ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাপাক কাপড় কত দিনের মধ্যে ধৌত করতে হয়?

  • পোস্ট হয়েছে : ০৯:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 718

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: শরীয়তের বিধান হলো চাদরে কিংবা কাপড়ে নাপাকি লাগলে তিনবার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং প্রত্যেকবার ভালো করে চাপ দিয়ে নিংড়াতে হবে। এর জন্য নির্ধারিত কোন সময়সীমা নেই।

প্রশ্ন : নাপাক কাপড় কত দিনের মধ্যে ধুতে হবে? অনেক দিন পর পাক করলে তা কি পুরোপুরি পাক হবে?
উত্তর : নাপাক কাপড় ধোয়ার নির্ধারিত কোন সময়সীমা নেই। অনেক দিন পরেও নিয়মমত পবিত্র করে ধৌত করলে তা পবিত্র হয়ে যাবে।

কিছু সংশ্লিষ্ট মাসআলা

১. কাপড়ে নাপাকি লাগলে তিনবার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং প্রতিবার ভালো করে চাপ দিয়ে নিংড়াতে হবে। ভালো করে নিংড়িয়ে ধৌত করার পরও যদি দুর্গন্ধ থেকে যায় কিংবা দাগ থাকে, তাতে কোনো দোষ নেই, পাক হয়ে যাবে।

২. কাপড়ে যদি বীর্য লাগে এবং শুকিয়ে যায়, তাহলে আঁচড়ে তুলে ফেললে অথবা রগড়ে মর্দন করে তুলে ফেললে পাক হয়ে যায়। আর যদি বীর্য শুকনো না হয়, তাহলে তিনবার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে কাপড় পাক হয়ে যায়। প্রস্রাব করে পানি নেওয়ার পর যদি বীর্য বের হয়, তাহলে আবার ধুয়ে ফেলতে হবে।

৩. পানির মতো যেসব জিনিস তরল এবং যদি তৈলাক্ত না হয়, তাহলে তা থেকে কাপড়ে লাগা নাপাকি ধৌত করলে পাক হয়ে যায়।

৪. প্রবাহিত পানিতে কাপড় ধোয়ার সময় নিংড়ানোর দরকার নেই। কাপড়ের এক দিক থেকে অন্য দিকে পানি চলে গেলেই যথেষ্ট।

৫. কাপড় যদি এমন হয় যে চাপ দিয়ে নিংড়াতে গেলে তা ফেটে যাবে, তাহলে তিনবার ধুয়ে দিতে হবে। তারপর হাত দিয়ে অথবা অন্য কিছু দিয়ে এমনভাবে চাপ দিতে হবে যেন পানি বেরিয়ে যায় এবং কাপড়ও না ফাটে।

৬. নাপাক তেল, ঘি বা অন্য কোনো তেল যদি কাপড়ে লাগে, তাহলে তিনবার ধুয়ে দিলে কাপড় পাক হয়, যদিও তেলের তৈলাক্ততা কাপড়ে রয়ে যায়। তেলের সঙ্গে মিশ্রিত নাপাকি তিনবার ধৌত করলে পাক হয়ে যায়।

৭. যদি কোনো মৃতের চর্বি দ্বারা কাপড় নাপাক হয়, তাহলে তিনবার ধৌত করলেই যথেষ্ট হবে না, তৈলাক্ততা দূর করে ফেলতে হবে।

৮. চাটাই, বড় শতরঞ্জি, কার্পেট বা এ ধরনের কোনো বিছানাপত্র, যা নিংড়ানো যায় না, তার ওপর যদি নাপাকি লাগে, তাহলে তা পাক করার নিয়ম হলো, তার ওপর তিনবার পানি ঢালতে হবে। প্রতিবার পানি ঢালার পর শুকাতে হবে। শুকানোর অর্থ হলো, তার ওপর কিছু রাখলে তা ভিজবে না।

৯. কোনো খালি শূন্যগর্ভ পাত্র যদি নাপাক হয় এবং তা নাপাকি চুষে নিয়ে থাকে, তাহলে তা পাক করার পদ্ধতি হলো, তা পানি দিয়ে পূর্ণ করতে হবে। নাপাকির চিহ্ন পানির মধ্যে দেখা গেলে পানি ফেলে দিয়ে আবার ভরতে হবে। যতক্ষণ পানিতে নাপাকির লেশ পাওয়া যায়, ততক্ষণ এভাবে পানি ফেলতে হবে এবং নতুন পানি ভরতে হবে। এভাবে যখন নাপাকির রং ও দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে, তখন পাত্র পাক হয়ে যাবে।

১০. নাপাক রঙে রং করা কাপড় পাক করার জন্য এতবার ধুতে হবে যেন পরিষ্কার পানি আসতে থাকে। তারপর রং থাক বা না থাক কাপড় পাক হয়ে যাবে।

বিজনেস আওয়ার/২১ সেপ্টেম্বর,২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

নাপাক কাপড় কত দিনের মধ্যে ধৌত করতে হয়?

পোস্ট হয়েছে : ০৯:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: শরীয়তের বিধান হলো চাদরে কিংবা কাপড়ে নাপাকি লাগলে তিনবার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং প্রত্যেকবার ভালো করে চাপ দিয়ে নিংড়াতে হবে। এর জন্য নির্ধারিত কোন সময়সীমা নেই।

প্রশ্ন : নাপাক কাপড় কত দিনের মধ্যে ধুতে হবে? অনেক দিন পর পাক করলে তা কি পুরোপুরি পাক হবে?
উত্তর : নাপাক কাপড় ধোয়ার নির্ধারিত কোন সময়সীমা নেই। অনেক দিন পরেও নিয়মমত পবিত্র করে ধৌত করলে তা পবিত্র হয়ে যাবে।

কিছু সংশ্লিষ্ট মাসআলা

১. কাপড়ে নাপাকি লাগলে তিনবার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং প্রতিবার ভালো করে চাপ দিয়ে নিংড়াতে হবে। ভালো করে নিংড়িয়ে ধৌত করার পরও যদি দুর্গন্ধ থেকে যায় কিংবা দাগ থাকে, তাতে কোনো দোষ নেই, পাক হয়ে যাবে।

২. কাপড়ে যদি বীর্য লাগে এবং শুকিয়ে যায়, তাহলে আঁচড়ে তুলে ফেললে অথবা রগড়ে মর্দন করে তুলে ফেললে পাক হয়ে যায়। আর যদি বীর্য শুকনো না হয়, তাহলে তিনবার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে কাপড় পাক হয়ে যায়। প্রস্রাব করে পানি নেওয়ার পর যদি বীর্য বের হয়, তাহলে আবার ধুয়ে ফেলতে হবে।

৩. পানির মতো যেসব জিনিস তরল এবং যদি তৈলাক্ত না হয়, তাহলে তা থেকে কাপড়ে লাগা নাপাকি ধৌত করলে পাক হয়ে যায়।

৪. প্রবাহিত পানিতে কাপড় ধোয়ার সময় নিংড়ানোর দরকার নেই। কাপড়ের এক দিক থেকে অন্য দিকে পানি চলে গেলেই যথেষ্ট।

৫. কাপড় যদি এমন হয় যে চাপ দিয়ে নিংড়াতে গেলে তা ফেটে যাবে, তাহলে তিনবার ধুয়ে দিতে হবে। তারপর হাত দিয়ে অথবা অন্য কিছু দিয়ে এমনভাবে চাপ দিতে হবে যেন পানি বেরিয়ে যায় এবং কাপড়ও না ফাটে।

৬. নাপাক তেল, ঘি বা অন্য কোনো তেল যদি কাপড়ে লাগে, তাহলে তিনবার ধুয়ে দিলে কাপড় পাক হয়, যদিও তেলের তৈলাক্ততা কাপড়ে রয়ে যায়। তেলের সঙ্গে মিশ্রিত নাপাকি তিনবার ধৌত করলে পাক হয়ে যায়।

৭. যদি কোনো মৃতের চর্বি দ্বারা কাপড় নাপাক হয়, তাহলে তিনবার ধৌত করলেই যথেষ্ট হবে না, তৈলাক্ততা দূর করে ফেলতে হবে।

৮. চাটাই, বড় শতরঞ্জি, কার্পেট বা এ ধরনের কোনো বিছানাপত্র, যা নিংড়ানো যায় না, তার ওপর যদি নাপাকি লাগে, তাহলে তা পাক করার নিয়ম হলো, তার ওপর তিনবার পানি ঢালতে হবে। প্রতিবার পানি ঢালার পর শুকাতে হবে। শুকানোর অর্থ হলো, তার ওপর কিছু রাখলে তা ভিজবে না।

৯. কোনো খালি শূন্যগর্ভ পাত্র যদি নাপাক হয় এবং তা নাপাকি চুষে নিয়ে থাকে, তাহলে তা পাক করার পদ্ধতি হলো, তা পানি দিয়ে পূর্ণ করতে হবে। নাপাকির চিহ্ন পানির মধ্যে দেখা গেলে পানি ফেলে দিয়ে আবার ভরতে হবে। যতক্ষণ পানিতে নাপাকির লেশ পাওয়া যায়, ততক্ষণ এভাবে পানি ফেলতে হবে এবং নতুন পানি ভরতে হবে। এভাবে যখন নাপাকির রং ও দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে, তখন পাত্র পাক হয়ে যাবে।

১০. নাপাক রঙে রং করা কাপড় পাক করার জন্য এতবার ধুতে হবে যেন পরিষ্কার পানি আসতে থাকে। তারপর রং থাক বা না থাক কাপড় পাক হয়ে যাবে।

বিজনেস আওয়ার/২১ সেপ্টেম্বর,২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: