ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশাল বাজেট বাস্তবায়ন সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ, অসম্ভব না

  • পোস্ট হয়েছে : ০৬:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জুন ২০২২
  • 59

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এর প্রেসিডেন্ট মো. মামুনুর রশিদ (এফসিএমএ) বলেছেন, বাজেটে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা আয়ের বিপরীতে ৬ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি রয়েছে। করোনা পরবর্তী সময়ে এ বিশাল বাজেট অর্জন সরকারের জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জ। তবে অসম্ভব নয়। এক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন আইসিএমএবির প্রফেশনাল অ্যাকাউন্টেন্টরা সরকারের পাশে থেকে এ বাজেট অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে চায়।

শনিবার (১১ জুন) রাজধানীর ইকোনমিক রিপোটার্স ফোরামের কার্যালয়ে প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ আশা ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাফা উপদেষ্টা ও প্রাক্তন সাফা প্রেসিডেন্ট একেএম দেলোয়ার হোসেন (এফসিএমএ), আইসিএমএবির ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মনিরুল ইসলাম (এফসিএমএ), সেক্রেটারি এ.কে.এম. কামরুজ্জামান (এফসিএমএ), কোষাধ্যক্ষ মো. আলী হায়দার চৌধুরী (এফসিএমএ) ও ঢাকা ব্রাঞ্চ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। এতে বাজেটের উপর পেপার উপস্থাপন করেন শফিকুল আলম অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস এর প্রিন্সিপাল অ্যান্ড সিইও মো. শফিকুল আলম এফসিএ, এফসিএমএ।

আইসিএমএবি সভাপতি প্রথমেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে ধন্যবাদ জানান, আইসিএমএবি’র প্রস্তাব অনুযায়ী প্রস্তাবিত বাজেটে ভ্যাট বিধিমালা ২০১৬ মোতাবেক কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্টগণ বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির (ADR) ক্ষেত্রে সহায়ক (Facilitator) হিসাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য। একইসঙ্গে হিসাব ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনার জন্য ফিনান্সিয়াল অডিটের পাশাপাশি কস্ট অডিট বাস্তবায়নের দাবী জানান তিনি। যা পার্শ্ববতী ভারতসহ বিভিন্ন দেশে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

তিনি বলেন, কস্ট অব গুডস সোল্ড স্টেটমেন্ট যদি কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্টদের মাধ্যমে অডিট করা যায়, তাহলে কস্ট ইফিসিয়েন্সি বাড়বেস ও খরচ কমবে। এতে সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ট্যাক্সেস আপীল ট্রাইবুনালের প্রতিটি বেঞ্চে একজন করে বিচার বিভাগীয় সদস্যদের পাশাপাশি আইসিএমএবি’র সদস্য নিয়োগ দেয়ার বিধান চালুর দাবী জানান আইসিএমএবি সভাপতি। এতে বিচারাধীন আয়কর মামলার সংখ্যা কমবে।

তিনি ব্যক্তিশ্রেনীর শ্রেণীর করদাতার সর্বোচ্চ করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখ টাকা এবং মহিলা ও ৬৫ বৎসরের উর্দ্ধে করদাতাদের সর্বোচ্চ করমুক্ত সীমা ৫ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেন। অ্যাডভাইজরি, কনসালটেন্সি প্রফেশনাল, টেকনিক্যাল ইত্যাদি সার্ভিস ফি হতে উৎসে আয়কর কর্তনকে চূড়ান্ত কর হিসেবে গন্য করারও দাবী জানান।

সিনিয়র নাগরিক যাদের আয়ের উৎস শুধুমাত্র পেনশন এবং সঞ্চয়পত্রের সুদ তাদেরকে রিটার্ন দেয়া হতে অব্যাহতি প্রদানের আবেদন জানান আইসিএমএবির এই সভাপতি। এছাড়া খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি নিরাপত্তা, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা, শিল্পায়ন, ব্যবসা প্রসার ও শেয়ারবাজার উন্নয়ন, গার্মেন্টস্ সেক্টরে বিশেষ সুবিধা প্রদান, পরিবহন শিল্প এবং বিমান পরিবহন শিল্পের জন্য বিশেষ সুবিধা প্রদানসহ এ খাতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেন।

যাতায়াত খরচ সকলের অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে, ব্যাক্তি শ্রেণির করদাতাদের জন্য যাতায়াত ভাতায় করমুক্ত সীমা ৩০ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৬০ হাজার টাকা করা উচিত বলে তিনি মনে করেন। বিনিয়োগ এর মাধ্যমে কর রেয়াত গ্রহণ করার ক্ষেত্রে, বিনিয়োগের খাত সমূহ বৃদ্ধি করা উচিত, শেয়ারবাজার সকলে বোঝেন না, তাই ডিপিএস সীমা ৬০ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা করার দাবি করেন তিনি।

শ্রম আইন অনুসারে প্রদানকৃত WPPF খাতে খরচকে অননুমোদিত করা সঠিক সিদ্ধান্ত হবে না বলে মনে করেন তিনি। এতে অনেক প্রতিষ্ঠান এই খাতে খরচ প্রদানে অনিহা প্রকাশ করবে।

ব্যাক্তি খাতে লভ্যাংশ আয়ের উপর কর্তনকৃত করকে চুড়ান্ত কর উচিত করার দাবি করেন তিনি। কারন এই খাতে আয়ের উপর কর কর্তনের প্রমান সংগ্রহ করা অনেক সময়েই সম্ভব হয় না এবং কষ্ট সাধ্য ও সময় সাপেক্ষ ব্যাপার হয়, মাঠ পর্যায়ে করদাতাকে অনেক সমস্যার সন্মূক্ষীন হতে হয়।

এ বছর মূসক আইনে অনেক বাস্তবমুখী এবং ব্যবসাবান্ধব করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তারপরও ব্যবসা সহজ, সচ্ছতা ও রাজস্ব বৃদ্ধি করার স্বার্থে কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টগণদের সম্পৃক্ত করা উচিত বলে তিনি মনে করেন। উৎসে কর্তৃত করকে হ্রাসকারী সমন্বয়ের জন্য পরবর্তী এক মেয়াদের পরিবর্তে তিন মেয়াদ করা হয়েছে, আমরা মনে করি সম্পূর্ণ অর্থ বৎসর পর্যন্ত সমন্বয়ের সুযোগ থাকা উচিত, যেহেতু অর্থ বৎসর শেষে চূড়ান্ত হিসাব করা হয়।

সঠিক ও স্বচ্ছ হিসাব ব্যাবস্থা এবং রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য হিসাব বিবরনীতে কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট কর্তৃক প্রত্যায়িত কষ্ট অব গুডস সোল্ড বিবরনী থাকা উচিত। ইনপুট আউটপুট কুইফিসিন্টের (মূসক ৪.৩) কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট কর্তৃক প্রত্যায়িত হলে সঠিক মূল্যের উপর মূসক আদায় সম্ভব হবে। কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট প্রত্যায়িত হলে সুনির্দিষ্ট কারন ব্যতীত নির্ধারিত পন্য মূল্যের জন্য পূনরায় অডিট প্রয়োজন হবে না। এই ধারাটি কিছু ক্ষেত্রে পাইলট প্রকল্প হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে।

বিজনেস আওয়ার/১১ জুন, ২০২২/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বিশাল বাজেট বাস্তবায়ন সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ, অসম্ভব না

পোস্ট হয়েছে : ০৬:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জুন ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এর প্রেসিডেন্ট মো. মামুনুর রশিদ (এফসিএমএ) বলেছেন, বাজেটে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা আয়ের বিপরীতে ৬ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি রয়েছে। করোনা পরবর্তী সময়ে এ বিশাল বাজেট অর্জন সরকারের জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জ। তবে অসম্ভব নয়। এক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন আইসিএমএবির প্রফেশনাল অ্যাকাউন্টেন্টরা সরকারের পাশে থেকে এ বাজেট অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে চায়।

শনিবার (১১ জুন) রাজধানীর ইকোনমিক রিপোটার্স ফোরামের কার্যালয়ে প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ আশা ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাফা উপদেষ্টা ও প্রাক্তন সাফা প্রেসিডেন্ট একেএম দেলোয়ার হোসেন (এফসিএমএ), আইসিএমএবির ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মনিরুল ইসলাম (এফসিএমএ), সেক্রেটারি এ.কে.এম. কামরুজ্জামান (এফসিএমএ), কোষাধ্যক্ষ মো. আলী হায়দার চৌধুরী (এফসিএমএ) ও ঢাকা ব্রাঞ্চ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। এতে বাজেটের উপর পেপার উপস্থাপন করেন শফিকুল আলম অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস এর প্রিন্সিপাল অ্যান্ড সিইও মো. শফিকুল আলম এফসিএ, এফসিএমএ।

আইসিএমএবি সভাপতি প্রথমেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে ধন্যবাদ জানান, আইসিএমএবি’র প্রস্তাব অনুযায়ী প্রস্তাবিত বাজেটে ভ্যাট বিধিমালা ২০১৬ মোতাবেক কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্টগণ বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির (ADR) ক্ষেত্রে সহায়ক (Facilitator) হিসাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য। একইসঙ্গে হিসাব ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনার জন্য ফিনান্সিয়াল অডিটের পাশাপাশি কস্ট অডিট বাস্তবায়নের দাবী জানান তিনি। যা পার্শ্ববতী ভারতসহ বিভিন্ন দেশে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

তিনি বলেন, কস্ট অব গুডস সোল্ড স্টেটমেন্ট যদি কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্টদের মাধ্যমে অডিট করা যায়, তাহলে কস্ট ইফিসিয়েন্সি বাড়বেস ও খরচ কমবে। এতে সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ট্যাক্সেস আপীল ট্রাইবুনালের প্রতিটি বেঞ্চে একজন করে বিচার বিভাগীয় সদস্যদের পাশাপাশি আইসিএমএবি’র সদস্য নিয়োগ দেয়ার বিধান চালুর দাবী জানান আইসিএমএবি সভাপতি। এতে বিচারাধীন আয়কর মামলার সংখ্যা কমবে।

তিনি ব্যক্তিশ্রেনীর শ্রেণীর করদাতার সর্বোচ্চ করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখ টাকা এবং মহিলা ও ৬৫ বৎসরের উর্দ্ধে করদাতাদের সর্বোচ্চ করমুক্ত সীমা ৫ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেন। অ্যাডভাইজরি, কনসালটেন্সি প্রফেশনাল, টেকনিক্যাল ইত্যাদি সার্ভিস ফি হতে উৎসে আয়কর কর্তনকে চূড়ান্ত কর হিসেবে গন্য করারও দাবী জানান।

সিনিয়র নাগরিক যাদের আয়ের উৎস শুধুমাত্র পেনশন এবং সঞ্চয়পত্রের সুদ তাদেরকে রিটার্ন দেয়া হতে অব্যাহতি প্রদানের আবেদন জানান আইসিএমএবির এই সভাপতি। এছাড়া খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি নিরাপত্তা, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা, শিল্পায়ন, ব্যবসা প্রসার ও শেয়ারবাজার উন্নয়ন, গার্মেন্টস্ সেক্টরে বিশেষ সুবিধা প্রদান, পরিবহন শিল্প এবং বিমান পরিবহন শিল্পের জন্য বিশেষ সুবিধা প্রদানসহ এ খাতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেন।

যাতায়াত খরচ সকলের অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে, ব্যাক্তি শ্রেণির করদাতাদের জন্য যাতায়াত ভাতায় করমুক্ত সীমা ৩০ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৬০ হাজার টাকা করা উচিত বলে তিনি মনে করেন। বিনিয়োগ এর মাধ্যমে কর রেয়াত গ্রহণ করার ক্ষেত্রে, বিনিয়োগের খাত সমূহ বৃদ্ধি করা উচিত, শেয়ারবাজার সকলে বোঝেন না, তাই ডিপিএস সীমা ৬০ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা করার দাবি করেন তিনি।

শ্রম আইন অনুসারে প্রদানকৃত WPPF খাতে খরচকে অননুমোদিত করা সঠিক সিদ্ধান্ত হবে না বলে মনে করেন তিনি। এতে অনেক প্রতিষ্ঠান এই খাতে খরচ প্রদানে অনিহা প্রকাশ করবে।

ব্যাক্তি খাতে লভ্যাংশ আয়ের উপর কর্তনকৃত করকে চুড়ান্ত কর উচিত করার দাবি করেন তিনি। কারন এই খাতে আয়ের উপর কর কর্তনের প্রমান সংগ্রহ করা অনেক সময়েই সম্ভব হয় না এবং কষ্ট সাধ্য ও সময় সাপেক্ষ ব্যাপার হয়, মাঠ পর্যায়ে করদাতাকে অনেক সমস্যার সন্মূক্ষীন হতে হয়।

এ বছর মূসক আইনে অনেক বাস্তবমুখী এবং ব্যবসাবান্ধব করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তারপরও ব্যবসা সহজ, সচ্ছতা ও রাজস্ব বৃদ্ধি করার স্বার্থে কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টগণদের সম্পৃক্ত করা উচিত বলে তিনি মনে করেন। উৎসে কর্তৃত করকে হ্রাসকারী সমন্বয়ের জন্য পরবর্তী এক মেয়াদের পরিবর্তে তিন মেয়াদ করা হয়েছে, আমরা মনে করি সম্পূর্ণ অর্থ বৎসর পর্যন্ত সমন্বয়ের সুযোগ থাকা উচিত, যেহেতু অর্থ বৎসর শেষে চূড়ান্ত হিসাব করা হয়।

সঠিক ও স্বচ্ছ হিসাব ব্যাবস্থা এবং রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য হিসাব বিবরনীতে কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট কর্তৃক প্রত্যায়িত কষ্ট অব গুডস সোল্ড বিবরনী থাকা উচিত। ইনপুট আউটপুট কুইফিসিন্টের (মূসক ৪.৩) কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট কর্তৃক প্রত্যায়িত হলে সঠিক মূল্যের উপর মূসক আদায় সম্ভব হবে। কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট প্রত্যায়িত হলে সুনির্দিষ্ট কারন ব্যতীত নির্ধারিত পন্য মূল্যের জন্য পূনরায় অডিট প্রয়োজন হবে না। এই ধারাটি কিছু ক্ষেত্রে পাইলট প্রকল্প হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে।

বিজনেস আওয়ার/১১ জুন, ২০২২/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: