ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিস্তা চুক্তি না হওয়াটা লজ্জাজনকঃ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • পোস্ট হয়েছে : ০৫:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ মে ২০২২
  • 26

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে একটি কাঁটা হিসেবে ঝুলে আছে তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি। আর এই চুক্তি ১১ বছর ধরে ঝুলে থাকাটা লজ্জাজনক বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

সোমবার (৩০ মে) আসামের গুয়াহাটিতে বাংলাদেশ-ভারত নদী (এনএডিআই) সম্মেলনের এক ফাঁকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ড. মোমেন এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা প্রস্তুত ছিলাম, তারা প্রস্তুত ছিল, তবুও (তিস্তা) চুক্তি হয়নি- এটি লজ্জাজনক। ভবিষ্যতে পানির বড় হাহাকার তৈরি হবে, এর জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। দুই দেশের মধ্যে প্রবাহিত তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের জন্য এই চুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চুক্তির খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে ২০১১ সালে। তারপর থেকে বারবার চেষ্টা করেও চুক্তিটি সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি।

তিস্তা চুক্তি করতে সবসময় প্রস্তুত বাংলাদেশ। ভারতের পক্ষ থেকে কয়েক দফা বলা হয়েছিল, কেন্দ্রীয় সরকার তথা দিল্লির কোনো অমত নেই এই চুক্তির ব্যাপারে। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আপত্তির কারণে বারবার মুখ থুবড়ে পড়েছে চুক্তিটি। এরপরও ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই সমস্যার সমাধান করা হবে।

বিজনেস আওয়ার/ ৩০ মে, ২০২২/ এস এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

তিস্তা চুক্তি না হওয়াটা লজ্জাজনকঃ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পোস্ট হয়েছে : ০৫:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ মে ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে একটি কাঁটা হিসেবে ঝুলে আছে তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি। আর এই চুক্তি ১১ বছর ধরে ঝুলে থাকাটা লজ্জাজনক বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

সোমবার (৩০ মে) আসামের গুয়াহাটিতে বাংলাদেশ-ভারত নদী (এনএডিআই) সম্মেলনের এক ফাঁকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ড. মোমেন এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা প্রস্তুত ছিলাম, তারা প্রস্তুত ছিল, তবুও (তিস্তা) চুক্তি হয়নি- এটি লজ্জাজনক। ভবিষ্যতে পানির বড় হাহাকার তৈরি হবে, এর জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। দুই দেশের মধ্যে প্রবাহিত তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের জন্য এই চুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চুক্তির খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে ২০১১ সালে। তারপর থেকে বারবার চেষ্টা করেও চুক্তিটি সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি।

তিস্তা চুক্তি করতে সবসময় প্রস্তুত বাংলাদেশ। ভারতের পক্ষ থেকে কয়েক দফা বলা হয়েছিল, কেন্দ্রীয় সরকার তথা দিল্লির কোনো অমত নেই এই চুক্তির ব্যাপারে। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আপত্তির কারণে বারবার মুখ থুবড়ে পড়েছে চুক্তিটি। এরপরও ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই সমস্যার সমাধান করা হবে।

বিজনেস আওয়ার/ ৩০ মে, ২০২২/ এস এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: