ঢাকা , শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রশীদ ইনভেস্টমেন্টে অর্থ ঘাটতি : ফ্রি লিমিটসহ ৫ সুবিধা স্থগিত

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০২২
  • 0

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : সিকিউরিটিজ কেনা-বেঁচার প্রতিষ্ঠান রশীদ ইনভেস্টমেন্ট সার্ভিসেসে বিনিয়োগকারীদের সমন্বিত ব্যাংক হিসাবে টাকার ঘাটতি পাওয়া গেছে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীদের হিসাবে যে টাকা থাকার কথা, তার চেয়ে টাকা কম রয়েছে। যা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। এ জন্য ব্রোকারেজ হাউজটির ফ্রি লিমিটসহ ৫টি সুবিধা স্থগিত করেছে ডিএসই।

এ বিষয়ে বুধবার (২৭ এপ্রিল) ডিএসইর ডিজিএম মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ভূইয়া সাক্ষরিত চিঠি রশীদ ইনভেস্টমেন্ট সার্ভিসেস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) ডিএসইর একটি দল ব্রোকারেজ হাউজটিতে এক অনুসন্ধানে বিনিয়োগকারীদের হিসাবে ২৩ মার্চ ৫৩ লাখ ৬৪ হাজার টাকার ও ২৫ এপ্রিল ৩২ লাখ ২৯ হাজার টাকা ঘাটতি দেখতে পান। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক হিসাবে তাদেরই টাকা নেই। এর মাধ্যমে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ২০২০ এর ৬(১)(২) লঙ্ঘন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে রশীদ ইনভেস্টমেন্ট সার্ভিসেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ রশীদ লালী বিজনেস আওয়ারকে বলেন, গ্রাহকেরা সময়মতো টাকা জমা না দেওয়ায় ডেবিট ব্যালেন্স হয়েছিল। তবে সেটা এরইমধ্যে পূরণ করা হয়ে গেছে।

আইন অনুযায়ি, একটি ব্রোকারেজ হাউজ ব্যাংকে বিনিয়োগকারী তথা গ্রাহকদের জন্য একটি সমন্বিত ব্যাংক হিসাব খুলবে। যা রক্ষনাবেক্ষন করা হবে শুধুমাত্র বিনিয়োগকারীদের টাকা জমা ও উত্তোলনের জন্য। যা ব্রোকারেজ হাউজ কর্তৃপক্ষ কোনভাবেই নিজস্ব প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবে না।

তারপরেও বিনিয়োগকারীদের হিসাবে ঘাটতি পেয়েছে ডিএসই। এই পরিস্থিতিতে গত ২২ মার্চ বিএসইসির জারিকৃত নির্দেশনা অনুযায়ি, ওই ঘাটতি সমন্বয় না করা পর্যন্ত রশীদ ইনভেস্টমেন্ট সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইনের পাশাপাশি আইপিও কোটা বাতিলসহ ৫টি সুনির্দিষ্ট শাস্তির কথা বলা হয়েছে ডিএসইর চিঠিতে।

বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ি, ঘাটতি থাকা রশীদ ইনভেস্টমেন্ট সার্ভিসেসে ট্রেক মার্জিন রেগুলেশনের ফ্রি লিমিট সুবিধা স্থগিত থাকবে। এছাড়া স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে মালিকানার বিপরীতে লভ্যাংশ প্রাপ্তি, আইপিও/কিউআইও কোটা, ট্রেকহোল্ডার কোম্পানি ও ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীর (ডিপি) নিবন্ধন সনদ নবায়ন ও নতুন শাখা বা ডিজিটাল বুথ খোলার সুবিধা স্থগিত থাকবে।

এর বাহিরে ঘাটতি সমন্বয়ের পর ন্যূণতম ১ বছর সংশ্লিষ্ট স্টক এক্সচেঞ্জ বিশেষ তদারকি করবে বলে রশীদ ইনভেস্টমেন্ট। এছাড়া প্রতিমাসে দুইবার সমন্বিত গ্রাহক হিসাব ও ডিপি-তে থাকা সিকিউরিটিজ যাচাই করা হবে।

বিজনেস আওয়ার/২৭ এপ্রিল, ২০২২/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

রশীদ ইনভেস্টমেন্টে অর্থ ঘাটতি : ফ্রি লিমিটসহ ৫ সুবিধা স্থগিত

পোস্ট হয়েছে : ০৪:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : সিকিউরিটিজ কেনা-বেঁচার প্রতিষ্ঠান রশীদ ইনভেস্টমেন্ট সার্ভিসেসে বিনিয়োগকারীদের সমন্বিত ব্যাংক হিসাবে টাকার ঘাটতি পাওয়া গেছে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীদের হিসাবে যে টাকা থাকার কথা, তার চেয়ে টাকা কম রয়েছে। যা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। এ জন্য ব্রোকারেজ হাউজটির ফ্রি লিমিটসহ ৫টি সুবিধা স্থগিত করেছে ডিএসই।

এ বিষয়ে বুধবার (২৭ এপ্রিল) ডিএসইর ডিজিএম মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ভূইয়া সাক্ষরিত চিঠি রশীদ ইনভেস্টমেন্ট সার্ভিসেস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) ডিএসইর একটি দল ব্রোকারেজ হাউজটিতে এক অনুসন্ধানে বিনিয়োগকারীদের হিসাবে ২৩ মার্চ ৫৩ লাখ ৬৪ হাজার টাকার ও ২৫ এপ্রিল ৩২ লাখ ২৯ হাজার টাকা ঘাটতি দেখতে পান। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক হিসাবে তাদেরই টাকা নেই। এর মাধ্যমে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ২০২০ এর ৬(১)(২) লঙ্ঘন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে রশীদ ইনভেস্টমেন্ট সার্ভিসেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ রশীদ লালী বিজনেস আওয়ারকে বলেন, গ্রাহকেরা সময়মতো টাকা জমা না দেওয়ায় ডেবিট ব্যালেন্স হয়েছিল। তবে সেটা এরইমধ্যে পূরণ করা হয়ে গেছে।

আইন অনুযায়ি, একটি ব্রোকারেজ হাউজ ব্যাংকে বিনিয়োগকারী তথা গ্রাহকদের জন্য একটি সমন্বিত ব্যাংক হিসাব খুলবে। যা রক্ষনাবেক্ষন করা হবে শুধুমাত্র বিনিয়োগকারীদের টাকা জমা ও উত্তোলনের জন্য। যা ব্রোকারেজ হাউজ কর্তৃপক্ষ কোনভাবেই নিজস্ব প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবে না।

তারপরেও বিনিয়োগকারীদের হিসাবে ঘাটতি পেয়েছে ডিএসই। এই পরিস্থিতিতে গত ২২ মার্চ বিএসইসির জারিকৃত নির্দেশনা অনুযায়ি, ওই ঘাটতি সমন্বয় না করা পর্যন্ত রশীদ ইনভেস্টমেন্ট সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইনের পাশাপাশি আইপিও কোটা বাতিলসহ ৫টি সুনির্দিষ্ট শাস্তির কথা বলা হয়েছে ডিএসইর চিঠিতে।

বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ি, ঘাটতি থাকা রশীদ ইনভেস্টমেন্ট সার্ভিসেসে ট্রেক মার্জিন রেগুলেশনের ফ্রি লিমিট সুবিধা স্থগিত থাকবে। এছাড়া স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে মালিকানার বিপরীতে লভ্যাংশ প্রাপ্তি, আইপিও/কিউআইও কোটা, ট্রেকহোল্ডার কোম্পানি ও ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীর (ডিপি) নিবন্ধন সনদ নবায়ন ও নতুন শাখা বা ডিজিটাল বুথ খোলার সুবিধা স্থগিত থাকবে।

এর বাহিরে ঘাটতি সমন্বয়ের পর ন্যূণতম ১ বছর সংশ্লিষ্ট স্টক এক্সচেঞ্জ বিশেষ তদারকি করবে বলে রশীদ ইনভেস্টমেন্ট। এছাড়া প্রতিমাসে দুইবার সমন্বিত গ্রাহক হিসাব ও ডিপি-তে থাকা সিকিউরিটিজ যাচাই করা হবে।

বিজনেস আওয়ার/২৭ এপ্রিল, ২০২২/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: