকদের নামে পরিচালক বানিয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছে। যাদেরকে স্বতন্ত্র পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাদের ব্যাংক ও স্টক মার্কেট সর্ম্পক্যে কতটুকু জ্ঞানবুদ্ধি থাকে? কি অভিজ্ঞতা থাকে? কিন্তু দেখা যায় তারা ট্রেড বডির মাধ্যমে চলে আসে। তাই যত বেশি সংগঠন ও বডি করবেন, তত বেশি অনিয়ম হবে। এদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
জাতীয় সংসদে বাণিজ্য সংগঠন বিল পাসের জন্য উপস্থাপনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্টক মার্কেটে যাদেরকে প্রতিনিধি করে পাঠানো হবে, তাদেরকে এই মার্কেট সর্ম্পক্যে জানতে হবে। ব্যাংকে যাদেরকে স্বতন্ত্র পরিচালক করে পাঠানো হবে, তাদেরকে এই খাত সর্ম্পক্যে সম্মুখ জ্ঞান থাকতে হবে। এটা না হলে কিন্তু যতই আইন আমরা করি না কেনো, তা কার্যকরি হবে না এবং জনগন সুফল পাবে না।
উল্লেখ্য ২০১৩ সালে দেশের ঊভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে ডিমিউচ্যুয়ালাইজড (মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথকিকরন) করার মাধ্যমে স্বতন্ত্র পরিচালকদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে পর্ষদ গঠন করা হয়। এতে ৭জন স্বতন্ত্র পরিচালক ও ৫জন শেয়ারহোল্ডার পরিচালকের (স্ট্র্যাটেজিক ইনভেস্টর মনোনিতসহ) বিধান রাখা হয়। এতে স্বতন্ত্র পরিচালকদের মধ্য থেকে চেয়ারম্যান করার বাধ্যবাধকতা করা হয়।
কিন্তু দীর্ঘদিনেও স্বতন্ত্র পরিচালকদের কাছ থেকে সুফল না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে স্টেকহোল্ডারদের। তাদের এ বাজার নিয়ে যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। যারা দীর্ঘদিনেও এই বাজারের উন্নয়নে কার্যকরি কোন পদক্ষেপ নিতে পারেনি। এমনকি অনেকে শুধু বোর্ড মিটিং ফি ও স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক হওয়ার সুনাম অর্জনের জন্য স্বতন্ত্র পরিচালক হয়েছেন বলে অভিযোগ আছে।
দেশে গুরুর মাংসের দাম বাড়তেছে উল্লেখ করে কাজী ফিরোজ রশীদ সংসদে বলেন, এটা কি রাশিয়ার যুদ্ধের কারনে, না। গরুতো রাশিয়া থেকে আনা হয় না। বাড়ার কারন সিন্ডিকেট। এদের কারনে একটা গরু এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিতে হলে ১০ জায়গায় চাঁদা দিতে হয়। এমনকি ফুটপাতে ছোট্ট চায়ের দোকানদারকেও চাদাঁ না দিয়ে সে দোকান করতে পারে না।
এই কারনেই সিন্ডিকেট গড়ে ওঠে। দেশে অসংখ্য সিন্ডিকেট ও ট্রেড বডি গড়ে উঠেছে। বাণিজ্যমন্ত্রীকে এ ট্রেড বডি কমানোর জন্য এফবিসিসিআইকে বলার জন্য এবং যোগ্য লোকদেরকে দায়িত্বে বসানোর জন্য বলেন তিনি।
বিজনেস আওয়ার/০৯ এপ্রিল, ২০২২/আরএ
It’s not a new thing.