ঢাকা , সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারত জানালে পিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ মে ২০২২
  • 3

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পিকে হালদার) গ্রেফতার করার বিষয়ে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। ভারত এ ব্যাপারে জানালেই তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সেমিনারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পি কে হালদার বাংলাদেশের ওয়ান্টেড। বাংলাদেশ সরকার ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।

প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে হালদার) ও তাঁর চার সহযোগীকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। পিকে হালদারের সহযোগীদের মধ্যে একজন নারী ছিলেন। তাঁকে ইডির হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

শনিবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে পি কে হালদারের প্রাসাদসম বাড়িসহ অনেক সম্পদের সন্ধান পায় ইডি। সংস্থাটি পি কে হালদার ও তাঁর সহযোগীদের সম্পদের সন্ধানে গত দুই দিনে অন্তত ১০টি স্থানে অভিযান চালিয়েছে। প্রধানত আর্থিক কেলেঙ্কারি, বেআইনিভাবে ভারতে অর্থ পাঠানো, বিদেশে অর্থ পাচার ও আইনবহির্ভূত সম্পত্তির বিষয়ে তদন্ত করছে ইডি।

এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পি কে হালদার বাংলাদেশে আর্থিক খাতের শীর্ষ দখলদার ও খেলাপিদের একজন। ২০১৯ সালে তিনি বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে যান, পরে কানাডায় পাড়ি জমান।

ভারতের বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ ও বসবাস, বেনামে সম্পত্তি কেনা ও আইনবহির্ভূতভাবে অর্থ বাংলাদেশ থেকে ভারতে আনা—এসব অভিযোগে পি কে হালদার ও তাঁর পাঁচ সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ২০০২ সালের মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট বা অর্থ পাচার আইনের ওপর।

বিজনেস আওয়ার/১৫ মে, ২০২২/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ভারত জানালে পিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

পোস্ট হয়েছে : ০১:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ মে ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পিকে হালদার) গ্রেফতার করার বিষয়ে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। ভারত এ ব্যাপারে জানালেই তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সেমিনারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পি কে হালদার বাংলাদেশের ওয়ান্টেড। বাংলাদেশ সরকার ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।

প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে হালদার) ও তাঁর চার সহযোগীকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। পিকে হালদারের সহযোগীদের মধ্যে একজন নারী ছিলেন। তাঁকে ইডির হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

শনিবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে পি কে হালদারের প্রাসাদসম বাড়িসহ অনেক সম্পদের সন্ধান পায় ইডি। সংস্থাটি পি কে হালদার ও তাঁর সহযোগীদের সম্পদের সন্ধানে গত দুই দিনে অন্তত ১০টি স্থানে অভিযান চালিয়েছে। প্রধানত আর্থিক কেলেঙ্কারি, বেআইনিভাবে ভারতে অর্থ পাঠানো, বিদেশে অর্থ পাচার ও আইনবহির্ভূত সম্পত্তির বিষয়ে তদন্ত করছে ইডি।

এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পি কে হালদার বাংলাদেশে আর্থিক খাতের শীর্ষ দখলদার ও খেলাপিদের একজন। ২০১৯ সালে তিনি বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে যান, পরে কানাডায় পাড়ি জমান।

ভারতের বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ ও বসবাস, বেনামে সম্পত্তি কেনা ও আইনবহির্ভূতভাবে অর্থ বাংলাদেশ থেকে ভারতে আনা—এসব অভিযোগে পি কে হালদার ও তাঁর পাঁচ সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ২০০২ সালের মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট বা অর্থ পাচার আইনের ওপর।

বিজনেস আওয়ার/১৫ মে, ২০২২/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: