দীর্ঘদিনের ব্যবসায় কয়েক দফায় পণ্যে বৈচিত্র আনার চেস্টা করেছে কে অ্যান্ড কিউ এর কর্তৃপক্ষ। সবশেষে সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন ও পাথর ব্যবসা শুরু করেছে। কিন্তু তারপরেও কোম্পানির উন্নতি হয়নি। এখনো কোম্পানিকে এসব পণ্যের ব্যবসায় লোকসান গুণতে হয়। তবে কোম্পানিটির জমি ও অফিস ভাড়া দিয়ে মুনাফায় টিকে রয়েছে। ব্যবসায় এমন দূরাবস্থার মধ্যে থাকলেও কোম্পানিটির শেয়ার দর অনেক মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানির থেকে এগিয়ে।
১৯৮৮ সালে যাত্রা শুরু করা কে অ্যান্ড কিউ এর নেতৃত্বে রয়েছেন আব্দুল আউয়াল মিন্টু পরিবার। তিনি এ কোম্পানির চেয়ারম্যান এবং তাবিথ আউয়াল ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
কোম্পানিটির দীর্ঘদিনের পথচলায় কার্বন রড, আলকাতরা ও কীটনাশকের ব্যবসা করা হয়েছে। এগুলো এখন অতিত। কাচাঁমালের অভাব, বাজারে চাহিদা না থাকা ও দূর্বল বাজারজাতকরনের কারনে এসব ব্যবসা থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন আব্দুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন পর্ষদ। বর্তমানে সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন ও পাথরের ব্যবসা করছেন।
দেখা গেছে, কে অ্যান্ড কিউ এর ২০২১-২২ অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই ২১-মার্চ ২২) বিক্রি বা আয় হয়েছে ৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকার। যার পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ৭ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। এ হিসেবে আয় কমেছে ৪৪ লাখ টাকার বা ৬ শতাংশ।
এই বিক্রি দিয়ে পরিচালন মুনাফা করা সম্ভব হয়নি কে অ্যান্ড কিউ এর। যাতে আগের ধারাবাহিকতায় পরিচালন লোকসান হয়েছে ৪৭ লাখ টাকা। যার পরিমাণ আগের অর্থবছরের ৯ মাসে ছিল ৬৪ লাখ টাকা।
তারপরেও ২০২১-২২ অর্থবছরের ৯ মাসে কোম্পানিটির নিট মুনাফা হয়েছে ৩৪ লাখ ৬১ হাজার টাকা বা শেয়ারপ্রতি ০.৬৯ টাকা। যার পরিমাণ আগের অর্থবছরের একইসময়ে হয়েছিল ২৯ লাখ ৪৬ হাজার বা শেয়ারপ্রতি ০.৬০ টাকা।
এই মুনাফার পেছনে প্রধান কারন হিসেবে রয়েছে জমি ও অফিস ভাড়া। কোম্পানিটির ২০২১-২২ অর্থবছরের ৯ মাসে ভাড়া ও অন্যান্যবাবদ ৯৫ লাখ টাকা আয় হয়েছে। এরমধ্যে বড় অংশই রয়েছে জমি ও অফিস ভাড়া থেকে আয়।
ভাড়া থেকে মুনাফায় থাকা কোম্পানিটি শেয়ার দরে অনেক এগিয়ে। ৫ কোটি ১৫ লাখ টাকার স্বল্প মূলধনী কোম্পানির শেয়ার দর গত ১৭ আগস্ট লেনদেন শেষে ছিল ৩০২.৩০ টাকায়। যে শেয়ারটি রিপোর্ট লেখাকালীন সময় ৩২০ টাকায় লেনদেন হয়।
এসব বিষয়ে কোম্পানি সচিব সাঈদ আহমেদ বিজনেস আওয়ারকে বলেন, আমরা ব্যবসায় উন্নতি করার চেষ্টা করছি। এরমধ্যে একটি এলপিজি ব্যবসা চালু ও মোবাইল ফোন অপারেটরদেরকে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান মাল্টিসোর্সিং কোম্পানির সঙ্গে একীভুতকরন প্রক্রিয়া চলছে।
বিজনেস আওয়ার/২১ আগস্ট, ২০২২/আরএ
Very nice news Rezwan vai