ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রাইম ইসলামী লাইফ ও সিকিউরিটিজকে ৮ লাখ টাকা জরিমানা

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ জুলাই ২০২২
  • 1

জুয়েল রানা : কর্পোরেট পরিচালক হওয়া সত্ত্বেও ঘোষণা ছাড়াই শেয়ার বিক্রির দায়ে প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সকে ৫ লাখ টাকা এবং এই বীমা কোম্পানির নিযুক্ত ব্যক্তির বাহিরে অন্য কারো সাক্ষরে সিকিউরিটিজ ক্রয়-বিক্রয়ের দায়ে প্রাইম ইসলামী সিকিউরিটিজকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বিদ্যমান আইনে তালিকাভুক্ত যেকোন কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের আগে ঘোষণা দিতে হয়। কিন্তু উসমানিয়া গ্লাসের কর্পোরেট পরিচালক হয়েও ঘোষণা ছাড়াই প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২০১৮ সালের ৩ ও ৪ জুলাই ওই কোম্পানির ২ লাখ ৫৫ হাজার শেয়ার বিক্রি করেছে।

এ বিষয়ে শুনানিতে প্রাইম ইসলামী লাইফ কর্তৃপক্ষ চলতি বছরের ২৬ মে লিখিত বক্তব্যে বলে, তৎকালীন প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সচিব হাবিবুর রহমান ২০১৮ সালের ১ জুলাই উসমানিয়া গ্লাসের পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। তাই শেয়ার বিক্রিতে ঘোষণা প্রয়োজন নেই বলে ধারনা করেছিলেন। এছাড়া সরল বিশ্বাসে শেয়ার বিক্রি করেছিলেন।

আরও পড়ুন….
ইয়াজদানিকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা
ইসি সিকিউরিটিজ ও সিইও খুরশিদ আলমকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা

এদিকে ডিএসইর অনুসন্ধানে উঠে আসে, প্রাইম ইসলামী সিকিউরিটিজের গ্রাহক প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বিও হিসাব পরিচালনার জন্য কোম্পানিটির সিইও মুহাম্মদ শাহ আলম সাক্ষরকারী। বীমা কোম্পানিটির ২০১৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বোর্ড সভার মিনিটস, বিও হিসাবের সিগনেচার কার্ড ও ২০১৫ সালের ১৭ নভেম্বর ব্রোকারেজ হাউজটিকে প্রাইম ইসলামী লাইফ থেকে দেওয়া চিঠি অনুযায়ি মুহাম্মদ শাহ আলমকে সাক্ষরকারী করা হয়। কিন্তু বীমা কোম্পানিটির যুগ্ন সহ-সভাপতি মো. হারুন রশিদের সাক্ষরে ২০১৮ সালে উসমানিয়া গ্লাসের ওই শেয়ার বিক্রি করে প্রাইম ইসলামী সিকিউরিটিজ কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে শুনানিতে চলতি বছরের ২৬ মে প্রাইম ইসলামী সিকিউরিটিজের সিইও মো. রাজিব হাসান বলেন, ২০১১ সালের ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ১০০তম সভায় বিও হিসাব খোলা এবং তা হারুন রশিদ পরিচালনা করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া ১৪৯তম সভায় ওই বিও হিসাব পরিচালনায় সাক্ষরকারী পরিবর্তন করা হয়নি।

কিন্তু ঊভয় প্রতিষ্ঠানের ব্যাখ্যা কমিশনের কাছে বিবেচনাযোগ্য হয়নি। এই পরিস্থিতিতে শেয়ারবাজারের উন্নয়ন, বাজারে শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতা রক্ষার স্বার্থে প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও প্রাইম ইসলামী সিকিউরিটিজকে জরিমানা করা প্রয়োজন এবং সমীচীন বলে কমিশন মনে করে। যে কারনে কমিশন প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সকে ৫ লাখ টাকা ও প্রাইম ইসলামী সিকিউরিটিজকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই শাস্তির বিষয়ে সম্প্রতি চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে কমিশন।

বিজনেস আওয়ার/২৩ জুলাই, ২০২২/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

প্রাইম ইসলামী লাইফ ও সিকিউরিটিজকে ৮ লাখ টাকা জরিমানা

পোস্ট হয়েছে : ১১:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ জুলাই ২০২২

জুয়েল রানা : কর্পোরেট পরিচালক হওয়া সত্ত্বেও ঘোষণা ছাড়াই শেয়ার বিক্রির দায়ে প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সকে ৫ লাখ টাকা এবং এই বীমা কোম্পানির নিযুক্ত ব্যক্তির বাহিরে অন্য কারো সাক্ষরে সিকিউরিটিজ ক্রয়-বিক্রয়ের দায়ে প্রাইম ইসলামী সিকিউরিটিজকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বিদ্যমান আইনে তালিকাভুক্ত যেকোন কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের আগে ঘোষণা দিতে হয়। কিন্তু উসমানিয়া গ্লাসের কর্পোরেট পরিচালক হয়েও ঘোষণা ছাড়াই প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২০১৮ সালের ৩ ও ৪ জুলাই ওই কোম্পানির ২ লাখ ৫৫ হাজার শেয়ার বিক্রি করেছে।

এ বিষয়ে শুনানিতে প্রাইম ইসলামী লাইফ কর্তৃপক্ষ চলতি বছরের ২৬ মে লিখিত বক্তব্যে বলে, তৎকালীন প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সচিব হাবিবুর রহমান ২০১৮ সালের ১ জুলাই উসমানিয়া গ্লাসের পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। তাই শেয়ার বিক্রিতে ঘোষণা প্রয়োজন নেই বলে ধারনা করেছিলেন। এছাড়া সরল বিশ্বাসে শেয়ার বিক্রি করেছিলেন।

আরও পড়ুন….
ইয়াজদানিকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা
ইসি সিকিউরিটিজ ও সিইও খুরশিদ আলমকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা

এদিকে ডিএসইর অনুসন্ধানে উঠে আসে, প্রাইম ইসলামী সিকিউরিটিজের গ্রাহক প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বিও হিসাব পরিচালনার জন্য কোম্পানিটির সিইও মুহাম্মদ শাহ আলম সাক্ষরকারী। বীমা কোম্পানিটির ২০১৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বোর্ড সভার মিনিটস, বিও হিসাবের সিগনেচার কার্ড ও ২০১৫ সালের ১৭ নভেম্বর ব্রোকারেজ হাউজটিকে প্রাইম ইসলামী লাইফ থেকে দেওয়া চিঠি অনুযায়ি মুহাম্মদ শাহ আলমকে সাক্ষরকারী করা হয়। কিন্তু বীমা কোম্পানিটির যুগ্ন সহ-সভাপতি মো. হারুন রশিদের সাক্ষরে ২০১৮ সালে উসমানিয়া গ্লাসের ওই শেয়ার বিক্রি করে প্রাইম ইসলামী সিকিউরিটিজ কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে শুনানিতে চলতি বছরের ২৬ মে প্রাইম ইসলামী সিকিউরিটিজের সিইও মো. রাজিব হাসান বলেন, ২০১১ সালের ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ১০০তম সভায় বিও হিসাব খোলা এবং তা হারুন রশিদ পরিচালনা করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া ১৪৯তম সভায় ওই বিও হিসাব পরিচালনায় সাক্ষরকারী পরিবর্তন করা হয়নি।

কিন্তু ঊভয় প্রতিষ্ঠানের ব্যাখ্যা কমিশনের কাছে বিবেচনাযোগ্য হয়নি। এই পরিস্থিতিতে শেয়ারবাজারের উন্নয়ন, বাজারে শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতা রক্ষার স্বার্থে প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও প্রাইম ইসলামী সিকিউরিটিজকে জরিমানা করা প্রয়োজন এবং সমীচীন বলে কমিশন মনে করে। যে কারনে কমিশন প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সকে ৫ লাখ টাকা ও প্রাইম ইসলামী সিকিউরিটিজকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই শাস্তির বিষয়ে সম্প্রতি চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে কমিশন।

বিজনেস আওয়ার/২৩ জুলাই, ২০২২/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: