ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতিবছরই কমছে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম

  • পোস্ট হয়েছে : ০৫:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ অগাস্ট ২০২০
  • 125

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : দেশের বাজারে চামড়াজাত পণ্যের দাম বাড়লেও প্রতিবছরই কমছে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম। কোরাবনি ঈদের আগে ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চামড়া দাম কমিয়ে পুনর্নির্ধারণ করে দেয়। আর এভাবেই গত সাত বছরে চামড়া দাম কমেছে অর্ধেকেরও বেশি।

জানা গেছে, ২০১৩ সালে লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর কাঁচা চামড়ার মূল্য ছিল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা আর ছাগলের চামড়ার বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। ২০২০ সালে লবণযুক্ত প্রতিবর্গফুট গরুর কাঁচা চামড়ার দাম মাত্র ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় এবং প্রতি বর্গফুট ছাগলের চামড়ার ১৩ থেকে ১৫ টাকায় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।

সেই অনুযায়ী গত সাত বছরে গরুর চামড়া দাম কমেছে ৫৮ দশমিক ৮২ শতাংশ। একই সময়ে ছাগলের চামড়ার দাম কমেছে ৭৪ শতাংশ। অর্থাৎ ২০১৩ সালে ছাগলের চামড়া যে দামে পাওয়া যেত, ২০২০ সালে এসে গরুর চামড়া তার চেয়েও কম দামে পাওয়া যাচ্ছে।

সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে গরু ও ছাগলের চামড়ার দাম কমিয়ে ২০১৪ সালে গরুর চামড়া ৭০ থেকে ৭৫ টাকা এবং ছাগলের চামড়া ৪০ থেকে ৪৫ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। আর ২০১৫ ও ২০১৬ সালে পরপর দুই বছর প্রতি বর্গফুট গরুর কাঁচা চামড়া ৫০ থেকে ৫৫ টাকা এবং ছাগলের চামড়া ২০ থেকে ২৫ টাকায় নির্ধারণ করে দেওয়া ছিল।

তবে ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে টানা তিনবছর প্রতি বর্গফুট গরু চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। তবে ২০১৭ সালে ছাগলের প্রতিবর্গফুট চামড়া ২০ থেকে ২২ টাকায় নির্ধারণ করা হলেও ২০১৮ ও ২০১৯ সালে তা আরও কমিয়ে ১৮ থেকে ২০ টাকা করা হয়।

সর্বশেষ গত ২৬ জুলাই ২০২০ সালের কোরবানি ঈদের জন্য প্রতিবর্গফুট গরুর চামড়া ৩৫ থেকে ৪০ টাকা এবং ছাগলের ১৩ থেকে ১৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, আন্তর্জাতিকবাজারে চামড়ার চাহিদা আর আগের মতো নেই। সে সাথে দেশের ট্যানারিগুলোতে আগের বছরের চামড়া বিশাল অংশ অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ফলে প্রতিবছরই চামড়ার দাম কমে যাচ্ছে।

চামড়ার দাম কমে যাওয়া প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচা চামড়ার মূল্য এবং সামগ্রিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে চামড়ার দাম আগের বছরের তুলনায় কিছুটা কমে নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, চামড়ার নির্ধারিত মূল্য নিশ্চিত করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় তা সংগ্রহ ও যথাসময়ে লবণ লাগাতে হবে। চামড়া নিয়ে এবার কোনো ধরনের সমস্যা হবে না । প্রয়োজনে এবার কাঁচা চামড়া ও ওয়েস্ট ব্লু চামড়া রফতানি করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৬ শে জুলাই কোবানির চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ বছর লবণযুক্ত গরুর কাঁচা চামড়ার মূল্য ঢাকায় প্রতিবর্গফুট ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, ঢাকার বাইরে ২৮ থেকে ৩২ টাকা। ছাগলের চামড়া প্রতি বর্গফুট সারাদেশে ১৩ থেকে ১৫ টাকা এবং বকরির চামড়া ১০ থেকে ১২ টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়।

বিজনেস আওয়ার/০২ আগস্ট, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

প্রতিবছরই কমছে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম

পোস্ট হয়েছে : ০৫:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ অগাস্ট ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : দেশের বাজারে চামড়াজাত পণ্যের দাম বাড়লেও প্রতিবছরই কমছে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম। কোরাবনি ঈদের আগে ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চামড়া দাম কমিয়ে পুনর্নির্ধারণ করে দেয়। আর এভাবেই গত সাত বছরে চামড়া দাম কমেছে অর্ধেকেরও বেশি।

জানা গেছে, ২০১৩ সালে লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর কাঁচা চামড়ার মূল্য ছিল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা আর ছাগলের চামড়ার বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। ২০২০ সালে লবণযুক্ত প্রতিবর্গফুট গরুর কাঁচা চামড়ার দাম মাত্র ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় এবং প্রতি বর্গফুট ছাগলের চামড়ার ১৩ থেকে ১৫ টাকায় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।

সেই অনুযায়ী গত সাত বছরে গরুর চামড়া দাম কমেছে ৫৮ দশমিক ৮২ শতাংশ। একই সময়ে ছাগলের চামড়ার দাম কমেছে ৭৪ শতাংশ। অর্থাৎ ২০১৩ সালে ছাগলের চামড়া যে দামে পাওয়া যেত, ২০২০ সালে এসে গরুর চামড়া তার চেয়েও কম দামে পাওয়া যাচ্ছে।

সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে গরু ও ছাগলের চামড়ার দাম কমিয়ে ২০১৪ সালে গরুর চামড়া ৭০ থেকে ৭৫ টাকা এবং ছাগলের চামড়া ৪০ থেকে ৪৫ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। আর ২০১৫ ও ২০১৬ সালে পরপর দুই বছর প্রতি বর্গফুট গরুর কাঁচা চামড়া ৫০ থেকে ৫৫ টাকা এবং ছাগলের চামড়া ২০ থেকে ২৫ টাকায় নির্ধারণ করে দেওয়া ছিল।

তবে ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে টানা তিনবছর প্রতি বর্গফুট গরু চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। তবে ২০১৭ সালে ছাগলের প্রতিবর্গফুট চামড়া ২০ থেকে ২২ টাকায় নির্ধারণ করা হলেও ২০১৮ ও ২০১৯ সালে তা আরও কমিয়ে ১৮ থেকে ২০ টাকা করা হয়।

সর্বশেষ গত ২৬ জুলাই ২০২০ সালের কোরবানি ঈদের জন্য প্রতিবর্গফুট গরুর চামড়া ৩৫ থেকে ৪০ টাকা এবং ছাগলের ১৩ থেকে ১৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, আন্তর্জাতিকবাজারে চামড়ার চাহিদা আর আগের মতো নেই। সে সাথে দেশের ট্যানারিগুলোতে আগের বছরের চামড়া বিশাল অংশ অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ফলে প্রতিবছরই চামড়ার দাম কমে যাচ্ছে।

চামড়ার দাম কমে যাওয়া প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচা চামড়ার মূল্য এবং সামগ্রিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে চামড়ার দাম আগের বছরের তুলনায় কিছুটা কমে নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, চামড়ার নির্ধারিত মূল্য নিশ্চিত করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় তা সংগ্রহ ও যথাসময়ে লবণ লাগাতে হবে। চামড়া নিয়ে এবার কোনো ধরনের সমস্যা হবে না । প্রয়োজনে এবার কাঁচা চামড়া ও ওয়েস্ট ব্লু চামড়া রফতানি করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৬ শে জুলাই কোবানির চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ বছর লবণযুক্ত গরুর কাঁচা চামড়ার মূল্য ঢাকায় প্রতিবর্গফুট ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, ঢাকার বাইরে ২৮ থেকে ৩২ টাকা। ছাগলের চামড়া প্রতি বর্গফুট সারাদেশে ১৩ থেকে ১৫ টাকা এবং বকরির চামড়া ১০ থেকে ১২ টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়।

বিজনেস আওয়ার/০২ আগস্ট, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: